পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 8 ર পঞ্চম পরিচ্ছেদ । বারাণসীর যুদ্ধ । গৌড়ীয় অশ্বারোহী সেনা শোণ পার হইয়া দুইভাগে S JSAJSAJMAAA AA S SA SAS SSAS 彰 বিভক্ত হইল। সহস্ৰ সেণা লইয়া ধৰ্ম্মপালদেব, ভীষ্মদেব, বীরদেব ও প্রমথসিংহ নদের অনতিদূরে স্কন্ধাবার স্থাপন করিলেন । রণসিংহ, কমলসিংহ, জয়বৰ্দ্ধন ও বিমলনন্দী প্রত্যেকে পঞ্চশত সেনা লইয়া শত্রুসৈন্সের সন্ধানে ধাবিত হইলেন। সহস্ৰ অশ্বারোহী লইয়া চক্রায়ুধ ধীরে ধীরে বারাণসীর পথে অগ্রসর হইলেন । অপর সহস্ৰ লইয়া বিশ্বানন্দ পরদিন তাহার অনুগমন করিবেন স্থির হইল । ভীষ্মদেবের পরামর্শে ধৰ্ম্মপালদেব আদেশ করিলেন যে, কোন সেনাপতি দুই দিনের অধিককাল স্কন্ধাবার হইতে অনুপস্থিত থাকিতে পরিবেন না । বিমলনন্দী আদেশ শ্রবণ করিয়া সহাস্তবদনে শিবির হইতে নির্গত হইলেন । গৌড়ীয়সেনা দুইদিবসের মধ্যে করুষদেশ আচ্ছন্ন করিয়া ফেলিল। অবশিষ্ট পঞ্চসহস্র সেনা আসিয়া পৌছিলে ধৰ্ম্মপালদেব স্কন্ধাবার লইয়া অগ্রসর হইলেন। দ্বিতীয় দিবসে দ্বিসহস্র সেনা লইয়া ভীষ্মদেব ও ধৰ্ম্মপাল স্কন্ধাবারে রহিলেন ; অবশিষ্ট চারিসহস্র প্রমথসিংহ ও বীরদেবের সহিত বারাণসীর পথে অগ্রসর হইল। তৃতীয় দিবসে বিমলনন্দী স্কন্ধাবারে প্রত্যাবর্তন করিলেন না দেখিয়া ভীষ্মদেব পঞ্চশত সেনা লইয়া চতুর্থ দিবস প্রভাতে র্তাহার সন্ধানে যাত্রা করিলেন । পঞ্চমদিবসে বারণসীর নিকটে আসিয়া ধৰ্ম্মপালদেব দেথিতে পাইলেন, যে, ভাগীরথীর পরপারে গৌড়ীয় সেনার বিস্তৃত স্কন্ধাবার স্থাপিত হইয়াছে এবং নৌকাযোগে সহস্ৰ সহস্র সেনা নদী পার হইয়া বারাণসী অভিমুখে যাত্রা করিতেছে। ধৰ্ম্মপালদেব বিস্মিত হইয়া দ্রুতবেগে অশ্বারোহণে অগ্রসর হইলেন। পথে প্রমথসিংহ, বিশ্বানন্দ ও বীরদেবের সহিত তাহার সাক্ষাৎ হইল। সম্রাট সাগ্রহে জিজ্ঞাসা করিলেন, “প্ৰভু, ব্যাপার কি ? কাহার সেনা পার হইতেছে ?” বিশ্বানন্দ – মহারাজ ! ব্যাপার অতি গুরুতর। গৌড়ীয়সেনা নদী পার হইতেছে। প্রমথ – বিমলনন্দী তিনদিনে সপ্ততি ক্রোশ পথ প্রবাসী—মাঘ, ১৩২১ [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড SSSSJ SSS JSSS SSSJ SSS JSSS SSAAAASA SAASAASSAAAJSAAAA S S S S J AAAAA گر অতিক্রম করিয়া, চতুর্থ দিবসে গঙ্গা পার হইয়া বারাণসী আক্রমণ করিয়াছে। নগরে কান্যকুক্তরাজের দশসহস্রের অধিক সৈন্ত আছে, কিন্তু বিমলনন্দী পঞ্চশত সেনা লইয়া তাহাদিগকে আক্রমণ করিয়াছে। মহারাজ চক্রায়ুধ সেই দিন সন্ধ্যাকালে ভাগীরথীতীরে উপস্থিত হইয়৷ বিমলনন্দীর সংবাদ পাইয়া নদী পার হইয়াছেন। তাহার সেনা উপস্থিত না হইলে পঞ্চশত গৌড়ীয় বীরের একজনও জীবিত থাকিত কি না সন্দেহ । কান্যকুজরাজের আদেশে বারাণসীভুক্তির অধিকাংশ নৌকা দগ্ধ হইয়াছে। যে কয়থানি নৌকা আছে, তাহাতে একদিনে পঞ্চশতের অধিক সেনা পার হইতে পারে না। ধৰ্ম্ম।— উপায় ? বিশ্ব। — ভীষ্মদেব নদীতীরে উপস্থিত আছেন । তাহার আদেশে রণসিংহ তাহার সেনা লইয়। নৌকার সন্ধানে চরণাদ্রি অভিমুখে অগ্রসর হইয়াছে। জয়বৰ্দ্ধনের কোন সন্ধান পাওয়া যাইতেছে না । ধৰ্ম্ম – আমাদিগের কত সৈন্য পার হইয়াছে ? বীর – বিমলনন্দীর সেনা লইয়া সাৰ্দ্ধ দ্বিসহস্ৰ । ধৰ্ম্ম – নদীতীরে কত সৈন্য আছে ? বীর -- প্রায় সপ্তসহস্ৰ । সকলে অগ্রসর হইয়া জাহ্নবীতীরে স্কন্ধাবারে পৌছিলেন । গৌড়ীয়সেনা সম্রাটের আগমনসংবাদ শুনিয়া জয়ধ্বনি করিয়া উঠিল। সপ্তসহস্ৰ কণ্ঠের জয়ধ্বনিতে বিশ্বনাথের পাষাণনিৰ্ম্মিত মন্দিরচুড়া কম্পিত হইল। জয়ধ্বনি শ্রবণ করিয়া বরণাসঙ্গমে গৌড়ীয়সেনা সিংহনাদ করিয়া উঠিল । সম্রাট আসিয়াছেন বুঝিতে পারিয়া বিমলনন্দী ও চক্রায়ুধ দ্বিগুণ উৎসাহে নগর প্রকার আক্রমণ করিলেন । কিন্তু দশসহস্রের সহিত দ্বিসহস্ত্রের যুদ্ধ অধিকক্ষণ সম্ভব নহে ; বরণানদী ও আদিকেশবের ঘাট গৌড়ীয়লেনার রক্তে রঞ্জিত হইল, দুর্গপ্রাকার অধিকৃত হইল না । সন্ধ্যাকালে নৌকাগুলি বারাণসী হইতে প্রত্যাবর্তন করিলে সম্রাট ভীষ্মদেব ও বিশ্বানন্দকে স্কন্ধাবারে রাথিয়া দ্বিশত সেনা সমভিব্যাহারে নেীকারোহণ করিলেন । প্রমথসিংহ, বীরদেব ও কমলসিংহ সম্রাটের সহিত বারাণসী