পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা j ¥ & *. 愛 - یعی ۹ تا ۶ مه ۶ ళ్న^ می با عسه تبیی ه . که به این امر ---- -ه একে একে সুন্দরীর দঙ্গ আসিয়া ভেনাস দেবীর মন্দির প্রাঙ্গণে উপস্থিত হইতে লাগিল। প্রথমে আসিল ইসমিনী। " উষার রক্তিম আলোকের মত পরিপূর্ণ তাহার রূপ, কবি-কল্পিত মুনী প্রতিমার মত সুঠাম তাহার কোমল দেহ-লত সে প্রতির্মী ভেনাসের প্রতিমূৰ্ত্তি নয়, লাবণ্যের প্রতিচ্ছবি ! 蠟 : . তাহার পর আসিল জারফি ! সে-দেহের সৌন্দর্ঘ্য ও লাগিম, অঙ্গভঙ্গি ও গতি যেন বন-দেবীর মতই সুন্দর, মনোরম ! মধ্যাহ্ন-স্বৰ্য্যের মত প্রখর তাহার চক্ষের চাহনি ; তাহাতে স্নিগ্ধতা নাই, আছে শুধু উজ্জ্বলতা ; সে সৌন্দৰ্য্য বাসনার উদ্রেক করিতে পারে কিন্তু প্রাণ প্রেমপ্লাবিত করিতে পারে না । তাহাকে জয় করিতে ইচ্ছা হয়, তুষ্ট করিতে ইচ্ছ। হয় না । তাহার পর আসিল ভারসী । • তাহার পূর্ববৰ্ত্তিনীদ্বয়ের সহিত তাহার কোন অংশেই সমতা ছিল না। বিশ্বপ্রেমই তাহীর চরিত্রের প্রধান বিশেষৰ প্রেমিকার রূপ না থাকিলেও ক্ষতি নাই, তাহারও তেমন রূপের চাকচিক্য ছিল না। তাহার প্রকৃতিগত ঔদ্ধত্য দেহের লালিত্যহানি করিয়াছিল। লাবণ্য তাহার সংস্পর্শে আসিতে শঙ্কিত হইত। উদ্ধতা জুনোর মত সে জয়মুকুট দাবী করিতে আসিয়াছিল, রূপ দেখাইয়া জয় লাভ করিতে আসে নাই। 發 তাহার পর আরও অনেক গ্ৰীক সুন্দরী আপনাদের রূপের আলোকে দিগ দেশ উদ্ভাসিত করিয়া সেই প্রাঙ্গণভূমে উপনীত হইল। সেই সুন্দরীগণের মিলিত রূপজ্যোতিতে সারা প্রাঙ্গণ জ্যোৎস্নার আলোকের মত রূপালোকে ভরিয়া উঠিল । সকলের শেষে আসিল ডরিস । সেই শান্ত মুন্দর রূপ দেখিবার জন্য উন্মুখভাবে মিলিত সকল দৃষ্টি সেই দিকে ধাবিত হইল। সকলেই একটু চঞ্চল হইয়া উঠিল। দর্শকদের মনে হইল বুঝি ভেনাস দেবী মানবী-ঘূৰ্ত্তি ধারণ করিয়া আপন মন্দির-প্রাঙ্গণে অবতীর্ণ হইলেন । - kò মনের মতন \ుల ইতিপূৰ্ব্বে যে আপনাকে শ্রেষ্ঠ মুসারী বলিয়া স্থির করিয়াছিল ডরিসকে দেখিয়া এতক্ষণে সে আপনার ভ্রম বুঝিতে পারিল । লজ্জায় তাহাঁর সার মুখখানি লাল হইয়া উঠিল, পর মুহূর্তেই দারুণ নৈরাঙ্গে তুহার সারা হৃদয় ভরিয়া উঠিল। অস্থির চিত্তে সে চতুর্দিকে তাকাইতে লাগিল । 彎 অদূরে বিচারকগণ সারি দিয়া বসিয় ছিলেন। তাহারাও ডরিসের স্বগীয় রূপ দেখিয়া বিক্ষিত হইলেন, স্তম্ভিত হইলেন। ক্রমে উংসবের কার্ঘ্য আরম্ভ হইল। বিচারকগণ গভীর মনোযোগ সহকারে প্রত্যেক সুন্দরীর রূপ দেখিলেন। শিল্পের চরম আদর্শ হইবার মত রূপ ডরিস ব্যতীত অন্য কাহারও দেখা গেল না। যে বাস্তব সুন্দরী তাহার = সারা দেহখানিই সমান সুন্দর হইবে । যাহার মস্তকের গঠনটি অনুপম তাহার দেহের অন্যান্য অংশ তেমন সুন্দর নহে, কাহারও বা শরীরের আকৃতিটি সুন্দর কিন্তু রূপের উজ্জ্বলতা নাই, এমনি একটা একটা খুত বাহিরু হইতে লাগিল । এরূপ সুন্দরী এdজয়মুকুটের অধিকারিণী নহে। বিধাতা মুক্তহস্তে যাহাকে সকল সৌন্দর্য দান করিয়াছেন কেবল সে-ই এ মুকুটের অধিকারিণী। কতক্ষ৭ পরে বিচারকার্য্য শেষ হইল । মন্দির মধ্যে তেনাস দেবীর একটি প্রতিমূৰ্ত্তি ছিল। সে মূৰ্ত্তি বিষ্ণুত শিল্পী ফিডিয়াসের কল্পনা-প্রস্থত। ન তাহার কৃত শ্রেষ্ঠমূৰ্ত্তি ; প্রকৃতি র্তাহার কল্পনা-নেঞ্জের সম্মুখে, যতটুকু সৌন্দর্য্যের আবরণ মোচন করিয়াছিল, কঠিন লৌহান্ত্রে তিনি তাহার সবটুকুই নিজাব পাষাণবক্ষে ফুটাইয়া তুলিয়াছিলেন। এমন সুন্দর মূৰ্ত্তি গ্রীসে জার একটিও ছিল না। প্রধান পুরোহিত দাড়াইয়া উঠিয়া ডরিসের মস্তকে জয়মুকুট পরাইয়া দিয়া বলিলেন,—“তুমিই এ মুকুটের অধিকারিণী। আজ থেকে তুমি রূপের রাণী হ’য়ে মুন্দরী মহলে রাজত্ব কর। এ নিম্পত্তিতে কাহারও কোন অসত্তোষের কারণ থাকবে না,— থাকতে পারে না। আজ থেকে তারা রূপের রাজ্য তোমায় ছেড়ে দিতে বাধ্য ; আর সুন্দরী ব’লে তারা গৰ্ব্ব করতে পারবে না।”