পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] বিবিধ প্রসঙ্গ—ইতালীর জামেনীর সহিত যোগ না দিবার কারণ, সাধারণতঃ যেরূপ অনুমান করা হয়, তুরস্ক সাম্রাজ্যে তাহা অপেক্ষ জনসাধারণের শিক্ষা অনেক অধিক বিস্তুত । * ইস্কুলগুলি দুরকমের, সরকারী ও বেসরকারী। সরকারী শিক্ষা তিনশ্রেণীর ; প্রাথমিক, মধ্য ও উচ্চ । প্রাথমিক শিক্ষা সম্পূর্ণ অবৈতনিক, এবং ৭ হইতে ১৬ বৎসর বয়স পর্য্যন্ত সকলেই শিখিতে বাধ্য ; উচ্চতর শিক্ষা হয় অবৈতনিক নতুবা ছাত্রবৃত্তির সাহায্যে সুল হা (“Primaty education is gratuitous and obligatory, and superior cducation is gratuiতুর্কিভাষl, কোরান, পাটীগণিত, ইতিহাস, ভূগোল, এবং নানাবিধ হস্তকার্য) (handlwork) প্রাথমিক শিক্ষার অন্তর্গত। প্রথিমিক শিক্ষার জঙ্গ তিন প্রকারের স্কুল আছে— ( ১ ) শিশুদের জন্য ; এরূপ স্কুল প্রত্যেক গ্রামে একটি কবিয়া *sū (“insant schools, of which there is one in every village") | f ( x ) \g quo olić (4 &ltoমিক বিদ্যালয়সমূহ ! ( o ) উচ্চপ্রাথমিক বিদ্যালয়সকল। মধ্যশিক্ষার জন্য প্রত্যেক বিলায়েৎ অর্থাৎ জেলার সদর নগরে একটি করিয়া বিদ্যালয় আছে । ইহাতে ১১ হইতে ১৬ বৎসর বয়সের ছাত্রের প্রাথমিক শিক্ষার বিষয়গুলি ছাড়। ফরাশিভাষা, জামিতি এবং নানাবিধ বিজ্ঞান শিক্ষ। করে । উচ্চশিক্ষার জন্স ( ১ ) কনষ্টাটিনোপলে বিশ্ববিদ্যালয় আছে, তথায় সাহিত্য, দর্শন, ইতিহাস দি, বিজ্ঞান, আইন, ধৰ্ম্মতত্ত্ব ও চিকিৎসা শিক্ষণ দেওয়া হয় । ( 2 ) তা ছাড়া শিক্ষক প্রস্তুত করিবার জন্য নৰ্ম্ম্যালস্কুল, ললিতকলা (file arts) বিদ্যালয়, সামরিক-চিকিৎসাশিক্ষালয় প্রভূতি বিশেষ বিশেষ বিদ্যালয় আছে। tous or supported by bursaries") i

  • “toublic instruiv ı ıoıy is inucl, rnore widely difñiscol ..] oughout the empire than is cominaonly supposed.” E. r. y. lop.leli;i Brit. m nica, i 1 th Editioii, Vol. \ \ \'II. p. ; :8.

১৯১৩ খৃষ্টাব্দে মুদ্রি ৩ ভার ৩গবর্ণমেণ্টের ষ্টাটিষ্টিক্স অব ব্রিটিশ ইণ্ডিয়া নামক রিপোর্টসকলের সপ্তম অর্থাৎ শিক্ষ।বিষয়ক *C& «fU\g *—“The tot,i 1 munilber of insututious im I v)1 i - i : was 176,447,......The total number of villages served by these schools is 582,728, and the number of towns...... is 1,594.” অতএব দেখা যাইতেছে সে ব্রিটিশ-শাসিত ভারতের মোট ৫,৮৪,৩২২টি গ্রাম ও নগরের মধ্যে অস্ত৩: ৪,০৭,৮৭৫টি লোকালয়ে কোন শিক্ষালয় নাই। “অন্ততঃ" বলিতেছি এই জন্য যে, মে-সকল গ্রামনগরে শিক্ষালয় আছে, তথায় একএকটি করিয়াই আছে, হিসাবে এইরূপ ধরিয়াছি । কিন্তু বাস্তবিক অনেক নগরে ও কোন কোন গ্রামে একাধিক শিক্ষাশালা আছে। সুতরাং কুলবিহীন গ্রামের সংখ্যা আরও বেশী। ૨GG • ষ্টেটসম্যান্স, ইয়ার-পঞ্চ একখানি স্বপরিজ্ঞাত বার্ষিক লৌকিকতত্ত্ব-সংগ্রহের বহি । ইহার ১৯১৪ খৃষ্টাব্দের ংস্করণে দেখা যায় যে তুরস্কসাম্রাজ্যের মোট লোকসংখ্যা ২, ১২,৭৩,৯০০ দুইকোটি বারলক্ষ তিয়াত্তর হাজার নয়শত । ৩৬,২৩০ ছত্রিশ হাজার দুইশত ত্রিশ সংখ্যক সৰ্ব্ববিধ বিদ্যালয়ের মোট ছাত্রসংখ্যা ১৩,৩১,২০০ তের লক্ষ একত্ৰিশহাজার দুইশত । অর্থাৎ মোট অধিবাসীদের প্রত্যেক ষোলজনেৰ মধ্যে একজন শিক্ষা পাইতেছে । ভারতগবর্ণমেণ্ট ষ্ট্যাটিষ্টিক্স অব ব্রিটিশ ইণ্ডিয়া নামক কতকগুলি রিপোর্ট বাহির করিয়া থাকেন । ১৯১৩ খৃঃ অধে মুfদত ইহার সপ্তম অর্থাৎ শিক্ষাবিষয়কখণ্ডে দেখা যায় মে ১৯১১-১২ খৃষ্টাব্দে বুটিশ-শাসিত ভারতে সৰ্ব্ববিধ শিক্ষালয়ে ছাত্র ও ছাত্রীব সংখ্যা ছিল ৬৭, ৫, ৯৭১ সাতষট্টিলক্ষ পচানব্বইহাঙ্গার নয়শত একাত্তর । ঐ বৎসর ব্রিটিশ ভারতের মোট অধিবাসার সংখ্যা ছিল ২৪.৪২,৬৭,৫৪২ চব্বিশকোটি বিয়াল্লিশলক্ষ সাতষট্টিহাজার পাচশ ত বিয়াfল্লশ । অর্থাৎ মোট অধিবাসীদের প্রায় প্রত্যেক ছত্রিশ জনের মধ্যে এক জন শিক্ষা পায় । উপরে যে-সকল তথ্য দেওয়া হইয়াছে, তাহাতে বোধ হয় তুরস্কে শিক্ষার অবস্থা খুব খারাপ নয় । এইজন্য তুরস্ক যে প্রান্তিবশতঃ যুদ্ধে যোগ দিয়াছে, তাতাতে প্রাচ্য কোনও দেশের লোকেরা দুঃখিত না হহয়! থাকিতে পারে না। কারণ, তুর্কির উন্নতির পথে অগ্রসর হইতেছিল। সে পথ বন্ধ হইল । ইতালীর জামেনীর সহিত যোগ না দিবার কারণ যুদ্ধের পূৰ্ব্বে জার্মেনী অষ্ট্রিয় ও ইতালীর বন্ধুত্ব ছিল । তাহা সত্ত্বে ও অষ্ট্রিয় ও জার্মেনীর সহিত ইতালী যোগ দিতেছে না । তাহার কোন কোণ কারণ সংক্ষেপে এই যে বহুকাল ধরিয়া অষ্ট্রিয়। ইতালীর অংশবিশেষে রাজত্ব ও আ ত্যাচার করিয়াছিল । ইতালী এখনও সে কথা বিস্মৃত হষ্টতে পারে নাই । ইংলণ্ডেব লোকের ইতালীকে স্বাধীন হইতে সাহায্য করিয়াছিল । ইতালীয়ের কৃতজ্ঞতার এই ঋণও ভুলে নাই। ঈ, পী ওএগল (E. P. \Veigall) নামক একজন ইংরেজ লেখক অক্টোবর মাসের ফর্ট নাইট্‌লি রিভিউতে আর একটি কারণের উল্লেখ করিয়াছেন, যা অসন্তব মনে হয় না। তিনি বলেন, ইতালী ধে তুরস্কের হাত হইতে ত্রিপলীদেশ যুদ্ধ করিয়৷ কাড়িয়া লইতে পরিয়াছে, তাহা কেবল ইংলণ্ডের পরোক্ষ সাহায্যে । তাহার বক্তব্য এই ৪ –মিশরদেশ ইংলণ্ড কর্তৃক শাসিত হইলেও উহা তুরস্কের একটি