পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তেই দুইজনের অনুরাগ হইল এবং উভয়ের বিবাহও হইয়া গেল । ২১ বৎসর ধাইতে না যাইতে উভয়েই স্ব স্ব মুৰ্ত্তি ধারণ করিল—একত্র বাস করা অfর সম্ভব হইল না । যাহার এক সময়ে এক জন অপরকে প্রাণের প্রাণ বলিয়া সম্বোধন করিত এবং ভাবিত অনন্তকাল হইতেই, যেন তাহার প্রেমণুখলে বাধা ছিল,—তাহার। আজি কেবল অপরিচিত নহে,—পরম্পর পরস্পরের পরম শক্ৰ । এপ্রকার অনুরাগ ও পিরাগের কারণ নির্ণয়ের জন্য পুনর্জন্মে যাওয়া অনাবশুক । ( ૨ ) জীব ব্রহ্মভেদের জন্য দেহ আবখ্যক । কোন কোন জন্ম ষ্ট্ররণাদী বলেন— SSBBBB BSBBB BBBB BBB BBBBB BB BBBB S সুতরাং জীব যে অবস্থায়ই থাকৃ, তাহার কোন-না-কোন প্রকার শরীর থাকা আবশ্ব ক ।” এখানে তিনটি বস্তুৰ কথা বলা হইয়াছে—( ১ ) ব্রহ্ম, (২) জাব (৩) আবরণ বা দেহ । বলা হইতেছে আবরণ রহিয়াছে বলিয়াই জীব ব্ৰহ্ম হইতে ভিন্ন । দেহ না থাকিলে ভেদ থাকি ত না । ‘ভেদ থাকিত না" ইহাতে দুই অর্থ হইতে পারে। প্রথমতঃ—উভয়ের মধ্যে জাতিগত ভেদ থাকি ত না, উভয়ে এক জাতীয় বস্তু হইয়া যাহত । ইহাই ধদি প্রকৃত অর্থ হয় তবে সকলেই মৃত্যু কামনা করিবে । কে না ব্রহ্মজাতীয় বস্তু হইতে চায় ? দ্বিতায় অর্থ এই জীব ব্রগে মিলিয়। যাই ত। এই যুক্তি জড়পাদ ভিন্ন আর কিছুই নহে। ব্ৰহ্ম যদি পটাকাশ হইত, আর জীব ঘটাকাশ হষ্টত, তাহা হইলে ঘটের অ ভাবে ধটাকাশ পটাকাশের সঙ্গে মিশিয়। যাই ত । ব্রহ্ম যদি অনন্ত আকাশব্যাপী কোল বায়বীয় পদার্থ হইত, আর জীবাত্ম। সসীম স্থানব্যাপী কোনপ্রকার বাষ্পীয় বস্তু হুইত, তাহা হইলে অবশ্যই জীবের একটা আবরণ আবশ্যক হইত। কিংবা পরমাত্মা যদি অসীম জলরাশি হইত, আর জীবাত্মা কোন ভাণ্ডস্থ জল হইত, তাহা হইলে ভাগুরুপ আবরণ বিনষ্ট হইলে অবশ্যই সসীম জলের অস্তিত্ব থাকিত না, ইহা অসীম জলের 態 জন্মান্তর-বাদ ৩২৫ ~. .ير ة - ما يت-سم 8 - سمو - - جو تحته সহুিত মিশিয়া যাইত। অনেকেই মনে করেন আত্মা যেন একটা স্বল্প বায়বীয় পদার্থ, এবং এই পদার্থটি শরীর ব্যাপিয়া রহিয়াছে। বোতলের মধ্যে যেমন গ্যাস থাকে দেহের মধ্যেও যেন তেমনি আত্মী পুহিয়াছে । ব্ৰহ্ম ও ,অতুরূপ একটি পদার্থ। পার্থক্য এই জীবাত্মা দেঙ্গ ব্যাপিয়া থাকে, আর পরমাত্মা অনন্ত স্থান ব্যাপিয়া রহিয়াছেন । র্যাহাদের মনে এইপ্রকার ধারণ আছে, র্তাহারা সহজেই বলিবেন যে এই দেহ নষ্ট হইয়া গেলে জীবাত্ম। পরমাত্মার সহিত মিশিয়া যায় । কিন্তু জীবাত্ম ও পরমাত্মার যে পার্থক্য তাহ স্থানব্যাপ্তি-মূলক নহে। মানবের যে ব্যক্তিত্ব, সেই ব্যক্তিত্বেই তাহঃকে ব্ৰহ্ম হইতে এবং অপরাপর বস্তু হইতে পৃথক করিয়াছে! মানবাত্ম ও পরমাত্মার মধ্যে যতটুকু পার্থক্য আছে, এক ব্যক্তিত্বই ঐ পার্থক্যের মূল ও নিদর্শন । “আমি ‘অমিত্ব’ ‘আমার’ ইত্যাদি জ্ঞান ও ভাব দ্বারা মানব ব্ৰহ্ম হইতে পৃথকৃ হইয়াছে। যে শক্তি দ্বারা “আমিত্ব’ ‘মমত্ব’ ইত্যাদি উৎপন্ন হষ্টয়াছে সেই শক্তিই মানবকে ব্ৰহ্ম হইতে পৃথক্ করিয়াছে। এই পার্থক্য কাহারও মতে আংশিক, কাহারও মতে পূর্ণ। দার্শনিক ভাবে ইহাকে আংশিকই বল, আর পূর্ণই বল, এই ব্যক্তিত্বজ্ঞানেই মানব আপনাকে পরমাত্মা হইতে এবং অপরাপর বস্তু হইতে পৃথক্ মনে করে । যদি ব্যক্তিত্ববোধ না থাকি ৩, তাহ হইগে এই প্রশ্নই উঠিত না যে জীবাত্মা পরমাত্ম হইতে পৃথক কি না।’ ব্যক্তিত্বকে আমরা আত্মার কেন্দ্ৰ বলিতে পারি । প্রত্যেক আত্মারই একটি কেন্দ্র এবং কেন্দ্র ভিকর্ষণ শক্তি আছে । এই শক্তিবলেই জ্ঞান প্রেমাদি আত্মার কেন্দাভিমুখ হইয়। থাকে । ইহাতেই প্রত্যেক আত্মার বিশেষত্ব। জীবাত্মার বিশেষত্ব ইহার আধ্যাত্মিক প্রকৃতিতেই নিহিত, বাহ কোন উপায়ে ইহার বিশেষত্ব উৎপন্ন হয় না । ইহার সঙ্গে সঙ্গে এক-একখালা দেহ থাকিতে পারে, কিন্তু আত্মার বিশেষত্বের জন্য দেহের কোন আবখ্যক নাই । আত্মার সহিত দেহের সম্বন্ধ আছে, কিন্তু এ সম্বন্ধ আধার আধেয় সম্বন্ধ নহে, এ সম্বন্ধ ব্যাপ্তিমূলক নহে, এ সম্বন্ধ কার্য্যকারণ সম্বন্ধও নহে। সম্বন্ধ যে কি প্রকার সে