পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७^*ौल ‘বাঁকুড়াগপূণে প্রকাশ– 尊 .. “মহকুমার প্রায় সৰ্ব্বত্রই ম্যালেরিয়ার প্রকোপ লক্ষিত হইতেছে।" ‘হিন্দুরঞ্জিকা'য় রাজস্যহীর অবস্থা ব্যক্ত— R "அன்கு ২ৎসরের তুলনায় এবfর এখানে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ খুব বেশী।" পাবনার ‘সুরাজ বিলাপ-স্বরে জানাইতেছেন— “আমাদের টির পরিচিত প্রিয় সুহৃদ ম্যালেরিয়াও তাহার খাতাপত্র সহ ঠিক সময়েই হাঞ্জির । ঘরে ঘরে কেবল রোগীর যন্ত্রণ, আর মুমুযুর আর্তনাদ । পেটে ভাত নাই, তুষ্ণ নিবারণের জল নাই, জীবনরক্ষার সমুদায় উপায় হইতে বঞ্চি ত হইয়া এ হতভাগ্য জাতি তবে কি এইরূপেই ধরাপৃষ্ঠ হইতে লুপ্ত হইবে ?” বীরভূমবাসী বীরভূমের সমাচার বলিতেছেন— “ভীষণ ম্যালেরিয়ায় এবার বীরভূমের প্রত্যেক পল্লীর প্রায় প্রত্যেক ব্যক্তি আক্রাস্ত হইয়াছে । এমন কথন হয় নাই ।” আসানসোল এতদিন নিশিচন্ত ছিল । কিন্তু এখন সকলের সঙ্গে সুর মিলাইয়া ‘রত্নাকর ও বলিতেছেন— “এ বৎসর স্বাস্থ্যের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। পূৰ্ব্বে এ-সকল স্থানে ম্যালেরিয়া রোগ ছিল না ; কিন্তু এবৎসর ম্যালেরিয়ার অত্যন্ত প্রাদুর্ভাব দেখা যাইতেছে। কি সহর কি পল্লী, সকল স্থান হইতেই ম্যালেরিয়ার প্রকোপের সংবাদ প{ওয়া ষ ইতেছে । সংক্রমিক বাধি ও স্থানে স্থানে পরিলক্ষিত হইতেছে।” ডায়মণ্ডহারবার ও চট্টগ্রামেরও রেহাই নাই । ‘জ্যোতিঃ’তে প্রকাশ-— “চটগ্রামে কলের। দেখা দিয়ছে ।" ‘ডায়মণ্ডহারবার-হিতৈষী’ ঘোষণা করিয়াছেন— “মহকুমায় জ্বর-জ্বালার প্রাদুভাব অত্যধিক । স্থানে স্থানে কলেরাও দেখা দিতেছে । একে শস্যনাশ, তাহার উপর রোগযন্ত্রণ " ঠিক কথ। – “এক রামে রক্ষা নাই ৯ গ্রীব দোসর - ‘শস্তনাশ’ ও রোগযন্ত্রণ।" দুইটা পৃথক ব্যাপার হইলেও, একের প্রাবল্য অপরেরও শক্তিসঞ্চয়ের যে গৌণ কারণ হয় তাহাতে সনেীহ নাই । শরীর সুস্থ থাকিলে বিপদের সঙ্গে থানিকটাও যোব যায় এবং ঘরে থাবার থাকিলে রোগেরও ঔষধপথ্য জোটে । কৃষিবিদ্যার উৎকর্ষের সহিত কৃষিক্ষেত্রের প্রসার বদ্ধিত হইলে কোন কোন অংশে ম্যালেরিয়ার বীজও দূরীভূত হইতে পারে, আবার ম্যালেরিয়া নাশ করিতে শুপ্রয়াসী হইলে তৎস্থত্রে সহরপল্লীর যে সংস্কারসাধনের প্রয়োজন হয় তাহাতে কৃষির সহায়তা হইতে পারে । ‘কাজের লোক' ম্যালেরিয়ার প্রবাসী—পৌষ, ১৩২১ [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড নিদানতত্ত্বের আলোচনাপ্রসঙ্গে উপসংহারে স্পষ্টতঃ বলিয়াছেন— “ম্যালেরিয়া-নিদান-সম্বন্ধে মনীষীগণের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন মত পরিলক্ষিত হইলেও সাহাতে প্রতি গ্রামে উৎকৃষ্ট পানীয় জল পাওয়া ষায়, জলনিকাশের ব্যবস্থা হয়, পুরাতন পয়ঃপ্রবাহগুলি সুসংস্কৃত হয়, অৰ্দ্ধমৃত নদ-নদীগুলি অপেক্ষাকৃত সুপ্রসর ও স্রোতস্বিনী হয়, ঘন বনজঙ্গল মশকের আবাসভূমি পরিষ্কৃত হয়, তৎপক্ষে সকলেরই সচেষ্ট হওয়া বিশেষ অবশ্যক ৷” ‘বাঁকুড়াদর্পণেও ঐ কথারই পুনরুক্তি— “আমরা দেখিতে পাই যে কোথাও । জল-নির্গমনের পথ রুদ্ধ হওয়ায়, কোথাও বা জল-নির্গমনের পথ একেবারে না থাকায় স্বাস্থ্যহানি ঘটিয়াছে । অনেক গ্রামে এইরূপ কতকগুল গtছ-গাছড়া আছে ষে তাহার তলভূমি প্রায়ই সেতসেতে থাকে এবং বহু কাটাপু সেই স্থান আশ্রয় করে। দেশের স্বাস্থোর উন্নতি করিতে হইলে জলনিকাশের পথ এবং আগাছা কৰ্ত্তনের দিকে বিশেষ মনোযোগ দিতে হইবে । বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাবেও যে বিবিধ সংক্রামক পীড়া প্রসার লাভ করিতেছে, তদ্বিষয়েও সন্দেহ নাই ।” ‘বৰ্দ্ধমান-সঞ্জীবনী ও উপরিউক্ত মতেরই প্রতিপোষক । উহাতে প্রকাশ– “পল্লী-স্বাস্থ্য সম্বন্ধে আমরা যতই আলোচনা করি না কেন, তন্মধ্যে গোটাকতক কথা প্রয়োজনীয় । সেই কথা কয়েকটির প্রতি কর্ণপাত করিয়া কর্তৃপক্ষ যদি পল্লীস্বাস্থ্যোমতিসাধনে মনোনিবেশ করেন তাহ হইলে তাtশা করা যায় মালেরিয়ার প্রকোপ হইতে আমাদের শ্মশানকল্প পল্লী গ্রামগুলি অবাঙ্গতি লাভে সমর্থ হইতে পারে । কথাগুলি এই :-প্রত্যেক গ্রামে সুপেয় জল-সংস্থান এবং জল-নি কাশের সম্যক ব্যবস্থা করা, ও বন জঙ্গল পরিস্কার করা ও আবর্জন স্তুপীকৃত হইয়া বায়ু দূষিত ও দুর্গন্ধময় না করে তৎপ্রতি লক্ষ্য রাখা । এইগুলি ষে পল্লী-স্বাস্থোর উন্নতিসাধনের পক্ষে অত্যাবশ্ব ক তাহ1সকলেই স্বীকার করিলেন এ বিষয়ে মত-দ্বৈধ হইতে পারে না ।” ম্যালেরিয়া-নাশকল্পে উপরি ধুত যুক্তি গ্রাহা হইলে, কৃষিক্ষেত্রেও “জলনিকাশের সম্যক ব্যবস্থা'য় একদিকে যেমন অনাবৃষ্টির হস্ত হইতে কথঞ্চিৎ রক্ষা পাওয়া ধাইবে, অন্যদিকে বনজঙ্গল পরিস্কৃত হইয়া চাষের বিস্তৃতি ঘটাইবারও সহায়তা করিবে । ইহার উপর যদি কৃষকগণকে শিক্ষা দিয়া আধুনিক কৃষিবিদ্যায় অভিজ্ঞ করা যায় তো সে সোনায় সোহাগা | কিন্তু উদ্যম বা চেষ্ট। কোথায় ? ‘রঙ্গপুর-দিকপ্রকাশ’ সত্যসত্যই হতাশের আক্ষেপ জানাইয়াছেন— “কল্লেtলিনীগুলি লৌহ-বন্ধনে বদ্ধ হইয়। নিৰ্ব্বাক হইয়। গিয়াছে —সে মৃত্য নাই, সে স্বাস্থ্যমূলভ আনন্দ-কল্লোল নাই, আজ দূরপ্রসারিত সিকতারাশি তাহাদিগকে ক্রমশঃ ঢাকিয়া ফেলিতেছে । জাজ তাহীদের আপনাদেরই দেহ ধৌত করিবার সামর্থ্য নাই,