পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] বসিয়াছেন । মাড়বারী পোষাক, আহার এবং ভাষা আশ্রয় করিয়া তাহারা বিদ্যাধর এবং মুরলীধরের ন্যায় না হইলেও অনেকটা মাড়বারী ভাবাপন্ন হইয়া গিয়াছেন । মদনমোহনের পুরোহিত গোস্বামী চৈতন্তকিশোর, সাধারণের নিকট “চাদজী” নামে প্রসিদ্ধ ; দুই বৎসর হইল তিনি পুরলোক গমন করিয়াছেন । র্তাহার জ্যেষ্ঠপুত্রের বয়স দ্বাদশ বৎসর, এক্ষণে তিনিই কেরোলীর মদনমোহনের মন্দিরের গোস্বামী হইয়াছেন এবং কনিষ্ঠ শিশুপুত্র ( বয়স ২ বৎসর মাত্র ) জয়পুরের মদনমোহনের গোস্বামীপদ প্রাপ্ত হইয়াছেন । কি জয়পুর কি কেরোঁলী মদনমোহনের গোস্বামী বাঙ্গালী হওয়াই চাই। এই প্রথা মূলবিগ্রহপ্রতিষ্ঠাতা বুন্দাবনের সনাতনগোস্বামী হইতে চলিয়। আসিতেছে কথিত আছে মুলতানবাসী রামদাস নামক জনৈক বণিক যমুনার উপর দিয়া আগ্র। যাইতেছিলেন। এমন সমর কালীদহের ঘাটে বালুচরে তাহার পণ্য ভরা নেীক আটকাইয়া গেল । রামদাস তিনদিন বহু চেষ্টা করিয়া ও নৌকা উদ্ধার করিতে না পরিয়া তীরে আসিয়া উপষ্ঠি : হইলেন এবং তথায় সেীমামুৰ্বি সনাতন গোস্বামীকে দেখিতে পাইয়। তাহার শরণাগত হইলেন । গোস্ব।ম! বণিককে মদনমোহনকে স্তবে তুষ্ট করিতে উপদেশ দিলেন। মদনমোহনের কৃপায় রামদাসের নেীক উদ্ধারলাভ করিল। রামদাস পণ্য বিক্রয় করিয়া যথাসময়ে বিক্রয়লব্ধ সমস্ত অর্থ গোস্বামীর করে সমর্পণ করিলেন । সেই অর্থে মদনমোহনের মন্দির নিৰ্ম্মিত হইল । তথন হইতে মদনমোহনের পূজারী বাঙ্গালী গোস্বামীদিগের নাম মুলতান পর্য্যন্ত বিস্তুত হয় এবং সনাতন গোস্বামীর শিষ্যাশ্নশিষ্যবৰ্গ পঞ্জাব প্রদেশে প্রতিষ্ঠালাভ করেন। যাহা হউক জয়পুরের গৌড়ীয় বৈষ্ণবগণকে গোবিন্দজীর একমাত্র সেবাধিকারী দেখিয়া শঙ্কর সন্ন্যাসী সম্প্রদায় ঈর্ষান্বিত হন এবং জয়পুরাধিপতিকে বুঝান যে শঙ্করের শারীরিক ভাষা ব্যতীত রামকুজ, মাধবাচার্য্য, বিষ্ণুস্বামী ও নিম্বাদিত এই সম্প্রদায়চতুষ্টয়ের চারিখানি বেদা স্তভাষ্য আছে, কিন্তু চৈতন্যসম্প্রদায়ের তাহা নাই । সুতরাং চৈতন্যদেবের মত অসম্প্রদায়ী । অসম্প্রদায়ী রাজপুতানায় বাঙ্গালী উপনিবেশ రిల్పి SS S SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSASم ب - م <- - --م --- --م 5ાનકો હ હૈtફાલ બૂન 1 বৈষ্ণবগণ গোবিন্দজার সেবাধিকারী হই তে পারেন না। কথিত আছে রাজা সন্ন্যাসীদিগের উক্তির সত্যাসত্যত। নির্ণয়ার্থ এক মহাসভার অনুষ্ঠান করেন এবং তাহাতে নামস্থানের সাধু ও পণ্ডিতগণ নিমন্ত্রিত হন । পশ্চিমের উদাসীন পণ্ডিতমণ্ডলীর সহিত ধুন্দাবনের বাঙ্গালী বৈষ্ণবগণও সেই সভায় উপস্থিত হন। গৌড়ীয় বৈষ্ণবগণের মধ্যে বৈষ্ণবদর্শন ও ভক্তিশাস্ত্রে অদ্বিতীয় পণ্ডিত বলদেব বিদ্যাভূষণও বৃন্দাবন হইতে গমন করেন । বিচারে প্রতিপক্ষ বিদ্যাভূষণের নিকট সৰ্ব্বতোভাবে পরাস্ত হইলেন। তাহার। তখন কৌশলে, বাঙ্গালী পণ্ডিতকে পরাজয় স্বীকার করাইবার জন্য বৈষ্ণুবসম্প্রদায়ের ভাব্য দেখিতে চাহিলেন । বলদেব বিদ্যাভূষণ তাহাতে সম্মত হুইলে সভা ভঙ্গ হইল। বিদ্যাভূষণ অসাধারণ প্রতিভা ও অনঙ্গলাধারণ অধ্যবসায়-বলে সম্পূর্ণ নূতন ভাষা সম্বর