পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] গিয়া উপস্থিত হন । এবং পিতৃহন্তার দণ্ডবিধানের জন্য সম্রাট জাহাঙ্গীরের নিকট সমস্ত জ্ঞাপন করেন ও তাহার সাহায্য প্রার্থনা করেন । সম্রাট জাহাঙ্গীর মানসিংহের অধীনে বহু সৈন্তসহ কচুরায়কে প্রতীপদমনে প্রেরণ করেন। কচুরায়ের মন্ত্রণায় এবং কৃষ্ণনগর-রাজবংশের আদিপুরুষ ভবানন্দ মজুমদারের সহায়তায় এবার মানসিংহ জয়লাভ করেন । কচুরায় যশোহরের সিংহাসনে অধিরূঢ় হইলেন এবং ভবানন্দ মজুমদার মানসিংহের সহিত দিল্লী আগমন করিলেন । ১৬০৬ খৃষ্টাব্দে অর্থাৎ জাহাঙ্গীরের রাজত্বের দ্বিতীয় বৎসরে ভবানন্দ মজুমদার দিল্লীশ্বর জাহাঙ্গীরের নিকট হইতে বঙ্গদেশে চতুর্দশ পরগণার দেওয়ানী সনন্দ প্রাপ্ত হইয়া দেশে প্রত্যাবৰ্ত্তন করেন । সপ্তদশ শতাব্দীর শেষভাগে ( ১৬৯২ খৃঃ অব্দ ) দিনাজপুর রাজবংশের পুৰ্ব্বপুরুষ প্রাণনাথ রায় দিল্লী যাত্রা করিয়াছিলেন । তাহার বিরুদ্ধে দিল্লীদরবারে অতিযোগ উপস্থিত হইলে তিনি সম্রাট আওরঙ্গজেবের সমীপে সন্তোষজনকরুপে আত্মপক্ষ সমর্থন করিয়া দেবমুক্ত হন। বাদসাহ তাহার প্রতি সস্তুষ্ট হইয়া “রাজা” উপাধি ও বহুমূল্য খেলাৎ দ্বার। তাহাকে সম্মানিত করেন । দিল্লীযাত্রাকালে তিনি বৃন্দাবনে যমুনার জলে যে রাধাকৃষ্ণমূৰ্ত্তি পাইয়াছিলেন, দিনাজপুরে ফিরিয়া সেই যুগলমূৰ্ত্তি রুক্মিণীকান্ত নাম দিয়া নিজ গৃহে প্রতিষ্ঠিত করেন। তাহার বংশধর রাজা রামনাথ ১৭৭৫ খৃষ্টাব্দে দিল্লী-দরবারে মহারাজা খেতাব ও বহুমূল্য খেলাত পাইয়াছিলেন। তিনি স্বীয় অধিকার সুরক্ষিত করিবার জন্য দুর্গ নিৰ্ম্মাণ, অস্ত্রাগার রক্ষণ ও সৈন্যপোষণের অসুমতি পাইয়া দেশে ফিরিয়াছিলেন এবং স্বহস্তে দিনাজপুর রাজ্যের ভার লইয়াছিলেন । * ঐ বংশের রাজা কৃষ্ণনাথ রায় দিল্লীর বাদসাহ দ্বিতীয় সাহ আলমের নিকট মহারাজ উপাধি ও রাজ্যপ্রাপ্তির সনন্দ লইয়া দেশে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিয়াছিলেন। † প্রথম সাহ আলম বা বাহাদুর সাহের রাজত্বকালে র্তাহার পুত্র আজীম-উশ-শান্‌ সুবে বাঙ্গালার নাজাম ও দেওয়ান ছিলেন । তাহার অধীনে জৈমুদ্দীন

  • "সংক্ষিপ্তে। দিনাজপুর-রাজবংশ:"— একাদশ-সর্গ: । f ঐ ষোড়শ-সগঃ ।

পঞ্জাবে বাঙ্গালী উপনিবেশ 尊 vවද එ নামে একব্যক্তি হুগলীর ফৌজদার ছিলেন। কিঙ্করসেন নামে জনৈক বাঙ্গালী জৈমুদিীনের পেশকার ছিলেন । তিনি এই ঙ্গৈসুন্দীনের সহিত দিল্লী গমন করিয়াছিলেন : বেহারের নায়েব সুবাদার মহারাজা বাহাদুর জানকীনাথ সোমের পুএ ওড়িষ্যার মুবাদার ফুলতল্লাম সোম ধিনি ১৭৬৫ অব্দে মীরজাফরের মন্ত্রীর পদে হইয়াছিলেন তিনি যখন লর্ড ক্লাইভের সঙ্গে সম্রাট ও সুজাউদৌলার সহিত সন্ধি দৃঢ় করিবার জন্য দিল্লী আগমন করেন তখন তাহার কার্য্যকুশলতায় প্রত হইয়। বাদসাহ তাহাকে “মহারাজ মহীন্দ্র” এই উপাধি এবং বেহারের অন্তর্গত ১৮৭৫০০ টাকা আয়ের নীতপুর পরগণা জায়গীর দান করিয়াছিলেন । রাজ। দুগতরাম কোম্পানীর দেওয়ানী প্রাপ্ত হইয়াও ৬ লক্ষ টাকা আয়ের আর একটি জায়গার (রঙ্গপুর জেলায় ) পাইয়াছিলেন । রাঞ্জ পীতাম্বর মিএ ভারতের বিখ্যাত প্রত্নতত্ত্ববিদ স্বগীয় রাজা রাজেন্দ্রলাল মিত্রের প্রপিতামহ ছিলেন। তিনি ১৭৪৭ খৃষ্টাব্দে বঙ্গের নবাব আলীবদীখার প্রাক্তত্বকালে ২৪ পরগণার অন্তর্গত বরিস গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দিল্লীর সম্রাট সাহ আলমের একজন সেনাপতি ছিলেন । সম্রাট ইহাকে রাজ উপাধির সহিত দশসহস্র মুসলমান অশ্বারোহী সৈঙ্গের অধিনায়ক করিয়৷ দেন ; এবং এলাহাবাদ সহরের নিকটস্থ “কড়ার” সুদৃঢ় দুগ ও নগর জায়গীর স্বরূপ দান করেন। তাহার সম্বন্ধে বিস্তারিত বিবরণ ইতিপূৰ্ব্বে আমরা প্রবাসীতে প্রকাশ কfরয়াছি। ১৭৬৫ অব্দে বক্সারের যুদ্ধের পর দিল্লীশ্বর সাহ আলম ইংরেজের নিকট পেন্সন প্রাপ্ত হন । তাহার ২৭ বংসর পরে অর্থাৎ ১৭৯২ অব্দে দিল্লী ওfরএণ্টাল কলেজ ( Oriental College, Delhi ) 8ffoi 5 gg 1 F(alteg প্রাচীন ইতিহাস অনুসন্ধান করিলে বাঙ্গালী অধ্যাপকের সন্ধান পাওয়া ষাইতে পারে । উনবিংশ শতাব্দীর প্রারস্তে অর্থাৎ ১৮•৩ খৃষ্টাব্দে দিল্লী ইংরেজ কর্তৃক সম্পূর্ণরূপে অধিকৃত হইয়া উওর-পশ্চিম প্রদেশূের ( N. W. Provinces, প্রাচীন মধ্যদেশ ) অস্ত ভুক্তি এবং সিপাহীবিদ্রোহের পর হইতে ইহা পঞ্জাব প্রদেশের শাসনকৰ্ত্তার অধীন করা হয় । দিল্লী সহরে ১৮৩৯ খৃষ্টাব্দে গবর্ণমেণ্ট ডিসপেন্সর খোলা