পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○○ o লিথিতে পারে । যদি কেবল সংস্কৃতের দিকে তাকাইয়া ম ন চে। র বা মনে চো র প্রভূতি শব্দকে বঙ্গভাষার সীমা হইতে উড়াইয়া দিবার জন্য দণ্ডহস্তে উপস্থিত হওয়া যায়, তাহা হইলে কেবল ঐ শব্দটিকে তাড়ান হইবে না, বঙ্গভাষার পাণটুকুকেও আক্রমণ করা হইবে বলিয়া আমার মনে হয়। খাটা সংস্কৃত শব্দ ও বাঙলায় প্রয়োগ কর। যখন বিহিত আছে, তথন লেখক নিজের ইচ্ছামত রচনার সৌন্দর্য্য অব্যাহত রাখিয়া য ন শ্চে রও লিথিতে পারেন, কিন্তু ম ন চে। র, কিংবা ম নে চেt র-লেখককে কেহ অবজ্ঞা করিতে পায়েন না ; কেননা,অবজ্ঞার কোন কারণ নাই । এবং এইরূপেই বিদ্যাসাগর মহাশয়ের, ম ন। স্তর দেখিয়া ও আমাদের শিহরিয়া উঠিবার কারণ পাই । এইজন্যই মহামতি দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের নূতন সংস্করণের স্ব প্ল K D SBLL BBBS BB BBBB BBBS BBB BBBB করি নাই । দ্বিজেন্দ্রনাথ তৌল করিয়া ওজন করিয়া শব্দ প্রয়োগ করেন, যেখানে যেটি যেরূপ প্রয়েtঙ্গণ, তিনি সেখানে সেইটিকেই সেইরূপেই প্রয়োগ করবেন । এইজন্য ঠাহার এই কার্য্যে আমরা দেখিতে পাই তিনি প্রয়োজনানুসারে সংস্কৃত-বাঙলা হিসালে নানরূপে মন সূ শব্দ প্রয়োগ করিয়াছেন। উiহার প্রয়োগগুলি নির্দেশ করিতেছি ঃ– ১ । য নো হ র ( ৫৩ ইত্যাদি ), ম নো র৷ জা, ( a ) মনে৷ জু! লা ( ৭১ ), ম নে? ব1 &া ( ১৪৬ ), মনঃ (৭১) । ২ । য নো দু থে (৭২, ম নে মাঝে । ৮৮ ) । ৩ । ম ন উন্ম৷ দি নী (৬১) । ৪ । ম নে অ শ্ব (১৯ ), ম নে আ ভি রাম (১৪৩) । * ৫ । মনে ক ৰ্ণ ( ৩২ ) । ఆ | x it శ్రీ జె ( పిరిd ) ! বঙ্গভাষার লেখকের অভাব নাই, কিন্তু খাট বাঙলা শব্দ প্রয়োগে নিপুণ লোকের সংখ৷ বেশী নাই। এ বিষয়ে দ্বিজেন্দ্রনাথের প্রতিম্পন্ধী হইতে পারেন এরূপ ক1হাকেও জানি না । সংস্কৃতের ক্সে "কটা আজিকাল বড় বেশী দেখিতে পাওয়া যায়। লেখকের। অধিকাংশই সংস্কৃত শব্দ প্রয়োগে উন্মুখ, ভয় আছে, পাছে কোন দোষ আসিয়া পড়ে । ইহার ফলে এই দাড়াইতেছে যে, অনেক বাঙলা শব্দ আর স্বচ্ছন্দভাবে প্রযুক্ত হইতেছে না। দ্বিজেন্দ্রনাথের লেখায় এ অভিযোগ করিবার নাই। পাঠক একবার তাহার এই নুতন সংস্করণের স্ব প্ল প্রয়া ৭ পড়িয়া দেখিতে পারেন । বঙ্গদেশের অনেক লোক বলিয়া থাকে ব ই শ1থ ( = বৈশাখ ), ভ ষ্ট্র র ব (ভৈরব ), গ উ র (=গেীর), “স উ র ভ” (= সৌরভ), *অ উ ৰ ধ” ( ঔষধ , কিন্তু দ্বিজেন্দ্রনাথ ভিন্ন অfর কাহারো লেখায় আজকাল এরূপ প্রয়োগ দেখি নাই ( ৬৫, ৭৫ ) । প্রাকৃতে এইরূপ উচ্চারণ হইয়া থাকে, ব্যাকরণে ইহার স্বত্রই আছে ( হেমচন্দ্র, ৮-১-১৫১, ১৬২ ; শুভচষ্ট, ১-২-১৯৪, ১১২ ৷ হয় না। আবার পালি-প্রাকৃতে থাকিলেই যে তাহ1 বাঙলাতেও ব্যবহার করিতে পার বাইবে, ইহা হইতে পারে না। দেখিতে হুইবে বাঙলার প্রকৃতির সহিত ত{হfর সামঞ্জস্ত আছে কি না । বাঙলারও যে, একটা স্বাতস্থ্য আছে।

  • পালি-প্রাকৃতেও এইরূপ হইতে পারে, বৈদিক সাহিত্যেও এতাদৃশ সন্ধি সুপ্রসিদ্ধ আছে। পাণিনিকে এজন্য স্বত্রই করিতে হইয়াছে ( ৬-১-১১৫ ) । যথা, শি রে! অ প শু মূ ( শিল্পোৎপশুম

হুইবে না ) । প্রবাসী—পোষ, X ●रे X [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড ক্রমদীশ্বর, ৮-১-৩৭, ৪১ ; বররুচি, ১-৩৫,৪১ - মার্কণ্ডেয়, ১-৪৩,৪৯ ত্রিবিক্রম, ১-২-১০৩, ১০৬ ( ২৪২৫ ) ; চণ্ড, ( ২-৭,৯ ) । দ্বিজেন্দ্রনা প্রাকৃত ব্যাকরণের স্বত্র খুজিয়। তদনুসারে স উ র ভ লিথিয়াছে বলিয়া অtযুণর মনে হয় না, উtহাকে প্রাকৃত অ লোচনা করিে দেখি নাই । প্রাকৃত হইতে বঙ্গ ভাষায় বে প্রবাহ আসিয়া৷ে তিনি তাহাতেই ঐ রূপ লিখিয়াছেন, ইহাতে কোনে কৃত্রিমত নাই। বাঙলার খtট রূপটি হার নিকট অব্যাহত ছিল বলিয়৷ তিনি তাহ লিখিতে পারিয়াছেন। কয়েকটি প্রাচীন উদাহরণ দিই— “জ উ ৰ ন ( = ঘেীবন ) হাথি করি আ অবধান ।" “cখড়হু ক উ তু কে ( =কৌতুকে ) ননন্দ বোধবি ।” ধ ই র জ ( = ধৈর্য্য ) ধএ রহ মিলত মুরারি।" বিদ্যাপতি, ( পরি) ১৩৯, ১৬৬, ১৬৮ । একটা বাল্যকালের কথা মনে পড়িল । আমি তখন মধ্য ইংরাঙ্গীর দ্বিতীয় বা তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ি । আমার কনিষ্ঠে বারিামে একটি হাতুড়ে কবিরাজ হাত দেথিয়৷ বলিয়াছিলেন ‘বা । = বায়ু) কুপি গু হইয়াছে।’ আমি তখন ইস্কুলে পড়িতেছি কথাটা শুনিয়াই হাসিতে লাগিলাম, কবিরাজ বা য়ু বলিতে জানে না ! এইরূপ এখানে ( মালদহে ) সাধারণে প্রচলিত য উ । =ম যুর ) শুনিয়াও ইসিতাম। তারপর যখন প্রাকৃত ব্যাকরণে সহিত পরিচয় হইল, তখন জানিলাম ঐ দুইটি শব্দ খাটা প্রাকৃত আজকাল বঙ্গসাহিত্যে কেহ এরূপ লিখিলে "অশুদ্ধ। অদ্ভুত । বলিয়া অনেকেই হাসিবেন । কিন্তু প্রাচীন বাঙলায় এরূপ ছিল না । দ্বিজেন্দ্রনাথের লেখায় এই প্রাচীন ভাবটা . এখনো কতব রহিয়াছে । প্রসঙ্গক্রমে আমরা একটু দূরে আসিয়া পড়িয়ছি। আবার প্রকৃত বিষয় অনুসরণ করা যাউক । খাট বাঙলায় বিসর্গের ব্যবহার নাই, ই২ বলিয়াছি । আলোচ্য ম ন শব্দের বাঙলার সাত বিভক্তির রূপও চিন্তা করিলে ইহা সুস্পষ্ট বুঝা যাহৰে। এইঞ্জস্যই বাঙলাতে বস্তু ত: ই. ক্রম শ: ই প্রভূতি পদ লেখকের সংস্কৃতে ঝোক প্রকাশ করে মাত্র। ব স্তু ত ই, এ ম শ ই লেখাই ঠিক । শেষে ইকার না দিলেও বস্তু ত, ক্রম শ, এইরূপ বিসর্গহীন করিয়া লেখা মুক্তিযুক্ত, 31হা হইলেই উচ্চারণfনুযায়ী হয়। বিশেষ বিশেস স্থানের কথা স্বতন্ত্র । যেখাণে আমরা খাটা সংস্কৃতই উচ্চারণ করিয়া থাকি, সেখানে বিসর্থের প্রয়োগই যুক্তিযুক্ত, ইহার লোপ ঠিক হুইবে না । যথা, শি রঃ-পী ডু। শি র পা ড়। আমরা সাধারণত বলি না। রচনাবিশেষে যদি এইরূপ কোথাও বলিবার প্রয়োজন হয়, তবে সেখানে ইহাই অনুমোদনীয় । ললিতবাবুর প্রদর্শিত এই-জাতীয় শব্দ-সম্বন্ধে আমাদের বক্তব্য সম্প্রতি এইখানেই শেষ করা যাউক । শ্ৰীবিধুশেখর ভটাচাৰ্য্য। আশ্বাস ধূসর উষর গিরি তারি ধারে ধীরে ধীরে তযু দুটি বেণুদণ্ড কাপে চন্দ্রালোকে, দোহারে পৃথক করে পাষাণ রয়েছে পড়ে’ বায়ুর আশ্বাসে তবু মিলিছে পুলকে। ঐপ্রিয়ম্বদা দেবী।