পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৮ লাভ নাই। কারণ জেতা জার্মেনীও তাহাকে করিবে বা নিজের কর্তৃত্বাধীনে রাখিবে । যুদ্ধের প্রথম ফল ত, এই হইয়াছে যে ইংলণ্ড সাইপ্রাস দ্বীপ অধিকার করিয়াছে । অবশ্য এই দ্বীপ নামে মাত্র তুরস্কের সাম্রাজ্যভুক্ত ছিল ; শাসনকাৰ্য্য, ১৮৭৮ সালের এক বন্দোবস্ত অনুসারে, ইংলণ্ডই চালাইয়া আসিতেছে। কিন্তু তুরস্ক কখনও রাষ্ট্রীয় কাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহে সুদক্ষ হইলে উহ। ইংলণ্ডের কাছে ফেরত চাহিতে পারিত। তদ্ভিন্ন সুলতান ১৮৭৮ সালের বন্দোবস্ত অনুসারে ইংলণ্ডের নিকট হইতে সাইপ্রাসের জঙ্গ বৎসরে তের লক্ষ বিরানব্বই হাজার টাকা পাইতেন । এখন হইতে ৩াহ। আর পাই বেন না । মিশরদেশ বাস্তবিক ইংরেজদের কর্তৃত্বাধীন হইলেও, নামে এখনও তুরস্কের একটি করদ রাজা । তুরস্কের નિષ્ઠાન ૧શનલ ડિમt fચ૧૮૬૬ નિજા ફફt૭ હજ কোটি তিন লক্ষ পচাশি হাজার দুই শত পঞ্চাশ টাকা কর পাইয়া হওয়ায় তুরস্কের এই আয়ের পথ যে বন্ধ হইবে না, তাহ। কে বলিতে পারে ? সুতরাং তুরস্কের মহা এম হইয়াছে। থাকেন । ইংলণ্ডের সহিত যুদ্ধ ঘোষি৩ ভারতীয় মুসলমানগণ ও তুরস্ক। তুরস্কের সুলতানকে মুসলমানগণ আপনাদের খলিফা মনে করেন । প্রথম প্রথম খলিফাগণ মুসলমানদের ঐহিক শাসনকওঁ। এবং ধৰ্ম্মবিষয়ে উপদেশ ও-ব্যবস্থাদাতা ছিলেন। এখন কেবল ধৰ্ম্মবিযয়েই র্তাঙ্গকে মাষ্ঠ করা হয় । কেহ কেহ বলেন বটে, ষে, সুলতান খলিফ। অর্থাৎ হজরত মোহাম্মদের উত্তরাধিকারী নহেন । কিন্তু সে তর্কে আমাদের প্রবৃত্ত হইবার দরকার নাই, যোগ্যতাও নাই। সাধারণতঃ মুসলমানগণ তাহাকে খলিফা মনে করিয়া থাকেন । কিন্তু তিনি ঐহিক বিষয়ে যে, সমুদয় মুসলমানের প্রভু নহেন, তাহার প্রমাণ দেওয়া অনাবশ্যক। অল্প দিন আগেও তুরস্কের সৈন্যদের সঙ্গে পারস্তের সৈন্যদের যুদ্ধ হইয়া গিয়াছে। অথচ পারস্ত মুসলমানরাজ্য। ইহাতেই বুঝা যাইতেছে যে ধৰ্ম্মবিষয়ে ছাড়া অন্ত বিষয়ে মুসলমানের প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩২১ [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড • তুরস্কের সুলতানের অকুসরণ বা আদেশ পালন করেন মা ; সম্ভবতঃ তাহীদের ধৰ্ম্ম অনুসারে করিতে বাধ্যও নহেন ৷ o রোমাণ কাথলিক খুষ্টিয়ানদের অবস্থা এ বিষয়ে অনেকটা মুসলমানদের সমতুল্য। রোমের পোপ তাহাদের ধর্মগুরু। পূৰ্ব্বে পোপের রাষ্ট্রীয় শক্তি ছিল, তিনি রাষ্ট্রীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপও কfরতেন । ইংলণ্ডের ইতিহাসে ইহার দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। কোন রোমান কাথলিক ইংলণ্ডের রাজা বা রাণী হইলে পাছে তিনি রোমের পোপের কথা শুনিয়া ইংলণ্ডের রাষ্ট্রীয় শক্তির হ্রাস বা অঙ্গ কোন অনিষ্ট সাধন করেন, এই জন্য ১৭০১ খৃষ্টাব্দে একৃট অব সেটল্মেণ্ট নামে একটি আইন করা হয়, তদনুসারে কোন রোমান কাথলিক ইংলণ্ডের রাজা বা রাণী হইতে পারেন না। বাস্তবিক দেশের রাজা থাকিবেন একজন, আর দেশের কতকগুলি লোক বিদেশী ( বা স্বদেশী ) একজন ধৰ্ম্মগুরুর আদেশ ঐহিক পারত্রিক উভয় ব্যাপারেই শিরোধার্য্য কfরবে, এরূপ অবস্থায় কোন দেশে কখনও শান্তি থাকিতে পারে না, দেশও সুশাসিত হইতে পারে না। যতদিন রোমের পোপের ঐহিক ক্ষমতা ছিল, ততদিন তাহার দ্বারা কখন কখন কোন কোন যুদ্ধ বা অপর গর্হিত কাজ নিবারিত হইত বটে, কিন্তু ইউরোপে অনেক রাষ্ট্রীয় বিপ্লব এবং কলহ ও অশান্তিও যে ঐ কারণে হইয়াছিল, তাহাতে সন্দেহ নাই । তুরস্ক ইংলণ্ডের বিপক্ষদলের সঙ্গে যোগ দেওয়ায় ভারতীয় মুসলমানগণ যে বিপথচালিত হন নাই, ইহাতে তাহারা সুবুদ্ধির কাজই করিয়াছেন। যুদ্ধক্ষেত্রে ভারতীয় সৈন্য । এইরূপ সংবাদ আসিতেছে যে ভারতবর্ষের নানাজাতীয় সিপাহীর অসাধারণ শক্তি, সাহস ও কৌশলের সহিত যুদ্ধ করিতেছে, এমন কি তাহারা কোন কোন সময় পরাজয়ের আশঙ্কাকে জয়ে পরিণত করিতেছে। ভারতবর্ষের সিপাহীরা যে যে-কোন জাতির সৈন্সের সমান, ইহা আনন্দের বিষয়। যখন তাহারা উচ্চ সেনানায় কর কাজ করিবে তখন আনন্দের মাত্র পূর্ণ হইবে।