পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९ 8० হয় । কথন কথন বক্রীদ প্রতৃতি ধৰ্ম্ম কুষ্ঠান লইয়াও. মারামারি হয় । এই-সব দাঙ্গায় কখন কখন মাকুয মার। পড়ে। মূরিাম{fরর সময় দাঙ্গণকারীর। এমন জোরে লাঠি চালায় যে মাতৃষের মাথার খুলি যে এমন শক্ত LLgBB KKgS BBBS BSBS S BB BBSBBB BBB কখনও কাহারও প্লীহা ফাটিয়া মৃত্যু হইয়াছে বলিয়া শুনি নাই। এই জন্য অামাদের মনে হয়, ৬াক্তণর প্লীহা ফাটিয়াছে বলিয়। সাক্ষা দিলেই তাহ বেদবাক্য বলিয়া মান্ত করা উচিত নয় । ৬াক্তারের কথা যে সত্য তাহারও প্রমাণ চাওয়া কৰ্ত্তব্য । ইউরোপীয়ের বা ফিরিঙ্গীর আধাতে দেশী লোকের মৃত্যু হই লেই তাহাকে জ্ঞাতসারে ইচ্ছাপূৰ্ব্বক খুন (murder: বলিয়া মনে করা যেমন একদিকে ঠিক নয়, তেমনি সবগুলিই হঠাৎ ঘটিয়াছে মনে করাও ঠিক নয় । এই সকল স্তলে মৃতদেহ পরীক্ষা একজন ডাক্তারের দ্বারা হওয়া উচিত নয়। একজন সরকারী ডাক্তার যেমন পরীক্ষা করেন, তেমনি ঠাহীর সঙ্গে একজন বেসরকারী ডা লুণর থাক। অবশ্যক ; এবং পরীক্ষার সময় একজন ম্যাজিষ্ট্রেটের ক্ষমতা প্রাপ্ত কৰ্ম্মচারী উপস্থিত থাকিবার আইন হওয়া প্রয়োজন । গবৰ্ণমেণ্ট এইরূপ আইন করিলে ৩য় ও সুবিচারের কিছু আশা হয়। ইউরোপীয় আপ ওকাবার। তাঙ্গাদের সমকক্ষ স্বদেশীদিগের দিকে সহজে হাত প। চালায় না। ইহাতেই তাহাদের কাপুরুষ তার প্রমাণ পাওয়া যায়। এই জন্য মনে হয়, যদি কখন আমাদের হতভাগ্য দেশী মজুরের। যথেষ্ট আহারে পুষ্ট সুস্থ সবল সাহসী হয়, তাহা হইলে কাপুরুষেরা আর তাহাদিগকে আঘাত করিবে না। এই-সব মোকদ্দমাব বিচারক ও ডাক্তারদের ধৰ্ম্মবুদ্ধি 3 বিচার ভাল হইবার কথা । ভারতব{সারা অধিক পরিমাণে শিক্ষিত ও সুস্থ এবং রাষ্ট্রীয় অধিকার প্রাপ্ত হইলে পূৰ্ব্বোক্ত বিচারক ও ডাক্তাঃদের ধর্মবুদ্ধি হয়ত এখনকার চেয়ে সচেতন হইবে । 1:e -. অন্নাভাৱ । বঙ্গের অধিকাংশ জেলায় অন্নাভাব ঘটিয়াছে। কোথাও বৃষ্টির অভাবে, কোথাও ধানে পোকা লাগায়, সঞ্জাগ হইলে ও প্রবাসী-—জপ্রহায়ণ, ১৩২১ [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড এবার বেশ ধান পাওয়া ৰাইবে না। যে-সব জেলায় পাট বেশী হয়, সেখানে ও চাষী গৃহস্থদের খুব দুরবস্থা হইয়াছে। এখন এম্‌ডেন জাহাজ নষ্ট হওয়ায় পাটের কাটতি বাড়িলে পাটের দরও বাড়িবে। তাঙ্গতে চাণীদের সুবিধা হইবার সস্তাবনা। চাষীর পেটে অন্ন পড়িলে যে-সব লোক ভাল পোষাক পরিয়া বেড়ান, তাহাদের ও সুবিধ হইবে । আমরা সচরাচর চাষীদের কথা ভাবি না। প্রাণের টান, ধৰ্ম্মবুদ্ধি আমাদের এতট। নাই, যে, তাহীদের জন্য উদ্বেগ হয় । স্বার্থকুদ্ধিতে তাহাদের দুর্দশার দিকে আমাদিগকে দৃষ্টিপাত করাইতে পারিবে কি ? স্বাৰ্থ বুদ্ধি মানুষের প্রাণকে কঠিনও করে । কাগজে এই— রূপ খবর বাহির হইয়াছে যে পাটের কাটুতি না থাকায় পাটচাষার বিপন্ন হইয়াছে দেখিয়া ঢাকার মাজিষ্ট্রেটু তাহাদিগকে সরকারের পক্ষ হইতে টাকা ধার দেওয়৷ হউক এইরূপ প্রস্তাব করেন। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের ইউরোপীয় বণিকূসমিতি ইহাতে আপত্তি করিয়াছেন। র্তাহারা বলেন, পাটচাষীদিগকে চাউল সাহায্য করা হউক, কিম্ব! যেখানে মজুরী করিয়া তাহার। পয়সা পাইতে পারে, এরূপ রাপ্ত বাধ আদি প্রস্তুত করান হউক। কথাটা এই যে পাটচাষীরা যদি টাকা ধীর পায়, তাহা হইলে তাহাতে তাহীদের গ্রাসাচ্ছাদন খাজনা দেওয়া সবই চলিবে ; সুতরাং তাহার এখন মাটীর দরে পাট ছাড়িবে ন। কিন্তু যদি শুধু চাউল দেওয়ার বা মাট কাটাইয় কয়েক পয়স মজুরী দেওয়ার ব্যবস্থা হয়, তাহা হইলে অনেকেই ত ভিক্ষার চাউল লইবেণ ও মজুরী করিষে না, যাহার। ভিক্ষা লইবে বা মজুরী করিবে, তাহাতে তাহাদের সব খরচ চলিবে না। সুতরাং সকলেই পাট বেচিতে বাধ্য হইবে, এবং নারায়ণগঞ্জের পাটব্যবসায়ীরা তাহ খুব সস্তায় পাইয়। খুব লাভ করিবে । জানি না, সহৃদয় মাজিষ্ট্রেটের প্রস্তাব মঞ্জুর হইয়াছে, না স্বার্থম্বেষী বণিকৃদের কথাই গ্রাহ হইয়াছে। বেলজিয়মের প্রধান কবি । বেলজিয়মের প্রধান কবি মরিস মাত্যারলিঙ্ক, ১৯১১ খৃষ্টাব্দে সাহিত্যের জন্ত নোবেল পুরস্কার পাইয়াছিলেন ।