পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪২৬

  • ヘ、ヘ.- ** ベ、ヘー、メ へ /ー、マ ・て **、** ダ* ベー、_** ペー、

আমীর তখন গুনগুন করে গাইলে— প্রবাসী -

  • z ** z *、** タ“。

“মন ভায়ো রে সামালিয়া, মন ভায়োরে বকেয়া, সাওলি স্বরত মোহিনী মুরত হৃদে বীচে-মে সামায় । হৃদে বীচে-মে সামায় রে বকেয় ?” তখন জামীর হাসিয়া বলিল, “প্রেমিকবর ! এ মোহিনী মুরতথানি কণর ? & আমীর স্বর উচ্চে তুলিয়৷ গাহিল— “জল-মে স্থল-মে তল্‌ মে মন্‌-মে আপয় রে সীমায়। রে বtকেয়া ।” তখন তার উচ্চমধুর কণ্ঠে আকৃষ্ট হয়ে অনেকে এসে তাকে ঘিরে ফেললে । প্রয়াগের ইতর ভদ্র সব শ্রেণীর লোকেরই সে বিশেষ পরিচিত ছিল । সকলের সঙ্গে সে নির্বিবাদে মিশতে পারত, আর তার সদানন্দ প্রকৃতির গুণে সে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতার স্নেহের পাত্র ছিল, সবাই এসে তাকে ঘিরে দাড়াল । একজন বল্পে “আজ এই যমুনাতীরেই আমাদের সান্ধ্যসমিতি বস্থক । এইখানেই আজ আমরা আমীরের গান শুনব ।” তথন জামীরের সব চেষ্টা বিফল হল । সে তাব বক্তব্যবিষয় বলবার আর সময় পেলে না, বন্ধুরা একএকজনে আমীরকে এক-এক রকম গান গাইতে অনুরোধ করতে লাগল। সঙ্গীতপ্রিয় আমীর বন্ধুদের এরূপ অসুরোধ ও আব্দীরে অভ্যস্ত ছিল, সে সকলের কথা মেনে নিয়ে কৰুণ-প্ৰণয়ের গান গাইতে লাগল। গানের ছত্রে ছত্রে কি আকুলত কি নিরাশা কি অতৃপ্তি বাজ তে লাগল, সকলের অন্তর যেন কোন অজ্ঞাত দুঃখে ম্রিয়মাণ হয়ে পড়ল, যেন সে স্থানের আকাশে বাতাসে জলে স্থলে সৰ্ব্বত্র সেই নিরাশ প্রণয়ের করুণ বিলাপ ভাসতে লাগল ! গান শেষ হয়ে গেলেও কতক্ষণ পর্য্যন্ত সকলে মন্ত্রমুগ্ধের মত নীরবে বসে রইল। আমীরের মধুর কণ্ঠে সেই-সব মধুরতর প্রেমের গান তার সহচরবৃন্দের তরুণ হৃদয়ে নানা ভাবের তরঙ্গ তুলে শত আশ। আকাজক্ষার স্বষ্টি করছিল। কিন্তু তারা তাকে আর বেশিক্ষণ থামবার অবসর দিচ্ছিল না। একটার পর একটা গান হতে হতে ক্রমশ যে রাত্রি গভীর হয়ে যাচ্ছিল তা তাদের

  • べ * タマーへ

, ) రిషి) [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড X ・ 。ヘ*** ペ ダ* ダ丁s e \、ダ جبر_x۔ ی_N- نی - x চৈতন্য ছিল না। অবশেষে যখন গীর্জার ঘড়ীতে বারটার ঘণ্ট। বেজে উঠল তখন সেদিনকার মত তাদের নৈশসভা ভঙ্গ হল । দিনের পর দিন কাটতে লাগল। পরিবর্তন দেখা গেল না । সহরের প্রত্যেক পল্লীতেই সে পরিচিত ছিল। দিনের অধিকাংশ সময়ই সে প্রায় বন্ধুবান্ধবদের গৃহেই কাটিয়ে দিত। সন্ধ্যার পর কখন যমুনাতটে, কখন বা লক্ষ্যহীন ভাবে পথে পথে ঘুরে তার প্রিয় গানগুলি উচ্চকণ্ঠে গেয়ে বেড়াত। দ্বিপ্রহর রাতে যখন প্রত্যেক পল্লীর নরনারী ঘুমিয়ে পড়েছে, নিস্তব্ধ পথ জ্যোৎস্নার সুধাধারায় প্লাবিত, পথে ঘাটে জনমানবের চিহ্নমাত্রও নেই, তখন হয়ত সেই নিঝুম রাতে সে এক পথে পথে মনের আনন্দে গেয়ে বেড়াচ্ছে “মন ভয়োরে বঁাকেয়া ।” কতদিন তার কত বন্ধুবান্ধবেরা অৰ্দ্ধেক রাতে তন্দ্রীঘোরে তার গান শুনতে পেত "ঞ্জলমে স্থলমে তনমে মনমে আপয় রে সাময়িt ” কাকে সে খুজে বেড়ায় ? কার মোহিনী প্রতিমা তাকে পাগল করে তুলেছিল, যার সুন্দর রূপ সে অনুক্ষণ জলে, স্থলে, শূন্তে, নিজের অন্তরে চারিদিকে বিরাজিত দেখতে পেত ? কে সে তার মানসী সুন্দরী ? আবার কতদিন হয়ত বর্ষার সময় ধখন ভয়ানক বৃষ্টি পড়ছে, আকাশে গভীর কালে মেঘের স্তর চারিদিক অন্ধকারে ছেয়ে ফেলেছে, থেকে থেকে সেই অন্ধকারের মধ্যে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে আর কড়কড় করে মেঘ ডাকছে, সেই মেঘ ঝড় বৃষ্টির মধ্যে এক-একবার তার স্বর বাতাসে তেসে আসত— “বর্ষণ লাগি বুদিনওয়া ।” কেউ যদি তার কণ্ঠস্বর শুনে জানাল খুলে দেখত তা হলে হয়ত দেখতে পেত সে পথের পাশে কোন গাছতলায় ব। কারও বাড়ীর নীচে একটু স্থান করে নিয়ে দাড়িয়ে আছে আর মনের আনন্দে গান করছে। হয়ত তখন তার মাথা বেয়ে গা বেয়ে জল পড়ছে, কেঁকড়া কোকড়া কালো চুল গুলি কালো কালো সাপের ছানার মত থেকে থেকে ফণা তুলে নেচে নেচে উঠছে, তার আমীরের কোন