পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ > 8 ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘー・ヘヘヘヘヘートヘヘヘヘヘヘヘー - ঢেকির কচ কচি, আরস্ত হয়। গ্ৰীসদেশে সোফিষ্টের দল এমুনি করিয়াই দেখা দিয়াছিল, আমাদের দেশে নৈয়ায়িকের দলও এই জন্যই প্রাধান্ত লাভ করিয়াছিল । তথনি মানুষ সেই ঢেকির কচ কচি হইতে আরাম পাইবার জন্য লঘুতার শরণাপন্ন হয় । নৈয়ায়িকের কূটতর্কের পাশাপাশি, পাঁচালী, বিদ্যাসুন্দরের গান ও নানা কুৎসিত আমোদপ্রমোদের স্বস্ট হয়। গ্রীসদেশে যেমন আরিস্টোফেনিসের প্রহসন গুলি অার-সকল সাহিত্যকে ছfপীইয়া উঠিয়াছিল, বাংলাদেশেও একসময় লঘুসাহিত্য তেমনিই প্রবলতা লাভ করিয়াছিল । তাহাতে ফল হইয়াছে এই ষে, না তত্ত্ব না সাহিত্য কিছুই আমাদের ভাগ্যে জমে নাই । জমিয়াছে শুধু অপৰ্য্যাপ্ত ব্যর্থ সঞ্চয় । অবশু আমি বৈষ্ণবসাহিত্যের কথা তুলি নাই । বৈষ্ণযসাহিত্যই বাংলাদেশে বিদ্রোহের সাহিত্যের একটা বড় নমুনা । তাহাঁই বাংলার একমাত্র রোমাণ্টিক’ সাহিত্য ! সেইজন্য দেখিতে দেখিতে একসময়ে দেশের একপ্রান্ত হইতে আর- এক প্রান্ত পর্য্যস্ত পৈষ্ণবপদ কৰ্ত্তার গান ছাই এ। গিয়াfছল । আমাদের সমাজের প্রাচীর চতু দিকে অপ্ৰভেদী হইয়া মামুযের স্বাভাবিক প্রবৃত্তিগুলিকে কারারুদ্ধ করিয়া প্রাপিয়ছিল বলিয়াই বাহিবের সৰ্ব্বনাশী বঁাশীর রব তাহার মধ্যে আন অত্যও দরকার হইয়াছিল । এবং গোপনে সেই কারাগারের মধ্যে সুরঙ্গ করিয়া বাহিরের বিদ্রোহকে প্রবেশ করানোর কৃত্রিম উত্তেজনাও দেথা দিয়াছিল । সাহিত্য সমাজের ধার ধরে না বলিয়1, সমাজের હિમ ત્રિનિદ્ર মধ্যে さWi*yび ○ [চন্তু মে পীড়া অল্প ভব করে, সাহিত্যে তাহ। অনায়াসেই প্রকাশ পায় । আমাদের দেশে রোমাণ্টিক সাহিত্যের সস্তাবনা বিরল ছিল বলিয়াই রোমাণ্টিক তাপ আমাদের সাহিত্যে এমন আকারে প্রকাশ পাইল যাহাকে কোনমতেই সহজ. স্বাভাবিক ও নীতিমূলক বলা যায় না । স্বভাবকে সমাজ চাপ দিয়া পিষিয়া মারিবার চেষ্টা করিলেও, স্বভাব আপনাকে প্রকাশ করিবেই করিবে । যদি তাহা সুস্থভাবে আপনাকে প্রকাশ করিতে বাধা পায়, তবে অসুস্থ ও অস্বাভাবিক ভাবেই তাহার প্রকাশ হইবে । প্রবাসী—পৌষ, ১৩২১ • [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড - - ۶-۹ عاعی -م به حمی &N"هير * يA ,. م خ٦ مي ٩ ۶ K-م *- بي ه r . বৈষ্ণবসাহিত্যের একটা মস্ত মুস্কিল ছিল এই ষে তাহাকে বিশেষ একটি রূপক আশ্রয় করিয়া আত্মপ্রকাশ করিতে হইয়াছিল । কোন মধ্যস্থকে আশ্রয় করিয়া প্রেমালাপ চালানো যেমন অস্বাভাবিক ও ক্রমশঃ অসম্ভব হইয়া দাড়ায়, ওরকম আত্মপ্রকাশও বেশিদিন পর্য্যন্ত সাহিত্যের এলাকার মধ্যে চলিতে পারে না । বিশেষতঃ বৈষ্ণবধৰ্ম্মের সঙ্গে বৈষ্ণবসাহিত্যের নিগূঢ় যোগেব কথাটা মনে রাখিতে হইবে । বৈষ্ণবধৰ্ম্ম যখন বৈষ্ণবসাহিত্যকে ভগবান ও জীবের রসলীলার রূপকরূপে ব্যবহার করিতে সুরু করিয়াছিল, তখন হইতেই বৈষ্ণবসাহিত্যের প্রাণ ক্রমশঃ ক্ষীণ হইয়া পড়িতে লাগিল । তখন কৃত্রিম পদাবলী রচনার পালা দেখা দিল । বিদ্যাপতি, চণ্ডীদাস প্রভূতির পদরচনার অনুকরণে ঝুড়ি ঝুড়ি পদাবলী রচিত হইতে আরম্ভ কfরল বটে, কিন্তু সে কার্য্য কতদিন পর্য্যন্ত চলে ? পদাবলীসাহিত্যের স্রোত বন্ধ হইয়া গিয়া তাহ। ডোবার আকার ধারণ করিল—তাহার জীবন বিলুপ্ত হইয়া তাহার তত্ত্ব প্রাধান্ত লাভ করিয়া সেই ডোবাটীকে সকল ভক্ত বৈষ্ণবের নিকটে অমৃতকুণ্ড করিয়া রাখিল । অতএব সহিত্যে আর পদাবলীর নূতন বিকাশ দেখিবার ঙ্গো নাই—সাহিত্যে তাহার কাজ ফুরা ইয়াছে । তারপর মধ্যে সুদীর্ঘকালের নিৰ্ব্বাসন-পাচালী ও কবির লড়াইয়ের পর্ব। কোথায় প্রাণ, কোথায় গান, কোথায় জীবনের যৌবনের অপৰ্য্যাপ্ত আনন্দোচ্ছাস ! সেই সুদীর্ঘ নিৰ্ব্বাসনের পর আজ যৌবনের শৃঙ্গ ধ্বনি আমাদের শাস্ত পল্লীপ্রাঙ্গণকে মুখরিত করিয়া দিয়াছে । এবার সকল সংস্কারের প্রাচীর লঙ্ঘন করিয়। আমাদিগকে বিশ্বের উন্মুক্ত উদার রাজপথে বাহির হইতে হইবে । এবার ভেরী বাজিয়াছে, কালে। তেজস্বী ঘোড়ার মত নব নব ভাবের সারি ছুটিয়াছে। এবার তরুণ সাহিত্যযাত্রীদের মুখের উপর স্বৰ্য্যালোক পড়ক, তাহদের জয়োল্পসিত ললাটে জ্যোতি ফুরিত হৌকৃ! শ্ৰীঅজিতকুমার চক্রবত্তী ।