পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V)8S -A^^ ఇ7*. *. - - می ها - تر می ۹می میہ “তাহা কেমন করিয়া হইবে ? তোমার পরিবর্তুে য়ে পূজারী হইয়াছে সে বড় কড়া লোক ৷” এই সময়ে দুরে অশ্বপদশব্দ শ্রুত হইল, পুরুষোত্তম তাহ! শুনিয়া “বাবারে’ বলিয়া দ্রুতপদে পলায়ন করিল, ইহার এক মুহুর্ত পরেই একজন অশ্বারোহী অশ্বথুরোথিতধূলিতে রাজপথ অন্ধকালুময় করিয়া প্রাসাদের দিকে চলিয়া গেল ; ইহার পরেই মাধবী পুরুষোত্তমের কণ্ঠনিঃস্থত আৰ্ত্তনাদ শুনিতে পাইয়। ক্রতপদে সেইদিকে অগ্র সর হইল এবং কিয়দর গিয়া দেখিল ষে সে পথের ধূলায় পড়িয়া “গে। গো” করিতেছে। পুরুষোত্তম মাধবীর পদশব্দ শুনিয়া ঈষৎ চক্ষুরুন্মীলন করিয়া তাহাকে দেখিয়া লইল, তাহার পরে অধিকতর বেগে শব্দ করিতে অণরস্তু করিল। মাধবী ৩tহা দেখিতে পাইয়া হাসিয়া জিজ্ঞাসা করিল “ঠাকুর কি তইয়াছে ?” অনেকক্ষণ পরে পুরুষোত্তম কহিল “ব্রহ্মদৈত্য ।” তখন মাধবী কঠিল “একট। ব্রহ্মদৈত্য দেখিয়াছ, আরও যে দশটা আসিতেছে—” ইহা ওনিয়া পুরুষোত্তম শৰ্ম্ম৷ দ্বিতীয় বাক্যব্যয় না করিয়৷ উৰ্দ্ধশ্বাসে সেইস্তান হইতে পলায়ন করিল। দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ । মিলনে বাধা । বুদ্ধ অমাত্য উদ্ধব ঘোষ গোকর্ণদুর্গদ্বারের সম্মুখে বৃহৎ অশ্বথরক্ষতলে সুখাসনে বসিয়া ছিলেন, দুই একজন বৃদ্ধ সেন, দুই একজন প্রাচীন কৰ্ম্মচারী এবং দুই একজন প্রজ বৃক্ষ তলের পরিস্কৃত ভূমিতে বসিয়া ছিল, তাহার। কল্যাণী দেবীর বিবাহের কথা আলোচনা করিতেছিলেন । একজন গ্রামবুদ্ধ বলিতেছিলেন যে কুমারী যেীবণসীমায় পদার্পণ করিয়াছেন, অতএব তাহাকে অবিবাহিত অবস্থায় রাখা উচিত নহে । তাহা ওনিয়া উদ্ধব ঘোষ কহিলেন “কুমারী বাগদত্ত হইয়া আছেন, এখন মহারাজাধিরাজের সময় হইলেই শুভকাৰ্য্য সম্পন্ন হইয়া যায় । আমারও বয়স হইয়। আসিল, কথন আছি কখন নাই, মানুষের জীবনের কথা ত কিছু বলা যায় না। আমি জীবিত থাকিতে থাকিতে কুমারীর বিবাহ হইলেই ভাল হয়।” একজন বৃদ্ধ সেনানায়ক কহিল “আমার বোধ হয় অন্যত্র প্রবাসী—পৌষ, ১৩২১ AAAAAASAAAAS AAAAAMAMAMAeJSSSSJ SSS JSSS SSAAAAS S ASAAAAAAS AAAAA AAAAAS S [১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড SA S ASAAeMAS AJeM AMSAS A SAS SSAS SJSJAAA AAAAS AAASASAS eS কল্যাণীদেবীর বিবাহ দিলে শুভ হইত।" উদ্ধব ঘোষ ব্যস্ত হইয়। জিজ্ঞাসা করিলেন “কেন ?” “শুভকার্য্যে দুই তিনবার বাধা পড়িয়া গেল, কুলমহিলার বলিতেছেন যে এই বিবাহে শুভ ফল হইবে না।" “ন না—বাধা পড়ে নাই। প্রথমবার স্বগীয় মহারাজ যথন গোকৰ্ণ হইতে রাজধানীতে ফিরিলেন, তখন বিবাহ অসম্ভব বলিয়াই করণক্রিয়া হইয়া গেল। স্বগীয় মহারাজ গোপাল দেব গৌড়ে ফিরিলেই দেশের সমস্ত সামন্তরাজগণ একত্র হইয়া তাঙ্গাকে সম্রাট বলিয়। বরণ করিলেন । আমাদের গোবৰ্দ্ধনমঠের বিশ্বানন্দ স্বামীই ত তাহার মূল । সম্রাট হইয়া নুতন রাজ্যে শান্তি স্থাপন করিতে করিতে এই কয়বৎসর কাটিয়া গেল, এতদিন সকলেই যুদ্ধবিগ্রহে ব্যস্ত ছিলাম । ব্যস্ত না থাকিয়া উপায় কি ? কি বল হে কেশবদাস ? দস্থ্য তস্কর শাসন না করিলে, আর তস্করের মত দুই একজন রাজাকে সমুচিত শিক্ষা না দিলে ত নিরাপদে দেশে বাস করিবার উপায় নাই ।” গোকর্ণের বৃদ্ধ মণ্ডল কেশব দাস, অমাত্যের সম্মুথে ভূমিতে বসিয়া ছিল, সে একটি দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিয়া কহিল “প্রভু, সমস্তই মনে আছে, আমি কি কখনও তাহা ভুলিতে পারিব ! আমি যে তখন দুই পুত্র ও পাঁচটি পৌত্র হারাইয়াছি প্রভু!” উদ্ধবঘোষ লজ্জিত হইয়া কহিলেন, “সত্য কেশব, অরাজকতার কথা সৰ্ব্বাপেক্ষ তোমারই অধিকদিন মনে থাকিবে। তাহার পর দেশে যখন শান্তি স্থাপিত হইল, তখন কল্যাণীদেবীর বিবাহেরও স্থির হইল ; কিন্তু দূরদৃষ্টবশতঃ বিবাহের পূৰ্ব্বেই হঠাৎ স্বগীয় মহারাজের স্বৰ্গলাভ হইল । এখন মহারাজের শ্রাদ্ধাদি শেষ হইয়া গিয়াছে, বোধ হয় শাস্ত্রই কল্যাণীদেবীর বিবাহ হইবে । দেথ বলদেব, আমি প্রত্যহই গৌড় হইতে দুত অথবা ঘটক আসিবে মনে করিতেছি।” পূৰ্ব্বোক্ত বৃদ্ধ সেনানায়ক জিজ্ঞাসা করিল “গৌড় হইতে পূৰ্ব্বাহ্নে কোন সংবাদ পাইয়াছেন কি ?” উদ্ধব।— না, সংবাদ পাই নাই বটে, তবে কি জানি কেন আমার নিত্যই মনে হয়,—আজি যেন সশীর্ষ নারিকেল লইয়া রাজধানী হইতে ঘটক আসিবে।