২৯০ রীতিতে মাধুয্যের এবং সৌন্দর্য্যের বিকাশ হইয়াছে । চিত্র গুলি দেখিলে মনে হয় আমরা জীবন্ত নরনারীর সঙ্গে চলাফেরা করিতেছি। পশুপক্ষা তরুলতা গুলিও জগতের যথার্থ উদ্ভিদ ও জ।বঙ্গ স্তুর অনুরূপ । মূৰ্ত্তি গুলির অবয়বের ভিন্ন ভিন্ন অংশের মধ্যে একটা সামঞ্জস্য, শুঙ্খলা এবং যথোচিত অনুপাত রক্ষণ করা হইয়াছে ! প্রতিপাদ্য বিষয় বুঝিতে কোনরূপ ভুল হয় না। কোন চিত্রে দুৰ্ব্বল তl, হল 31, বা দৈন্তের পরিচয় পাইলাম না। জীবঙ্গ স্তুগুলি হৃষ্টপুষ্ট বলিষ্ঠ । সৰ্ব্বত্র সজীবতা, তেজস্বিতা, প্রফুল্পতা এবং শক্তিমত্তার চিহ্ন ও নিদর্শন দেখিতে পাইতেছি । বৃহদাকার মূৰ্ত্তি ও চিত্রের মধ্যে একসঙ্গে তেঙ্গ ও লাবণ্য, শক্তি ও কমনীয় তা প্রকাশ করা সহজ কথা নয় । এইরূপ আtশচধ্য সমথয় কেবল একটি বা দুইটিমাত্র চিত্রে আছে তাহা নয়। লক্ষ লক্ষ ক্ষুদ্র বৃহৎ মধ্যমঞ্চেfত চিত্রের অঙ্কনে শিল্পীর। অসামান্ত ক্ষমতার পরিচয় দিয়াছেন । এই গেল চিত্রাঙ্কনের ৪ মূৰ্ত্তিগঠনের বহিঃশিল্প বা টেকৃনিক। মুক্তিগুলির ভিতরকার কথাও অতি সুচারুরূপে প্রকটত। স্বদয়ের আকাঙ্ক্ষা, নানাবিধ মনোভাব, হিংসাদ্বেষ, শক্ৰতা, প্রেম, মেহ, সৌহার্দী, শ্রদ্ধা, ভক্তি, বাৎসল্য ইত্যাদি সবই আমরা এই চিএ-জগতে দেখিতে পাহ । ছবি দেখিলেই বুঝিয়। ল হতে পাfর—কোন আদশ, কোন মনোভাব, কোন চিন্তা প্রচার করিবার জন্ত শিল্পী তুলি হাতে লইয়াছিলেন। মিশরের প্রাচীন ইতিহাস, জাতীয় জীবনের সকল অঙ্গ, বিচিত্র অনুষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠান, ধৰ্ম্মত প্ল, দেবতত্ত্ব, শিল্পতত্ত্ব, সংগ্রাম ইত্যাদি সকল বিষয়ই কেবলমাএ চিত্রসমূহ পর্য্যবেক্ষণ করিলে শিখিতে পারি । এই চিত্রসমূহই প্রাচীন মিশরবাসার প্রকৃত ইতিহাস । চিত্র গুলির মধ্যে মিশরীয়দিগের ভ[ ও ভাব অতি সুন্দরব্রুপে প্রকাশিত হইয়াছে । তাহদের ধৰ্ম্মতত্ত্বে পশুপক্ষী তরুলতার মধ্যাদ। খুব বেশী । হিন্দুর ধৰ্ম্মতত্বে যেমন জগতের নিকৃষ্ট জীবজন্তু উদ্ভিদবি উচ্চস্থান পাইয়াছে, মিশরবাসীর ধর্মেও সেইরূপ। চিএগুলি দেখিলে দেবতার আদর্শ, পুজারীদিগের চরিএ, যজমানের মনোভাব, সাধ fচত্রের 리 প্রবাসী—পৌষ, ১৩২১ [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড কের ধৰ্ম্মজ্ঞান, পশুপক্ষীর উচ্চসম্মান, জীবে দয়া, সব্বস্বদানের প্রবৃত্তি, পরলোকে বিশ্বাস, স্তত্ব জীবনে অনাস্থা বেশ বুঝিতে পারা যায় । সকল চিত্রের মধ্যে জীবজন্তু এবং নরনারীর ভক্তি ও শ্রদ্ধা অতিশয় পরিস্ফুট । হিন্দুস্তানের শিল্পে আমরা যে ভক্তির পরিচয় পাই, এই শিল্পেও আমরা সেইরূপ ভক্তিপ্রবণ তা দেখিয়া রোমাঞ্চিত १झ५][ऐ । ফিরিবার সময়ে মেমননের দুইটি বিশাল প্রস্তরমূৰ্ত্তি দেখিয়া আসিলাম । বহুকাল হইতে প্রবাদ উত্তরদিকের মূৰ্ত্তি হইতে স্থৰ্য্যোদয় কালে একটা গান উত্থি ত হয় । বস্তুতঃ তাহার কোন প্রমাণ নাই । শ্ৰ পৰ্য্যটক । বালিন অবরোধ ( আলুর্কস্ দোদে’র ফর শী হইতে ) ৬। কুরি ভী'র সঙ্গে আমরা পারী শহরের মধ্য দিয়া যাইতে যাইতে পারী শহরের অবরোধের সময় কামানের গোণায় ভগ্ন প্রাচীর দেখা ষ্টয়া দেখাইয়া অবরোধের বিবরণ জিজ্ঞাসা করিতেছিলাম । বিজয়তোরণের চারিদিকে যে-সমস্ত বড় বড় অট্টালিকা অাছে তাঁহারই কাছে দাড়াইয়। একটি বাড়ী দেখাইয়া ডাক্তার এই গল্পটি বলিলেন— এই বারান্দার পিছনে চারটি জানালা বন্ধ রয়েছে দেখতে পাচ্ছেন ? সেই বিষম ঝঞ্চ বিপ্লবের আগষ্ট মাসের cબાટ્ટાત્ર મિત્ર કે સાફૌtક હતા. તૌર મનિtશ્વ યૂદ્ધ1ર fচকিৎসার জন্তে আমার ৬াক এসেছিল । এই বাড়ীটার তিনিই মালিক, তার নাম কর্ণেল জুত ; তিনি নেপোলিয়নের সময়কার সৈনিক, সুতরাং বুদ্ধ ; জাতীয় মর্য্যাদ। ও স্বদেশপ্রীতিতে তার প্রাণ একেবারে জলস্ত! যুদ্ধের আlরস্ত থেকেই বৃদ্ধ এই বাড়ীতে এই ধারান্দার ধারের ঘরটিতে বাসা নিয়েছিলেন । কেন জানেন ? আমাদের বিজয়ী সৈন্স যখন যুদ্ধ শেষ করে সগৌরবে ফিরে আসবে, তখন তাদের তিনি অত্যর্থনা করে এগিয়ে নিতে পারবেন বলে ------ আহা বেচারা ! একদিন তিনি খেয়ে টেবিল থেকে যখন উঠছেন তখন উইসেম্বুর্গ যুদ্ধে আমাদের হারের
