পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२१३ ९ দিদি বলিলেন—ন। কে কোথায় আছে তাই জানিনে । ● কিন্তু আমি ত জানি, ইন্দু কোথায় আছে। ফি হস্তায় কলিকাতা-গেজেট পড়িয়৷ ইন্দুলেথার স্বামীর বদলি হওয়ার খবরটা যে জানিয়া রাখা আমার কর্তব্যের મળ્યા . શ્વામિ ইতস্তত করিয়া বলিলাম—ইন্দুর স্বামী এখন ভগবানপুরে আছে । 伦危 লিখে৷ না । দিদি নাক সিটকাইয়। বলিলেন—ওরা কেউ খোজ খবর নেয় না, আমি আর গয়ে পড়ে লিখতে পারিনে । আমি আর কিছু বলিতে পারিলাম না। ওরা খোজ ন লউক, আমার যে ইন্দুর খোজ লওয়া একান্ত আবখ্যক তাহা অামি দিদিকে কেমন করিয়া বুঝাইব ? মনের মধ্যে নিরাশার হাহাকার পুযিয়া আমাকে সস্তুষ্ট থাকিতেই হুইবে । আমার এ দুঃখ কাহাকেও বুঝাইবার নয় । একদিন হঠাৎ এই চিঠিখানি আমার ম্যানেজার অনিয়া আমাকে দেখাইয়া দপ্তরীর নামে নালিশ করিল ; এবং আমার কাছে যে ফাইলের ফৰ্ম্ম আছে তাহা চাহিল,—সেই ফৰ্ম্ম পাঠাইয়া ইন্দুলেথার অসম্পূর্ণতা পূরণ করিয়া দিবে। আমি চিঠিপানি হাতে করিয়া এক মুহূৰ্ত্ত কথ। কহি৩ে পারিলাম না । এই ইন্দুলেখার হা৩ের লেখা ! সে অামার কাগজের গ্রাহিক । কবে সে একদিন আমার অজ্ঞাতারে এমনি একখানি পোষ্টকাড লিথিয় তাহারইনামে-নাম-রাথ{ অামার কাগজের গ্রাহক হইয়াছে ; সেই দুলভ চিঠি আমার চোখে পড়ে নাই ; তাহার কদর না বুঝিয়া ম্যানেজার হয়ত তাহার বুক ফুড়িয়া ফাইল করিয়াছে, নয়ত ছিড়িয়া অাবজ্জনার ঝুড়িতে ফেলিয়া দিয়াছে ! আজি ভাগ্যক্রমে তাহার আর-একথানি পোষ্টকার্ড আমার হাতে আসিয়া পড়িল । আজ আমার সমস্ত সাধনা সার্থক হইয়াছে । আজ আমার পূজায় তুষ্ট দেবতার বর পাইয়াfছ। দপ্তরাকে তাহার ভুলের জন্য আমার সর্বস্ব বকশিশ করিতে ইচ্ছা হইতেছিল ! আমি আপনাকে একটু সম্বরণ করিয়া লইয়া ম্যানেজারকে বলিলাম—ফৰ্ম্মা পাঠাবার দরকার নেই ; একখানি খুব তাকে একথান [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড ভালো দেখে ইন্দুলেখা মোড়ক বেঁধে আমার কাে পাঠিয়ে দিনগে ; আমি ঠিকানা লিখে দেবো । সেইদিন হইতে ৪৭৬৫ নম্বরের গ্রাহিকার নামে লেবেলধানি আমি নিজের হাতে লিথিয় দিই। অণ সেই অপরিচিতের মতন লেখা কাজের চিঠিখানিকেই আমার সমস্ত হাসিকাল্প দিয়া ঘিরিয়া আমার চোখের সামনে রাখিয়া দিয়াছি । ১১ কাৰ্ত্তিক । } চার বন্দ্যোপাধ্যায় । কবরের দেশে দিন পনর চতুর্থ দিবস—জগতের সর্বপুরাতন রাষ্ট্রকেন্দ্র কাইরে হইতে লুক্সর ধাএ। করিলাম । কাইরের নিকটেই রেলওয়ে-পুলে নাইল পার হইতে হয়। গাড়ী হইতে দেখিলাম, নদী গীষ্মকালের সমুনা অপেক্ষা 23 জল পেশ ফরসা । নীল নাইল-অংশ ক ত নাল বা কাল তাহা এথান হইতে ধারণ করা গেল না । গাড়ী এক্ষণে কাইরোর অপর পার অথাৎ না হলের পশ্চিম কিনার। দয়। যাইতে লাগিল । আমাদের পূৰ্ব্বে আরবের মকাওম শৈলশ্রেণী, পশ্চিমে আফ্রিকার লীবিয়া পাহাড় —মধ্যবত্তী স্থানে দুই দিকে শস্ত্যষ্ঠ্যামল উৰ্ব্বর ভূমি এবং নাইলনদ—সকলষ্ঠ উত্তর দক্ষিণে সমান্তরালভাবে বিস্তৃত । আমাদের রেলপথ ও এই সকলের সঙ্গে সমান্তরালরূপে নিৰ্ম্মিত । গাড়ীতে বসিয়া সমস্ত মিশরের প্রাকৃতিক শোভা এবং পূৰ্ব্বপশ্চিমের বিস্তৃতি একদৃষ্টিতে দেখিতে লাগিলা ম । পুৰ্ব্বদিকের পর্বত ভারতবর্ষের পশ্চিমঘাটের মত উচ্চ ও সমতলভূমি-যুক্ত দেখাইতেছে । উদ্ভিদৃশূন্ত, ঈষৎ রক্তবর্ণ, বালুক প্রস্তরময় মকাওম শৈল দেখিতে দেখিতে বিন্ধ্য ও সহাদ্রি পৰ্ব্বতের টেবল্ল্যাণ্ডের কথ। মনে পড়িল । পশ্চিমদিকে কোন নগর বা পল্লী চোখে পড়িতেছে না। কেবল কৃষিক্ষেত্ৰ। 'ফেলা’-নামক মিশরীয় কৃষক, কৃষ্ণ বা নীলবর্ণ ‘গালাবিয়া’ পরিয়া জমি •