পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

AeSeS SSAAAAS S AAAA S JSSS SSSS AAA S AJSAAAA S AAA S JJ সঙ্গমে উপস্থিত হইলেন। রুধিরাপ্ল তলেহে বিমলনন্দী ও চক্রণয়ুধ নদীতীরে তাহাকে অভ্যর্থনা করিতে আসিলেন। বিমলনীর অবস্থা দেখিয়া সম্রাটের ক্ৰোধ দূর হইল, তিনি বিমলনন্দীকে আলিঙ্গন করিয়া যুদ্ধের সংবাদ জিজ্ঞাস করিলেন। বিমলনন্দী কহিলেন, “মহারাজ, যে পঞ্চশত শোণতীর হইতে আমার সহিত যাত্রা করিয়াছিল, তাহাদিগের একজন ও জীবিত নাই, তাহার। সকলেই মহারাজের কার্য্যে পুণ্য বারাণসীধামে শিবত্ব পাইয়াছে। মহারাজ ! পঞ্চশত গৌড়ীয় বীরের মধ্যে একজনও বরণার পরপারে দেহত্যাগ করে নাই, তাহারা বারাণসী অধিকার করিতে পারে নাই বটে কিন্তু সকলেই বারাণসীর দুর্গপ্রাকারে অথবা আদি কেশবের ঘাটের পাষাণনিৰ্ম্মিত সোপানে দেহত্যাগ করিয়াছে।” বলিতে বলিতে বিমলানন্দীর নয়নদ্বয় উজ্জ্বল হইয়া উঠিল, তিনি বলিয়া উঠিলেন, “মহারাজ ! ইন্দ্রায়ুধের আদেশে সমস্ত নৌকা দগ্ধ হইয়াছে, তাহাতে ক্ষতি কি ? যে কয়খানি নৌকা আছে তাহাও যদি দগ্ধ হইত তাহা হইলেও কোন ক্ষতি ছিল না, আপনার সম্মুখে অদ্য রজনী প্রভাত হইবার পুৰ্ব্বেই বারাণসী অধিকার করিব, নতুবা”— ধৰ্ম্মপালদেব বাপরুদ্ধকণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিলেন, “নতুবা কি বিমল ?” “নতুবা কল্য প্রভাতে স্বৰ্য্যদেব জাহ্নবীর উত্তরতটে একজনও গৌড়ীয় সেনা জীবিত দেখিতে পাইবেন না।” “তাহাই হউক বিমল ; যদি বারাণসী অধিকৃত হয়, তাহা হইলে অদ্য রাত্রিতেই হইবে, নতুবা নহে।” প্রতিজ্ঞ শ্রবণ করিয়া চক্রায়ুধ শিহরিয়া উঠিলেন ; “মহারাজাধিরাজ ! একি ভীষণ প্রতিজ্ঞ৷ ? আমার জন্য কি অদ্য গৌড়ের সিংহাসন শূন্ত হইবে ?" “মহারাজ ! অদ্য রজনীতে গৌড়সিংহাসন শূঙ্গ করা যদি বিধাতার ঈন্সিত হয়, তাহা হইলে কে তাহ নিবারণ করিতে পারিবে ? মন্দীপুত্রের কথা সত্য হইবে। অদ্য রাত্রিতে ঐ ধূসরবর্ণ পাষাণপ্রাকারে বিশ্রাম করিব, নতুবা”— ধৰ্ম্মপাল যাত্রা করিলেন। রজনীর প্রথম প্রহরে ধৰ্ম্মপাল বরণ 885 eSAS A SASJAAS AAAA SSS JSSS JSSS SSSJ SSS AAAAAS "میر ... - • “কল্য প্রভাতে জাহ্নবীর উত্তর তীরেঃ অস্ত্ৰধারণক্ষম একজন গৌড়বাসীও জীবিত থাকিবে না।” “তাহাই হউক। বিমল, চক্ৰধ্বজ-হস্তে আমি নাসীরগণের অগ্রগামী হইব। তুমি সমস্ত সেনাকে তরবারি ও জাহ্নবীজল স্পর্শ করিয়া শপথ করিতে বল, আদ্যরাত্রিতে বারাণসী অধিকৃত ন হইলে যেন কোন অস্ত্ৰধারণক্ষম গৌড়বাসী শিবিরে প্রত্যাগমন না করে ।” খৃষ্টীয় অষ্টমশতাব্দীর শেষভাগে যে-সকল গৌডবাসী ধৰ্ম্মপালদেবের সহিত চক্রায়ুধের সাহায্যার্থ যুদ্ধযাত্র করিয়াছিল, তাহারা পূৰ্ব্বে কথনও গৌড় বা মগধ হইতে বিদেশে যায় নাই । গুপ্তবংশীয় সম্রাটগণের অধঃপতনের পর হইতে শতবর্ষব্যাপী অরাজকতার সময়ে বারম্বর বহিঃশত্রু কর্তৃক আক্রান্ত হইয় তাহারা আত্মরক্ষার জন্য যুদ্ধবিদ্যা শিক্ষা করিতে বাধ্য হইয়াছিল। এতদিন তাহারা হয়ত কেবল আত্মরক্ষা করিয়াছে, নতুবা আক্রমণকারীকে দেশ হইতে বিতাড়িত করিয়াছে, কিন্তু অদ্যাবধি গৌড়ীয়ুসেনা শক্ররাজ্য আক্রমণ করে নাই। এই কারণে ভীষ্মদেব, প্রমথসিংহ প্রভূতি বিজ্ঞ সেনানায়কগণ বিমললন্দীর কার্য্যে অত্যস্ত ভীত হইয়া পড়িয়াছিলেন। কিন্তু সম্রাট স্বয়ং ও অল্পবয়স্ক নায়কগণ কিছুমাত্র বিচলিত হন নাই । গৌড়ীয় সেনা বিদেশে যুদ্ধাভিযানের আস্বাদন পাইয়া উন্মত্ত হইয়া উঠিয়াছিল। শিক্ষিত পুরাতনসেন যে স্থানে যাইতে বা যে কার্য্যে হস্তক্ষেপ করিতে ভীত অথবা চিন্তিত হইত, নুতন গৌড়ীয় সেনা তাহ অবিচলিতভাবে সম্পন্ন করিতেছিল ; এই জন্যই বিমলনন্দী ও চক্রীয়ুধের সেনাদল অসাধ্যসাধন করিতেছিল । সমগ্র অশ্বারোঙ্গীসেন নদী পার করিবার জন্য ভীষ্মদেব, প্রমথসিংহ ও বিশ্বানন্দ যখন আকুল হইয়া চিন্ত করিতেছিলেন, তখন ধৰ্ম্মপাল চক্রায়ুধ ও বিমলনন্দী দ্বিসহস্র সেনা লইয়; অন্ধকার রজনীর দ্বিতীয় যামে, বারাণসীর পাযাণপ্রাকার অধিকার করিবার উদ্যোগ করিতেছিলেন । , নবীন সম্রাটের প্রতিজ্ঞ। শ্রবণ করিয়া প্রমথসিংহ অত্যন্ত চিন্তিত হইলেন ; তাহার মনের অবস্থা বুঝিয়া বাধা দিতে ভরসা করিলেন না। তিনি কয়েকজন