পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২৮ イ ダ* ママ ヘヘノ ** ** کر ۹ রাজ্যে রূপ, রস, গন্ধ, স্পর্শ ও শব্দ কি সৰ্ব্বস্ব ? এ ছাড়া কি আর তাহার জগৎ নাই ? চিরকাল কি ঐ একই বিযয় ভোগ করিতে হইবে ? চিরকাল যদি এইরূপ রসাদি লইয়াই থাকিতে হয় তাহা হইলে জীবনধারণ যে বিষম জিনিষ হঠয়া দাড়াইবে । এই দেহ লইয়া সুস্থভাবেই কি কেহ ২০•৩৭০ বৎসর, কি ৫০০ বৎসর, কি হাজার বৎসর জীবনধারণ করিতে ইচ্ছা করে ? অামাদিগের মনে হয় বিধা তার রাজ্য অনন্ত রত্বের ভাণ্ডার । কেবল ইহজীবনের কৰ্ম্মেন্দ্রিয় ও জ্ঞানেন্দ্রিয় দ্বারা এসমুদয় রত্ন লাভ করা যায় না। এমন উপায় হইতে পারে এবং হইবে, যাহা দ্বারা বিধাতার রাজ্যের অপরদিকও জানিতে পারিব । বিদেহ আত্মা । অনেক পুনর্জন্মবাদী আমাদিগকে প্রশ্ন করিয়া থাকেন —“যদি পুনর্জন্ম না থাকে তবে মৃত্যুর পর আত্মা কি অবস্থায় থাকে ?" এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া মানলের সাধ্যাতীত । র্যাহারা আত্মার অমরত্বে বিশ্বাস করেন, র্তাহারা বলেন মৃত্যুর পর আস্থা থাকে এইমাত্র জানি । কিন্তু কিতাবে থাকে ৩াহ বল। অসম্ভব । ইহা অপেক্ষা অধিক কিছু বলিতে গেলেই কল্পনার উপর কল্পনা আসিবে। এই উত্তরে অনেক পুনর্জন্মবাদী সস্তুষ্ট হন না । তঁহাদিগে মধ্যে কেহ কেহ বলেন “বিদেহু আয়ার কল্পনা করা যায় না । যাহ। কল্পনাই করা যায় না, তাহার অস্তিত্ব কি সস্তব ?” যাহার যেখন শিক্ষ। তাহার কল্পনাও তদ্রুপ । একজনের নিকট যে-কল্পনা অসম্ভব, অষ্ঠের নিকট তাহ। šņs elfs afstf4$ i The speaking chip 43 গল্প অনেকেই জানেন । মুখে কথা বলা হইল না, একখণ্ড কাষ্ঠে কয়েকটা দাগ দেওয়া হস্তগ আর কথা বলার কাজ হইয়া গেল—ইহা এখনও অনেককে বুঝাইয়া দেওয়া যায় না। আমরা যাহাকে ‘লেখা' বলি তাহ। ধে ভাষা’র স্থান অধিকার করিতে পারে, ইহা এখনও অনেক অসভ্যঞ্জাতি কল্পনা করিতে পারে না । টেলি প্রবাসী—পৌষ, ১৩২১ い」パいんへ, ヘヘ / * ヘ_/い、ヘー/ゞ一ノハノヘヘヘへ-** ヘーヘノ下、ヘノヘヘヘ下 [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS S S S S S S S S SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS গ্রাফের ব্যাপার ইহাদিগের কল্পনার অতীত। জগতের শতকরা ৯০ জন লোক ফনোগ্রাফের বিযয় কল্পনা করিতে পারে না । পৃথিবীর অপরদিকে উন্ট হইয়৷ মানুয রহিয়াছে ইহা কি সকলে কল্পনা করিতে পারে ? নক্ষত্র, স্বৰ্য্য পৃথিবী চন্দ্রাদি শূন্তে রহিয়াছে ইহা ক-জন করিতে সমর্থ ? অামাদিগের আত্মাটা কি, ইহা কি ভাবে রহিয়াছে সভ্যসমাজেরও ক-জন লোক ইহা ধারণা করিতে পারে ? যাহাকে বলে “দেহাত্মবুদ্ধি”—অনেকের ধারণাই ঠিক তাহাঙ্গ । আত্মবিষয়ে অধিকাংশ লোকের যে ধারণা, তাহ বিশ্লেষণ করিলে বুঝা যায় যে তাহদিগের আত্মা একটা স্বক্ষ জড় বই আর কিছুই নহে। বোতলে যেমন তেল কি গ্যাস থাকে দেহুেও তেমনিভাবে আত্মা রহিয়াছে । ইহাদিগকে বুঝাইয়া দাও যে আত্মা স্থান বাপিয়া থাকে না—অথচ ইহার সহিত দেহের একটা সম্বন্ধ আছে—তাহার এপ্রকার আত্মার ধারণাই করিতে পরিবে না। অনেক পণ্ডিত লোকও এপ্রকার আত্মার অস্তিত্ব কল্পনা করিতে পারেন না । তাহার পর ঈশ্বরের কথা । অনেকে ত ঈশ্বরকে মানুষের মত দেহশালী বলিয়াই ভাবে। যাহার। জ্ঞানজগতে একটুকু অগ্রসর হইয়াছে, তাহার। এমনইভাবে ঈশ্বরের বিষয় কল্পনা করে যাহা বিশ্লেষণ কfরলে বুঝা যায় ঈশ্বর যেন অতি স্বগ্ন বাষ্প, বাতাস অপেক্ষাও সূক্ষ্ম কোন বস্তু ; বাতাস যেমন আকাশ পূর্ণ করিয়া থাকে, ঈশ্বরও তেমনি সমস্ত ব্ৰহ্মাও পূর্ণ করিয়া রহিয়াছেন। সময়ে ঈশ্বরের আরস্ত নাই, সময়ে ঈশ্বরের শেষ নাই—ইহা কি আমরা সকলে ধারণা করিতে পারি ? এমন একটা বস্তু কিপ্রকারে থাকিতে পারে ? —ইহ। অনেকেরই কল্পনার অতীত । অথচ জ্ঞানীগণ এই মতই প্রচার করিতেছেন। মৃত্যুর পর আত্মা কি ভাবে থাকিবে ইহা আমরা জানিনা— তবে বিদেহ অবস্থ। কল্পনা কর। অসম্ভব নহে। ভাল করিয়া বুঝিতে চেষ্টা কর এখন আত্মা কি ভাবে আছে, তাহা হইলে অনেকটা বুঝিবে পরকালে আত্মা কি ভাবে থাকিবে । আত্মা যে দেহ ব্যাপিয়া আছে তাহী নহে ; রথে যেমন রথী বসিয়া রথ পরিচালনা করে আত্মা সেই ভাবে দেহে বর্তমান তাহাও নহে—আত্মা দেহের বহির্ভাগে