পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৩২ করা । বহুদিন হয় আমাদের একজন ইতিহাসের অধ্যাপক ইঙ্গিহাসের উত্তরপত্রে ভুল উত্তর দেখিয়া ক্রুদ্ধ হইয়া বলিয়াছিলেন— “ঞ্জান ? মিথ্য প্রচার করা পাপ—এবং বহুকাল মৃত ঐতিহাসিক ব্যক্তিদের সম্বন্ধে মিথা তথ্য লিপিবদ্ধ করা মহাপাপ ।" মনের ভূলে, ইতিহাসের উত্তরপথে ভুল লিপ গুরুতর পাপ বলিয়া মনে করি না, এবং জ্ঞান ও বিচারশক্তির অভাব-হেতু ইতিহাস উদ্ধার করিতে যাইয়া ভুলপথে চলা এবং ভুল তথ্য প্রচার করা অসহা অপরাধ বলিয়। গণ্য নাও হইতে পারে—কিস্তু নিজের ভুল বুঝিয়াও আত্মমত সযর্থন করিতে উদ্যত হওয়া অথবা পুর্বল মত প্রত্যাহার না করা হেয় বলিয়1 মনে করি । বিনোদবাবু যে কয়েকটি বিষয়ে সংশয় উত্থাপন করিয়াছেন সেগুলির বিষয়ে যথtঙ্গীন নিয়ে নিবেদন করিতেছি । ( > ) মহীপালের বাঘা উড়া লিপি কুমিল্লার বাহ্মণবেড়িয়া সবডিভিসনের অন্তর্গত বাঘাউড় গ্রাম হইতে ঢাকা সাহিত্য-পরিষদের পুরাতত্ত্ব-সমিতির সভ্য শ্ৰীযুক্ত উপেন্দচন্দ্র গুহ বিএ, বি, টি, মহাশয় গত বৈশাখ মাসে আবিষ্কৃত করিয়াছেন । তাহার কিছু পরেই উপেন্দবাবু ঢাকা রিভিউ পত্রে সেই লিপিধিবয়ক এক প্রবন্ধ ইংরেজীতে প্রকাশিত করেন। প্রবন্ধ-মধ্যে লিপিটির ঐযুক্ত রাধাগোবিন বসাক মহাশয় কর্তৃক উদ্ধত এক পাঠ ছিল । রাধাগোবিন্দ বাবু সময়ের অল্পতা- ও ব্যস্ততা-প্রযুক্ত লিপিটির বিশুদ্ধ পাঠ উদ্ধত করিতে ন পারায়, এবং উপেন্দ্র বাবুর প্রবন্ধে লিপিটির প্রকৃত গুরুত্ব দেখান না হওয়ায় পরের মাসের Dacca Reviewতে আমি লিপিটির একটি শুদ্ধ পাঠ উদ্ধত করিতে চেষ্টা করি এবং লিপিটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব বুঝাইয়া দিই। বাঘাউড়া লিপির বিষয়ে আমার এক প্রবন্ধ শীঘ্রই এসিয়াটিক সোসাইটির পত্রিকায় প্রকাশিত হইতেছে । লিপিটি এই : ( ১ম ) ও সশ্বত ও মাঘদিনে ২৭ ীিযহীপাল দেব রাজ্যে (২য় ) কীৰ্ত্তিfরয়ং নারায়ণ ভটার কাথ্যা সমতটে বিলকিন্দ ( ৩য় ) কায় পরম বৈষ্ণবস্য বণিকূলোকদত্তস্য বহুদত্তস্থত ( ৪র্থ) স্ত্য মাতা পিত্রোরাত্মনশ্চ পুণ্য যশো অভিবুদ্ধয়ে ॥ লিপিথানি -সমতট রাজ্যের অ স্থিতি-নির্ণয়ে যে সাহায্য করিয়াছে, তাহ। এই "আলোচনীয় বিচাৰ্য্য নহে । এইখানে কেবল দ্রষ্টব। এই যে এক মহীপালের রাজত্বের তৃতীয় বৎসরে সমতট নামক পুৰ্ব্বপ্রাস্তাবস্থিত প্রদেশ তাহার অধীন ছিল । এই মহীপাল কে । ইনি দ্বিতীয় মহীপাল হওয়1সম্ভব নহে, কারণ— ( ১ ) রামচরিতের মতে দ্বিতীয় মহীপালের রাজত্ব স্বল্পকালস্থায়ী এবং আয়াঙ্গকতাপুর্ণ ছিল—তাহার মত রাঙ্গার সমতটে রাজ্যযিস্তার অসত্তল । ( 2 ) আর রামচরিত যদি না মানেন তবে রায় মহাশয়ের মতে দ্বিতীয় মহীপাল পিত৷ বৰ্ত্তমাণেই পরলোকে গমন করিয়াছিলেন, কাজেই যাহার রাজ্যপদ লাভ কখনই হয় নাই, তাহার রাজত্বের তৃতীয় বৎসর কি করিয়া উল্লিখিত হইতে পারে ? কাজেই এই মহীপাল প্রথম মহীপাল ভিন্ন আর কেহই নহেন। ইহার অমুকুলে প্রমাণের অভাব নাই।-- ( ১ ) দিনাজপুর রাজবাটীর স্তস্তলিপিতে জানিতে পারি যে একজন আগন্তুক কাম্বোঞ্জবংশজ গোড়পতি আসিয়া ৮৮৮ শকাব্দে বাণগড়ে শিবমন্মির প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। রমাপ্রসাদ বাবু প্রমাণ কল্পিয়াঁছেন ইনি ১ম লহীপালের পিত। দ্বিতীয় বিগ্রহপাল দেব। প্রবাসী—মাঘ, ১৩২১ [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড ( ২ ) বাণগড়-শাসন হইতে জানা যায় যে বিগ্রহপাল সৈন্ত সামন্তসহ জনপঢ়র পূর্বদেশে ঘুরিয়া বেড়াইয়াছিলেন। ( ৩ ) বাণগড়-লিপিতেই জানা যায় যে ১ম মহীপাল অনধিকারী কর্তৃক বিলুপ্ত পিতৃরাষ্ট্য উদ্ধার করিয়া সমস্ত ভূপালগণকে চরণাগত করিয়াছিলেন । - ( 8 ) অধুনা বাঘাউড়া-লিপি সপ্রমাণ করিতেছে যে যে-পূৰ্ব্বদেশে রাজ্য হারাইয়। দ্বিতীয় বিগ্রহপল ঘুরিয়া বেড়াইয়াছেন gBBB KBB BBBB BBB BBBBB KDKD BBB BBS BB মহীপালের অধীনে ছিল । ( ৫ ) ১ম মহীপালের রাজত্বের প্রথম দিকের কোন লিপি এই পর্য্যন্ত পশ্চিম বঙ্গ উত্তর-বঙ্গ বা অন্য কোথাও আবিষ্কৃত হয় নাই । এইরকম লিপি বাঙ্গালাদেশের পূর্ব-প্রান্তস্থিত কুমিল্লায়ই প্রথম আবিষ্কৃত হইল । এই প্রমাণ পরম্পরা এই তথা ফুট। ইয়া তোলে যে :-বাঘ উড়ালিপি ১ম মহীপাল দেবের ; দ্বিতীয় বিগ্রহপাল কাথোঞ্জবংশজ গৌড়পতির হস্তে রাজা হার ইয়৷ পূৰ্ব্বাঞ্চলে সমতট প্রদেশে যাইয়। আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছিলেন । তৎপুত্র ১ম মহীপালের রাজত্ব সেই প্রদেশেই আর রূ হয়--পরে তিনি সমতট হইতে সৈন্স পরিচালন করিয়া বিলুপ্ত পি রাজ্যের উদ্ধার করেন এবং বঙ্গের সৰ্ব্বেভৌমত্ব 5](t.9 4श्न|मृौ ३- ! সমতট হইতে অগ্রসর হইয়া উত্তর বরেন্দ্র জয়ের প্রধান অtপত্তি রায় নহtশয় এট দেখিয়ছেন যে- “ঐ সময় দক্ষিণ বরেন্দ্র দেওপাড়া গ্রামে প্রস্থায়শূর রাজত্ব করিতেন । তাঁহাকে মহীপাল জয় করিয়াছিলেন এমন কোন প্রমাণ নাই। সমতট হইতে উত্তর বশ্লেন্দ্রে গেলে দক্ষিণ বসুরন্দ্র জয় না করিয়া যাওয়া যায় না । প্রমাণ প্রয়োগ দিয়া কোন কথা না বলিয়। যদি জোর করিয়া (dogmatically) তথা প্রচার করিতে অfরস্ত করা যায় তবে কিছু বিপদের কথা । বিনোদবাবুর নত ইতিহাসগুপ্ত ব্যক্তির নিকট হইতে আমরা তাহা প্রত্যাশা করি না। উtহার উপরি-উদ্ধত কথাগুলির মধ্যে নিম্নলিখিতরূপ জোরের কথা দেখিতেছি । ( ১ ) প্রস্থায়ণুর নামে কোণ ব্য{ও ছিলেন, ( 2 ) তিনি দেওপাড়ীতে রাজস্ব কল্লিতেন, ( ৩ ) তিনি মহীপালের সমসাময়িক ছিলেন, ( 8 ) তিনি মহীপালের বিরুদ্ধপক্ষ ছিলেন । এই সকল কথার কোন ঐতিহাসিক প্রমাণ অবগত লহি । আছে বলিয়া ( २ ) বিনোদবাবু জানাইয়াছেন যে মুর্শিদাবাদের সাগরদীঘি ১ম মহীপালের খণিত নহে, কারণ "ঐ স্থানে একখালি প্রস্তরলিপি আছে তাহীতে জানা যায় যে ৭১০ বা ৭৪• শকে ঐ দীঘি খনিত হইয়াছে । কিন্তু প্রথম মহীপাল দশম শতাব্দীর শেবে এবং একাদশ শতাব্দীর প্রথমে ছিলেন ।” এইখানে প্রমাণ সংগ্রহে বিনোদবাবু যে অসাবধানতার পরিচয় দিয়াছেন তাহা প্রত্যেক ইতিহাস-আলোচকের সযত্নে পরিহর্তৰ্য্য। অসাবধানতাগুলি নিম্নরূপ :--- ( ১ ) যে প্রস্তরলিপিথানির কথা বিনোদবাবু উল্লেখ করিয়াছেম তাহা শ্ৰীযুক্ত শিখিলনাথ রায় বোধহয় প্রথম “সাহিত্যে" তাহার ‘উত্তর রাঢ়ে মহীপাল’ নামক প্রবন্ধে এবং পরে তাহীর মুর্শিদাবাদকাহিনী ও মুর্শিদাবাদের ইতিহাসে সাধারণ্যে প্রচার করেন। সেইগুলিই বোধ হয় রায় মহাশয়ের উদ্ধত উক্তির মূল। কিন্তু সেগুলি আর