পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] পাহাড়, পশ্চিমে খেজুরবনের ভিতর আসোয়ান-নগর, দূরে নাইলের অপরকুলস্থ সুবর্ণরঞ্জিত বালুকাময় শৃঙ্গ । খানিক পরে মৰ্ম্ময়পৰ্ব্বতে পৌছিলাম। এই গ্রানাইটের জন্মনিকেতন, ইহাই একমাত্র মৰ্ম্মরশুঙ্গ। " মৰ্ম্মরশিলার উদ্ধদেশে উঠিলাম। দেখিলাম যতদূর দৃষ্টি ফুয় কেবল স্বর্ণরেণুসদৃশ বালুকারাশি এবং সুবর্ণস্ত,পের আভা উজ্জ্বল সূর্য্যকিরণের প্রভাবে চক্ষু ঝলসিয়া দিতেছে । “স্বদেশের ধূলি স্বর্ণরেণু বলি রেখে হৃদে এ ধ্রুবজ্ঞান ।” মিশরের এই অঞ্চলবাসী জনগণ বঙ্গকবিতার এই পদ যথার্থরূপে উপলব্ধি কfরতে সমর্থ ! লিশেরিন পল্লীর অধিবাসী । শোণ ও ফন্তুনদীর বালুকারাশি দেখিয়। ভারতবাসী এই সুবৰ্ণভূমির কথঞ্চিৎ আভাস পাইবেন । গ্রীকৃ পর্য্যটকের। বিহারের “হিরণ্যবাহু” নদীর নাম বালুকার বর্ণ দেখিয়াই দিয়াছিলেন । হুয়েস্থসাঙ্গের ভারতfবচরণেও এই সুবর্ণ নদীর সংবাদ পাওয়া যায় । কিন্তু - ০।৩০ মাইল বিস্তুত আবেষ্টনের সর্বত্র উদ্ধে ও নিম্নে, স্বর্ণরেণুর স্তর এই প্রথম দেখিলাম । কবরের দেশে দিন পনর 8Կ s , মৰ্ম্মরশৈলের পৃষ্ঠদেশে দাড়াইয়। সমস্ত,নাইলু উপত্যকার দৃপ্ত দেখিয়া লইলাম। লুক্সর ও কার্ণক পৰ্য্যন্ত আসিতে আসিতে ভাবিয়াছিলাম—-মিশরের একস্থান দেখিলেই সকল স্থান দেখা হই ল—মিশরের প্রাকৃতিক •দৃগু সৰ্ব্বত্রই একরূপ । আজ মৰ্ম্মরশুঙ্গ হইতে চারিদিকে দৃষ্টিপাত করিয়া বুঝি৩েছি—মিশরের *वकि१ প্রান্তে, নিউবিয়ার উ ওরাঞ্চলে, অসোয়ানের এই পাৰ্ব্বত্য মরুপ্রান্তরে সে কথা থাটে না । এখানে অভিনব জগৎ, নূতন দৃশু, নুগুন ক্ষেএ, নূতন দিঙ মণ্ডল, নূতন সৌন্দর্য্যের আকর । উত্তরে, দক্ষিণে, পূৰ্ব্বে, পশ্চিমে সৰ্ব্বত্রই পৰ্ব্বতশৃঙ্গসমূহ দাড়াইয়। ভিতরকার উপত্যকবি উপব দৃষ্টিনিক্ষেপ করিতেছে। এই আবেষ্টনের মধ্যে বাহিরের কোন শক্তি প্রবেশ করিতে পারে না । কেবল উত্তর হইতে বায়ুর প্রবল নিঃশ্বাস এবং উদ্ধ হইতে অগ্নিময় রৌদ্রতাপ এই উপত্যকার উপর প্রভাব বিস্তার করিতেছে । মৰ্ম্মরশৈলের পশ্চাদূভাগেই উচ্চতর গ্রানাইট পৰ্ব্বত উত্তরে দক্ষিণে লম্বমান । সম্মুখে পশ্চিম দিকৃ। পাদদেশে সুবর্ণরঞ্জিত মরুপ্রাগুর—প্রস্তিরের উপর কতিপয় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শুষ্ক নাইল-মুত্তিকার ইষ্টক-নিৰ্ম্মিত চতুষ্কোণ কুটীরের পল্লী উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত রহিয়াছে । এই স্বর্ণাভ মরুক্ষেত্রের উপর কৃষ্ণু ‘গালাবিয়া’-পরিহিত কৃষকগণ চলাফেরা করিতেছে । ৩াহার পর একসারি খেজুরবৃক্ষ নদীর কিনারায় শীতল ছায়া বিতরণ করিতেছে । সেই ছায়। উপভোগ করিবার জন্য কোন পাখী, জন্তু ব৷ নরনারা দেখিতেছি ন! । দক্ষিণ দিকে খেজুর কুঞ্জের ভিতর আসোয়ান-নগরের অট্টালিকাসমূহ। উত্তরে বৃক্ষশ্রেণীর নিম্নদেশেই স্ফটিক রেখার দ্যায় ক্ষুদ্রকায় নাইলনদ iপরাজিত । এই কাচসদৃশ বক্রগতি স্বহ্মস্বত্রের পশ্চিমকুলেই সুবর্ণবালুকাময় উচ্চ গিরিশৃঙ্গ । বাঙ্গালী কবি মিবার সম্বন্ধে গাণ্ডিয়াছেন "এমন স্নিগ্ধ নদী কাহার, কোথায় এমন ধূম্ৰ পাহাড় ।" আসোয়ানের পাহাড় ধূম্র নয়—কিস্থ এই পৰ্ব্বতবেষ্টিত মরুময় উপত্যকায় মিবার, জসলমার, এবং রাজপুতনার অন্যান্য স্থানের দৃশুই চোখের সম্মুখে ভাসিতে লাগিল । উদয়পুরের কৃষ্ণপাহাড়, ও উদ্ধান হ্রদ এবং সরোবর,