পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S SJSJJAS JSJJA SJS JS JJJ SAAAA S SAAAAA * ۶ - ه ۹۶ ۶ * رده ۶ی বিষয়ে অত্যন্ত মতভেদ, কিন্তু ইহা আমাদের বিচাৰ্য্য বিষয় নহে । আমরা এখানে একটা প্রশ্ন করিতে পারি— “একটা জড়ীয় আবরণ না থাকিলেষ্ট কি দুইটি বস্তর মধ্যে ভেদ চলিয়া বায় ? জড়বস্তুবিধয়েও সব সময়ে ইহা সত্য নহে এবং অধ্যাত্মরাজ্যের বস্তুবিষয়েও ইহা সত্য নহে । বায়বীয়বস্তুবিষয়ে ইহা সত্য হইতে পারে ; অম্লজান, জলজান' ইত্যাদি বস্তু পরস্পরের সহিত মিশিয়া যায় । কিন্তু জল ও তেল কথন মেশে না, দুগ্ধ ও পারদকে একত্র রাখিলেও ইহুদিগের ভেদ চলিয়া যায় না । কতকগুলি প্রস্তর, কতকগুলি টাকা একসঙ্গে রাখিলেও ইহাদিগের স্বতন্ত্র অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয় না। অধ্যাত্মবস্তুবিযয়েও জড়ীয় আবরণ দরকার হয় না । অশ্ববিষয়ে আমার একটি জ্ঞান আছে, লৌহবিষয়েও একটি জ্ঞান আছে ; এই উভয় জ্ঞানকে পৃথক করিবার জন্য কি জড়ীয় আবরণ দরকার । আমাদিগের অন্তরে কতপ্রকার জ্ঞান, কত বিষয়ের প্রতি প্রেম ;-এক জ্ঞান হইতে অন্ত জ্ঞানকে পৃথক্ করিবার জন্য, এক প্রেমকে অন্ত প্রেম হইতে পৃথকৃ করিবার জন্য, জ্ঞান হইতে প্রেমকে পৃথক করিবার জন্য কি একএকটা বেষ্টন দরকার হইয়াছে ? ( o ) সসীম জ্ঞানের দেহ অবিস্তাক । -۶ - ۰ م - ۹ هر - ۶۳۹ » ه - ۹ জন্মাস্তরের আর একটি যুক্তি এই :–অসীম জ্ঞানের পক্ষে কোন প্রকার শরীরের প্রয়োজন নাই কিন্তু সসীম জ্ঞান হইলেই বুঝা যায় ইহা সক্টরীর—ইহার কোন বেষ্টন আছে । , এযুক্তি পূৰ্ব্বযুক্তিরই রূপান্তর এবং ইহাও জড়বাদ । র্যাহার। এই যুক্তি দিয়াছেন তাহার। জড়বাদী না হইতে পারেন কিন্তু জড়বাদ সূক্ষ্মভাবে তাহীদের প্রাণে কার্য্য করিতেছে। তাহীদের মনের ভাব বিশ্লেষণ করিলে এইপ্রকার দাড়ায়—শরীরের বিস্তৃতি আছে এবং এই বিস্তৃতির সীমা আছে ; আর যাচ। অসীম--তাহারও বিস্তৃতি আছে কিন্তু ইহা অনন্তপ্রসারিত, সৰ্ব্বদিকে ইহ। বিস্তৃত হইয়। রহিয়াছে। এই স্থানব্যাপ্তির ভাব প্রাণে কাৰ্য্য করিতেছে বলিয়াই পূৰ্ব্বোক্ত জন্মান্তরবাদীগণ বলিতে পারিয়াছেন—অসীম জ্ঞানের শরীর নাই আর সসীম জ্ঞানের শরীর আছে। জ্ঞানটা যেন দেহে আবদ্ধ প্রবাসী—পৌষ, ১৩২১ [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড হইয়া রহিয়াছে—দেহটাই যেন জ্ঞানের সীম। আচ্ছ। আপাততঃ ইহাই ধরিয়া লওয়া যাউক । এখানে আমরা জিজ্ঞাসা করি সতসত্যই কি জ্ঞানবস্তুট দেহের মধ্যে আবদ্ধ ? দেহের বহিঃস্থ কোন বস্তুকে কি ইহা জানিতে পারিতেছে না ? বরং অনেক সময়ে ইহার বিপরীত কথাই সত্য,—শরীরের ভিতরে কি ঘটনা ঘটিতেছে, তাহা আমরা ততটা জানি না – বাহিরের ঘটনা যতটা জানি । কিন্তু আসল কথাটা এই যে জ্ঞান স্থান ব্যাপিয়া থাকে না । ‘অসীম জ্ঞান’ ও ‘সসীম জ্ঞান”—ইহাদিগের এ অর্থ নয় যে অসীম জ্ঞান অনন্ত স্থান ব্যাপিয়া থাকে আর সসীম জ্ঞান অল্প স্থান ব্যাপিয়া থাকে। যে জ্ঞানের নিকট সমুদয় বিষয় যথার্থ ভাবে এবং অপরোক্ষভাবে প্রকাশিত হয়, তাহাই অমস্ত জ্ঞান ; আর যে জ্ঞানের নিকট সমুদয় বিযয় সমগ্রভাবে প্রকাশিত হয় না তাহাই সসীম জ্ঞান । আর একটা কথা—জড়বস্তুকে খণ্ড খণ্ড করা যায় ; একখানা কাষ্ঠকে যত ইচ্ছা ভাগ করা সম্ভব । কিন্তু জ্ঞানবস্তুকে কি এপ্রকারে ভাগ করা যায় ? আমাদিগের যে স্নেহ, ভালবাসা এসমুদয়কে কি খণ্ড খণ্ড করা সম্ভব ? 'মানবেয় জ্ঞান সসীম’ ইহার অর্থ ইহা নয় যে দেহরূপ কোন জড়বস্তুর সাহায্যে অনন্তজ্ঞান হইতে অংশবিশেষ পৃথক করা হইয়াছে। সমুদ্রের জলরাশি হইতে অংশবিশেষকে কোন প্রকার পাত্রের সাহায্যে পৃথক করা সম্ভব, কিন্তু আত্মার বিষয়ে এপ্রকার সন্তব নহে। আমরা পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি ব্যক্তিত্বই আস্থার পার্থক্যের কারণ । (8) আত্মার স্বায়বীয় যন্ত্র আবশ্বাক । পুনর্জন্মের আর একটি যুক্তি এই –“আমরা বর্তমান অবস্থায় দেখিতে পাই, আমাদের অনেক ক্রিয়াই—সম্ভবতঃ সমুদয় ক্রিয়াই— শরীরের সহযোগিতার উপর, স্নায়বিক যন্ত্রের সহযোগিতার উপর নির্ভর করে । স্নায়বিক যন্ত্র অবসন্ত্র ও দুর্বল হইয়। পড়িলেই মানুষ ঘুমাইয়া পড়ে–মানবাত্মার ব্যক্তিগত প্রকাশ বন্ধ হইয়া যায়,-দর্শন, শ্রবণ, স্পর্শন, মনন, ধান প্রভূতি সমস্ত মানসিক ক্রিয় এবং ব্যক্তিগত জীবনের মুলীভুত অহংবোধ পৰ্য্যন্ত নিরুদ্ধ হইয়া যায় । ইহাতে কি ইহাই সপ্রমাণ হয় না যে, মানবাত্মার ব্যক্তিগত প্রকাশের পক্ষে কোন-না-কোন প্রকার শরীর, স্নায়বিক যন্ত্রের স্যায় কোন-না-কোন জড়ীয় আশ্রয় একান্ত আৰষ্ঠক ?"