তার গানের স্বর হয়ত তার কানেও যাচ্ছে না। পাগল অস্থির হয়ে শেঠের বাড়ীর চারদিক প্রদক্ষিণ করে গান গেয়ে গেয়ে বেড়াতে লাগল । কই ! কোথাও কিছু শব্দ শোনা যায় না ত ? বিষম উৎকণ্ঠায় কাতর হয়ে সে গাছতলায় পড়ে রাত কাটালে । সকালে নিশ্চয় কোন খবর পাওয়া যাবে । সকাল হল, প্রতিদিনের মত যে যার নিয়মিত কাজ সাংস্ত করলে, সে সতৃষ্ণ নয়নে বাড়ীটির দিকে চেয়ে বসে রইল । বেলা হল, শেঠঞ্জীর বাড়ীতে প্রতিদিনের মত কাজকৰ্ম্ম চলতে লাগল । কিন্তু পাগল যে আর মন শান্ত রাখতে পারে না ! সে রাস্তার চারধারে বাড়ীর চারধারে ছুটে বেড়াতে লাগল, কোথায় ললিতার দেখা পাবে । কার কাছে তার খবর পাবে ? সমস্ত রাত্রি জাগরণ, উপবাস ও মনের বিষম উদ্বেগৈ তাকে কাতর করে তুললে। এই ভাবে সেদিন ও কেটে গেল । আবার সন্ধ্য এল, শেঠঙ্গী গদি থেকে বাড়ী ফিরলেন, তার বৈঠকে বন্ধুর সব প্রতিদিনের মত এক এক করে জুটতে লাগলেন, তাদের উচ্চহাসি ও গল্প প্রতিদিনের মতই সমভাবে চলতে লাগল। নিরানন্দ পাগল কেবল নিস্তব্ধ হয়ে বসে । সংসার যেমন চলছিল তেমনই চলছে, কোন বিষয়ে কিছুমাত্র ব্যতিক্রম হয় নি, কেবল তার কাছেই আজ সব শূন্তময় ! আজি দু-দিন হয়ে গেল সেই জানলাটি কে ট থোলেনি, আজ হুদিন সে ললিতাকে একবাবও দেখতে পায়নি, কি হল তার সে খবরটি পর্য্যন্ত পাওয়া যায়নি, তবে আর সে কি আশায় মন বধিবে ? মন কতকটা স্থির করবার জন্যে সে গান গাইতে চেষ্টা করলে, কি স্তু আজ আর তার কণ্ঠ থেকে কোন স্বর বেরোতে চাইল না । বহুচেষ্টার পর যদিও সে গান ধরলে – “মের দিল তে দেওয়tণ1 জান তেরে লিয়ে”— কিন্তু সে গান তার যন্ত্রণাকাতর হৃদয়ের আর্তনাদের মত শোনাতে লাগল । সে তখন ঘোর অবসন্ন হয়ে গছতলায় পড়ে রইল । কেঁদে কেঁদে বলতে লাগল “কোথায় ? আমার জীবনের আরাধনার ধন ! আজি তুমি কোথায় ? আজ ছুদিন তোমার দেখা না পেয়ে ভাবতে লাগল আলোচনা—মহীপালপ্রসঙ্গ 8○> আধার পাণ আকুল হয়ে উঠেছে । আমি ত কিছুই চাই না, কেবণ দিনান্তে দুর থেকে তোমায় দেখেই আমি পরম আনন্দে ছিলাম, আমায় সেটুকু-পেকেও বঞ্চি গ করলে ?” এই ভাবে সেরাতও তার সেই গাছতলায় কেটে গেল। এদিকে দুদিন ধরে তাকে বাড়ীতে ঘুেপতে না পেযে জ। সার ভোরের বেলায় তাকে খুঁজতে, এল । গাছতলায় পূর্ণার উপরে আমীকে নিপন্দভাবে পড়ে থাকতে দেখে জামীরের চোখ ফেটে জল এল, সে গভীর স্নেহভরে তার গায়ে হাত দিয়ে ডাকতে লাগল “আমীর । আমীর । তাই আমীর !” কি ? আমীরের আর কোনো সাড়াই পাওয়া গেল না । আমীরের সকল গানের অবসান হয়েছে ! দেপতে দেখতে এই পদয়বিদারক সংবাদ সহ রময় ছড়িয়ে পড়ল । সে একথা শুনলে সেই তাকে মনে করে আশপাত করতে লাগল। জামীর আর আত্মীয়ের এসে শবদেহ তুলে নিয়ে পূৰ্ব্বোত্ত প্রান্তরে কবর দিলে । জীবনে অনেক কষ্ট পেয়েছিং’, এখন এই নিজজন শান্তিময় স্থানে সে মনের শান্তিতে ঘুমিয়ে আছে । প্রতিসন্ধ্যায় বন্ধুগতপ্রাণ জামীর সেই সমাধিটি ফুলের মালায় সাজিয়ে আলে। স্বলিয়ে বন্ধুর উদ্দেশে অশবর্ষণ করত। দেওয়ানার এই শোকপূর্ণকাহিনী এলাহাবাদের অধিবাসীদের মনে বড়দিন জাগরক ছিল । শ্ৰীমতী সরোজকুমারী দেবী । ভালোচনা { আলোচনা প্রবাসীর এক পৃষ্ঠ অর্থাৎ ৫০০ শব্দের বেশী ইলে প্রকাশ করা সম্ভব হইবে না । মূল প্ৰবন্ধকার শেষ জবাব দিলে তাহার পুর সে আলোচনা বন্ধ হইল মনে করিতে হইবে । ] মহীপালপ্রসঙ্গ । গত আগ্রহায়ণের প্রবাসীতে শ্ৰীমুক্ত বিনোদবিহারী রায় মহাশয় BSBB KBBB KBS B BBBB BBBKBBB BBB প্রবন্ধটির বিষযে কয়েকটি মন্তব্য প্রকাশিত করিয়৷ আমাকে বিচার করিয়া দেখিতে এবং প্রবাসীর জানাইতে লিপিয়াছেন । প্রবন্ধের, বিশেষত ইতিহাসমুলক প্রবন্ধের যত বেশী আলোচনা BBBS BB BBBB BB BBB BBB S BBBBBB BBBB যাহার প্রবন্ধ অবলম্বনে আরপ হইয়াছিল তাহার এই বিষয়ে গুরুতর কর্তব্য এই যে বিচার বিতর্কে যে সত্য নিৰ্দ্ধারিত হয় তাহ মানিয়া লওয়া এবং ভুল হইয়! থাকিলে সৰ্ব্বসমক্ষে নিজের ভুল স্বীকার
