পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>b" একান্ত প্রয়োজন হষ্টয়াছিল। ইংরেজ-শাসন পাশ্চাত সভ্যতা আনয়ন করিয়া সেই পয়োজন সংসিদ্ধ করিয়াছে। ইতিহাসে দেখিতে পাওয়া যায়, জেতা ও জিতের ঘাত প্রতিঘাতে ত্ৰিবিধ ফল উৎপন্ন হইয়া থাকে। ( > সত্যুত জে গধু সভ্যতাকে পরাজিত করে। যেমন গ্রীস ও গেমণ গ্রীসের ধৰ্ম্ম, সাহি , দর্শন, শিক্ষাপদ্ধতি, শ্বিল্প, বিজ্ঞান, কলা, এমন কি রন্ধনপ্রণালী রোমক জাতিকে গ্রাস করিয়াছিল । (২) জেতার সভ্যতা পরাজিতের সভ্যতাকে নিৰ্ম্মল করে। যেমন স্পনিয়া৬েপা মেক্সিকো ও পেরু জয় করিয়া ৩দ্দেশায় আজটেক ও ইঙ্কা সভ্যতাকে নির্মূল করিয়াছিল । বৰ্ত্তমান সময়ে ভাষা, ধৰ্ম্ম, শাসন পণালী প্রভূতি সমস্ত বিষয়ে ঐ দুই দেশ ঠয়ুরে পেপ অন্তভূ ত বলিয়া পরিগণিত হইতে পারে । ৩ ) জেতু জাতির সভ। গ পরাজিতের সভ্য ৩াকে প্রভূতরূপে প্রভাবান্বিত ও পরিবৰ্ত্তিত করে ; কিন্তু তাহার উচ্ছেদ সাধন করিতে পারে না । ভারতবর্ষে ইহা পুনঃ পুনঃ দৃষ্ট হইয়াছে। যেমন, ইসলাম ও আর্য্য সভ্যতা । ভারতবর্ষে মুসলমান রাজত্ব প্রায় পাচ শতাব্দী বর্তমান ছিল । এই কালে জেতা ও জিত পরস্পরের নিকট অনেক শিক্ষা করিয়াছে ; কখনও বা উভয়ে মিলিত হইয়া এক হইবারও প্রয়াসী হঠয়াছে ; কবির, নানক, হরিদাস প্রভৃতি ভগবদ্ভক্ত সাধক আপন আপন জীবনে ধর্মের সৰ্ব্বভৌমিক তা উজ্জ্বলরাপে প্রকটিত করিয়। গিয়াছেন ; তথাপি আজও হিন্দু হিন্দু, মুসলমান মুসলমানই রতিয়াছে, একে অঙ্গকে আত্মসাৎ করিতে পারে নাই । পূৰ্ব্ব ও পশ্চিমের ঘাত প্রতিঘাতেরও এতদনুরূপ ফলই উৎপন্ন হইয়াছে । o এতৎপক্ষে দুইটি সন্ত (con litions অপবিত:র্য্য । t ( ১ ) পাবগিতের সভাতায় এমন কিছু থাক। চাই, য{হ। তাহার নিজস্ব, ও জেতৃগণের সভ্যতায় যাহার অভাব 四亿51 ২ ) উভয় সুতা তার ঘাত প্রতিঘাতের প্রারস্তেই: এমন মহাপুরুষ চাই, যিনি উভয়কে পরস্পরের নিকটে পরিচিত করিয়া দিতে বা interpret করিতে পারেন । প্রবাসী--কাৰ্ত্তিক, >○& > [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড প্রথমতঃ – ভারতীয় সভ্যতার নিজস্ব কি ?—সকলেই বলিবেন, উহার অস্তলীন ত । প্রাচীনতম যুগ হইতে আরম্ভ করিয়া চিরকাল ইহারই মাহাত্ম্য কীৰ্ত্তিত হইয়া আসিতেছে ; ৰুদ্ধদেব শঙ্করাচার্য্য, শ্রীচৈতন্য, নানক, কবির, তুকারাম, রামপসাদ ইহাই সাধন করুিয়াছেন ও শিক্ষা দিয়াছেন । বহিমুখীনতা যদি এ দেশের বিশেষত্ব হইত, তবে ইহার ইতিহাস অন্ত আকার ধারণ করিত । উপনিষদ ও ধৰ্ম্মপদ, গীতা ও ভাগবত, সাংখ্য ও বেদাস্ত, পাতঞ্জল ও চৈতন্যচরিতামৃত চিরদিন ঘোষণা করিয়া আসিতেছে, সংসার অসার, জগৎ মায়া-মরীচিকা : এক আত্মাই সত্য ও সনাতন, ব্রহ্মনিৰ্ব্বাণই চরম লক্ষ্য । এই জন্যই ভারতে ধৰ্ম্মসাধন এত বিচিত্র ও উহ। এমন পরাকাষ্ঠা লাভ করিয়াছে। যদি ইহা কেহ অত্যুক্তি বিবেচনা করেন, তবে তাহাকে অকুরোধ করি, তিনি ইংরেজীতে ভক্তি শব্দের অনুবাদ করুন, এবং উক্ত সাহিত্যে উপনিষদ ও গীতার অনুরূপ কি আছে, বলিয়া দিন । ব্রহ্মবিদ্য। ভারতের অতুল গৌরব, একথা সুপণ্ডিত বৈদেশিকেরাও স্বীকার করিয়া থাকেন। কিন্তু ভারতীয় সভ্যতার গুরুতর অপূর্ণতা সামঞ্জস্য বা balanceএর অভাব । শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরিয়া জাতীয় চরিত্র অন্তলীনতার দিকে এমন বু"fকয়া পড়িয়াছিল যে গঙ্গাতে বহির্জগতের প্রতি দৃষ্টি ক্রমেই ক্ষীণ, ও তৎপ্রতি কৰ্ত্তব্যবোধ মান হইয়া আসিতেfছল । বর্তমান ইয়ুরোপীয় সভ্যতার জননী রোমক সভ্যতার সহিত বৈসাদৃশু দ্বারা এই তত্ত্বটি পরিস্ফুট করা যাইতেছে। রোমক কবি ভাজ্জিল রোমানদিগকে সম্বোধন কবিয়া বলিতেছেন, “হে রোমকগণ, শিক্ষা, শিল্প, কলা, গণিত, দর্শনে তোমরা ওীকfদগের নিকটে পরাভূত হইয়াছ, তাহাতে ম্রিয় Iাণ হ ! ও না, কেননা এগুলি ে মাদিগের নিজস্ব ময় ; তোমাদিগের বিশেষত্ব সাম্রাজা শাসনে, এইটি ভুলিও না,--- বস্তুতঃ কিন্তু তুমি হে রোমান রাপিও স্মরণে কি রূপে শাসিতে হয় পরাজিত জনে ?” ভারতীয় সাহিতো এই প্রকার উক্তি কেহ কখনও দেখিয়াছেন কি ? বরং দেখিতে পাই, যে ভারত সম্রাটের