পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У о প্রধাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩২১ | থাকিতে হইবে। বরং এ কথা বলিলেও অন্যায় হইবে ন যে, এ ৩দিন এদেশে যাতা ধন্মের প্রাণ বলিয়া প্রচারিত হইয়া আসিয়াছে, তাহাই এক্ষণে আমাদিগকে বিশেষ ভাবে অনুধান করিতে হইবে। সম্পদে ইয়ুরোপের সম্পঢ়ব লাত করিব ; কবে আমদিগের বাণিজ্বপোত পণাসস্তার লষ্টয়া দেশদেশান্তরে গমন করিবৈ, কবে আমরা শিল্পবিজ্ঞানে প্রণষ্ট গৌরব পুনরুদ্ধার করিব-এইরূপ, ভাবনা হেয় ন হইতে পারে, কিন্তু এখন এষ্ট-সকল মহাবাকাই পুনঃপুনঃ আলোচনা করিবার সময়, আসয়াছে—“ত্যাগেনৈকেণামৃতত্ত্বমানগুঃ, ত্যাগের দ্বারাই দেবগণ অমৃতত্ব লাভ করিয়াছিলেন ;” “অমৃতত্বস্ত তু নাশাস্তি বিত্তেন, Iবত্তের দ্বারা অমৃতত্বলাভের আশা নাই ;" “নfহ বিত্তেম তপণীয়ো মকুব্যঃ, fবত্তের দ্বারা কখনও মাতুর্যের তৃপ্তি হয় না ।” আমরা অতি নগণ্য, সন্দেহ নাই ; শুধু ধনৈশ্বর্য্যে নগণ্য তাহা নহে, কিন্তু কৰ্ম্ম করা মানসিক শক্তিতেও আমরা বহু পশ্চাতে পড়িয়। রহিয়াছি । তথাপি একথা বলিতেই হবে, আমরা যে আiদশ প্রাপ্ত হইয়াfছ, উহাই কালে সমগ্র জগতে গৃহীত হইবে । আমরা যোদ্ধা নষ্ট, মহাপুরুযও নই ; জয়দুপ্ত, ঐশ্বৰ্য্যমত্ত জাতিসকলকে আমরা সুপথে আনয়ন করিব, এ চিত্তা পোষণ করাও বাতুলতা ইহঁতে পারে ; কিন্তু আমাদিগের ক্ষুদ্র জীবনেও যদি আদর্শের নিকট বিশ্বস্ততা রক্ষিত হয় ও সাধনে নিষ্ঠা অব্যাহত থাকে, তবে আমরাও ধষ্ঠ হইবে, মানবের পক্ষেও তাহ বৃথা হইবে না। ইহাতেই তো বিশ্বাসের পরীক্ষা। এতদিন ব্রহ্মবাদ জনসমাজকে কৰ্ম্মে উদাসীন করিয়া রাখিয়াfছল, এখন কৰ্ম্মবাদ লক্ষজনের চিত্তকে ব্রহ্মের প্রতি বিমুখ করিয়া তুলিতেছে। বিশাল জনসংঘের মধ্যে মুষ্টিমেয় লোক এই বিরোধের মীমাংস কfরতে উদ্যত হইয়াছে ; প্রাকত জনের পক্ষে ইহাতে হাস্য সংবরণ করা কঠিন হইতে পারে, কিন্তু আমরা জানি, এই মীমাংস সাধিত না হইলে ভারতের কল্যাণ নাই, জগতের কল্যাণ নাই। আমরা কৰ্ম্মবিমুখতাকে কিছুতেই প্রশ্রয় দিব না, অথচ কৰ্ম্মক্ষেত্রে জয়লাভ করিয়া কখনই ভুলিব না-ভোগে নয় কিন্তু ত্যাগে, হিংসায় নয় কবে আমরা ঐহিক ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড t কিন্তু প্রেমে, আত্মপ্রতিষ্ঠায় নষ্ঠে কিন্তু আত্মসমর্পণেই পরিপূর্ণ সার্থকতা ! ধনবল ও জনবলের প্রলয়ান্তক মহাসংঘর্ষের মধ্যে আমাদিগের চিত্তে নিরস্তর এই ধ্বনি উথিত হউক— ৩।াগেলৈকে নামৃতত্বমানগুঃ শুরজনীকান্ত গুহ । ওরাওঁদের ঐতিহ্য ঐতিহ্যকে মানিতে হইলে ওরাওঁজাতির আদি নিবাস যে দাক্ষিণাতো ছিল এ কথাটাও মানিয়া লইতে হয়। দাক্ষিণাতোর অধিবাসীদিগের সহি৩ ইহাদের জাতিগত এবং ভাষাগত অনেক সাদৃশ্যও আছে। ভাষাবিদৃগণের পরীক্ষার মাপকাঠি৩েও দক্ষিণভারতের তামিল, উওরভারতের থেfন্দ ও গোড়, বেলুচিস্থানেৰ বাহুই এবং ૭દ્રાર્હtt૬ ૭ાષાંત્ર છિ૭t મtશ% કેસ નાંદ્રનf*૭ ॐ श्?ोंt,ए । t ওরাওঁগণের কোনো নির্দিষ্ট পাসস্থান ছিল বলিয়া মনে হয় না । ৩াহার। সাধারণ৩ঃ fবঞ্চ পৰ্ব্বতের দক্ষিণ প্রান্তে পাহাড়ের গায়ে গায়ে ঘুরিয়৷ বেড়াই৩ । অরণ্যজ1৩ ফলমূল এবং শিকারলদ্ধ পণ্ডই ইহাদের ক্ষুন্নিধারণের একমাত্র উপায় ছিল । * রামচন্দ্রের বানরসেন্ঠের মতো ইহাদেরও যুদ্ধাস্ত্র ছিল—লাঠি ও পাথর। সুতরাং ইহাদেরই পূৰ্ব্বপুরুষদিগের সাহায্যে আর্য্য রামচন্দ্ৰ অনার্যা রাজা রাবণকে পরাজিত করিয়াছিলেন—এ সিদ্ধান্ত একেবারেই অযৌক্তিক বলিয়া মনে হয় না ; কৃষিবিজ্ঞানের সহিত পরিচয় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ওরাওঁদের ভিতর শিকারের ঝেণক অনেকটা কমিয়া আসে এবং তাহার পর হইতেই ধীরে ধীরে নৰ্ম্মদার উর্বর উপত্যক-ভূমিতে ওরাওঁপল্লীর পত্তন সুরু হয় । সাধারণতঃ দেখা যায় যে কৃষি-জীবনের স্বচনার সঙ্গে সঙ্গেই জাতির ভিতর শিল্পকলা উন্মেষলাভ করে । শিল্পের সম্বন্ধে ওরাওঁদের জ্ঞান অতিপরিমিত হইলেও তাহাদের তৈরী খড়ের গদি ও খড়ের বিড়ে প্রভূতিতে শিল্পনৈপুণ্যের আভাস স্পষ্টই বিদ্যমান। খুব সম্ভব এইস্থান