পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্য। ] মধ্যে কাৰ্য্যকারণ সম্পর্কের বিষয় বলিতে গিয়া, সমুদয় বালক বালিকাকে যাহার দ্বারা শিক্ষালাভ করিতে বাধ্য করা যায়, এরূপ আইনের সমর্থন করিয়াছেন ; এইরূপ শিক্ষাকে তিনি অপরাধ প্রবৃত্তির ঔষধস্বরূপ মনে করিতেন । এই হেতু তিনি দেশের সমুদয় শিশুর শিক্ষার জষ্ঠ থেষ্টসংখ্যক বিদ্যালয় চালাইতে উপদেশ দিয়া গিয়াছেন । গবর্ণমেণ্টের মস্তব্যে দেখা যায় যে স্কুলপরিদর্শকের অনেকগুলি ক্ষণভঙ্গুর রকমের বিদ্যালয়কে নিরুৎসাহ *fastco (many of an ephemeral nature were discoura cd by inspectors) I aleigl a vi lfsa অনুমোদন করিতে পারি না । একেই তো দেশে বিদ্যnলয় কম ; তাহাতে আবার দুৰ্ব্বল বলিয়া কতকগুলিকে কোথায় যথেষ্ট সাহায্য ও উপদেশ ও সুশিক্ষক দিয়৷ পরিদর্শকের উৎসাহিত করিবেন, না তাহার সেগুলিকে নিরুৎসাহ করিয়াছেন । গবর্ণমেণ্টের দৃঢ়তার সহিত বগ। উচিত যে কোন স্কুলপরিদর্শক কোন বিদ্যালয়কে নিরুৎসাহ করিলে তাহা তাহার কৰ্ত্তব্যের ক্রটি বলিয়। গণ্য হইবে । আম চাই আর ও বিদ্যালয় এবং আরও শুfল বিদ্যালয় । সংখ্য ও উৎকর্ষ উভয়ই চাই । শিক্ষাবিভাগের ছোট বা বড় কোন কৰ্ম্মচারী যদি ইহা বলিয়া প্রবোধ দিতে চান যে সংখ্যা কমিলে কি হয়, বাকী বিদ্যালয়গুলির ভারী উন্নতি হইলে ছে, কিম্ব। যদি তিনি এরূপ ছেলে- তুলান কথা বলেন, যে, আগে বৰ্ত্তমান স্কুলগুলির উৎকর্ষ সাধন করিয়। পরে সংখ্যাবৃদ্ধিতে মন দিতে হইবে, তাহ হইলে অমর। ইহাই বলিব যে তিনি নিতান্ত অপ্রামাণ্য কথা বলিতেছেন । পৃথিবীর যে সকল দেশ জ্ঞানের জন্য বিখ্যাত, তাহার কোথাও স্কুলের ংখ্যা ও স্কুলের উৎকর্য এই উভয়ের মধ্যে এরূপ বিরোধ কল্পনা করা হয় নাই । গবর্ণমেণ্ট শিক্ষাবিভাগের ডিরেক্টর হর্ণেল সাহেবকে র্তাহার বিভাগের কাজ ভাল হইয়াছে বলিয়। ধন্যবাদ দিয়াছেন । কিন্তু যে দেশের অধিকাংশ লোক নিরক্ষর সে দেশে যখন প্রাথমিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা ক্রমাগত কমিয়া চলিয়াছে, তখন শিক্ষাবিভাগের কাজ সন্তোয বিবিধ প্রসঙ্গ মানুষের প্রতি পাইবার ইচ্ছ। 會 లిశీలి জন্মক হইয়াছে বলিয়া আমরা মনে করি না। অামাদের বিশ্বাস দেশের লোকেরও এই মত । মুসলমান প্রাথমিক শিক্ষার্থীর সংখ্যারদ্ধি . মোটের উপর প্রাথমিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭৭১৬ কমিয়াছে, কিন্তু মুসলমান প্রাথমিক નિજી માત્રા ૨૭૧8 বাড়িয়াছে । মুসলমানদের শাস্ত্রে এরূপ কোথাও লেখা নাই যে কোন শ্রেণীর মুসলমানের পক্ষে জ্ঞানলাভ নিযিদ্ধ ; বরং সকলের জ্ঞা নলাভের আবশু্যক তাই তাহাতে আছে । কিন্তু হিন্দুদের মধ্যে অনেকের এই ভ্রান্তসংস্কার অাছে যে শাস্ত্রে শূদ্রকে ও নারীকে শিক্ষা দিতে নিষেধ আছে ; যদিও হিন্দুর শ্রেষ্ঠ শাস্ত্র যে শ্রীতি তাহাতে এরূপ কথ। আছে বলিয়। কখনও শুনি নাই। আবার খুব বেশী শিক্ষিত কোন কোন হিন্দু পরিষ্কার ভাষায় নিম্নশ্রেণীর লোকদের লেখাপড়। শিখান যে উচিত নয়, এরূপ কথা বলিয়াছেন ; এবং অনেকেরই অলিখিত মত এইরূপ । সুতরাং মুসলমান ছাত্রের সংখ্যাবুদ্ধি ও হিন্দু ছাত্রের সংখ্যা হ্ৰাস আকস্মিক ঘটনা নহে । মানুষের প্রীতি পাইবার ইচ্ছা ইংলণ্ডের প্রধান মন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীরা যেমন নাম৷ যুক্তি দ্বারা জার্মেনীকে যুদ্ধের জন্য দোষী সাব্যস্ত করিয়াছেন, তেমনি জার্মেনীর প্রধান মন্ত্রী সে দিন এক বক্তৃতায় দেখাইতে চেষ্টা করিয়াছেন যে জার্মেনী শান্তিরক্ষার জন্যই বরাবর চেষ্টা করিয়াছেন, জার্মেনী বেলজিয়ম আক্রমণ করিবার পূৰ্ব্বেষ্ট ঐ দেশ নিরপেক্ষত ত্যাগ করিয়াছিল, এবং যুদ্ধের জন্য ইংলণ্ডই দায়ী ; কারণ ইংলণ্ড চেষ্টা করিলে এরূপ ব্যাপক যুদ্ধ নিধারণ করিতে পারিতেন, কিন্তু বাণিজ্যে নিজ প্রবলতম প্রতিদ্বন্দ্বী জার্মেনাকে নিম্পেধিত করিবার জঙ্গ, ইংলণ্ড তাহ করেন নাই । ইহার জবাব ইংরেজ সম্পাদকগণ দিয়াছেন । জার্মেনীর প্রধান প্রধান পণ্ডিত ও লেখকগণ ইতিপূৰ্ব্বেই স্বদেশের পক্ষে অনেক কথা লুিথিয়াছেন। ইংলণ্ডেরও প্রধান প্রধান গ্রন্থকারগণ তাহার জবাব দিয়াছেন । জার্মেন গবর্ণমেণ্ট যেমন মান নিরপেক্ষ দেশে আত্মপক্ষনানা প্রকার প্রবন্ধ প্রভৃতি প্রকাশ সমর্থন করিয়া