পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88や AAA AAASA SAAAASJAAASA SSASAS SSAS SSAS SSAS SSASAAA AAAA AAAA SAAAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA SAS S S JSSS SS CS ভিল্লমাল নগরের পথে বহু অশ্ব, রথ ও শকট দেখিয়া রথারোহী সারথিকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “অরুণ, গুর্জররাঞ্জ আমার অভ্যর্থনার কি ব্যবস্থা করিয়াছেন ?” সারথি সবিস্ময়ে কহিল, “কিছুই না ।” “বহু রথচক্র ও অশ্বখুরের শব্দ পাইতেছি ?” “মহারাজাধিরাজ, ইহারা স্বর্থবাহ, নগরদ্বার মুক্ত হইয়াছে বলিষ বাহিরে বাইতেছে।” অবিলম্বে রথ গুর্জররাজপ্রাসাদের তোরণে আসিয়া দাড়াইল ; রথের ঐশ্বৰ্য্য দেখিয়া দুই একজন দণ্ডধর অগ্রসর হইয়া আসিল ও ভাকুগুপ্তকে জিজ্ঞাসা করিল, “কাহার রথ ?” “মহারাজাধিরাজ কান্তকুজমহোদয় কুশস্থলেশ্বর ইন্দ্রায়ুধদেবের ।” ইন্দ্রীয়ুধের আগমনবাৰ্ত্ত শ্রবণ করিয়া একজন দণ্ডধর দ্রুতপদে প্রাসাদে প্রবেশ করিল, দ্বিতীয় দণ্ডধরের আদেশে দেীবারিকগণ তোরণ হইতে প্রাসাদের সোপান পৰ্য্যন্ত বহুমূল্য বস্ত্র বিছাইয়া দিল। তাহার পরে ইন্দ্রায়ুধ রথ হইতে অবতরণ করিলেন । তিনি যেমন সোপানশ্রেণীতে আরোহণ করিতে আরস্ত করিয়াছেন, সেই সময়ে প্রাসাদের প্রথম কক্ষের দ্বার উন্মুক্ত হইল, একজন শুভ্ৰবসনপরিহিত পুরুষ দ্রুতপদে সোপানশ্রেণী অবলম্বন করিয়৷ নামিয়া আসিলেন । র্তাহার পশ্চাতে দশজন রাজপুরুষ ছত্র, চামর, সুবর্ণনিৰ্ম্মিত রাজদণ্ড প্রভৃতি রাজচিহী হস্তে লইয়া নামিয়া আসিল। ইন্দ্রীয়ুধ তাহদিগকে দেখিয়া নিমের সোপানে দাড়াইয়া রহিলেন । শুভ্ৰবসনপরিহিত পুরুষ সহস্তে কহিলেন, “মহারাজ স্বাগত। পথে কোন বাধা উপস্থিত হয় নাই ত ?” “ন। তবে নগরতোরণে কিয়ৎকাল অপেক্ষা করিতে হইয়াছিল, কারণ যখন আমার রথ আসিয়া পেীfছল তখনও সূর্য্যোদয় হয় নাই ।” শুভ্ৰবসনপরিহিত পুরুধ কান্যকুজরাজের কথার উত্তর না দিয়া কহিলেন, “মহারাজ ! প্রাসাদে প্রবেশ করুন।" ইন্দ্রায়ুধ গুর্জররাজের হস্ত ধারণ করিয়া ধীরে ধীরে সোপানে আরোহণ করিতে আরম্ভ করিলেন। অৰ্দ্ধগথে নাগভট্ট জিজ্ঞাসা করিলেন, “মহারাজের ছত্রধর প্রবাসী—মাঘ, ১৩২১ [ ०४° छाग, २ग्न १७ ও দণ্ডধর কি সঙ্গে আসে নাই ?” ইন্দ্রায়ুধ লজ্জিত হইয় কহিলেন, “না।” “চক্রায়ুধ কি কান্যকুঞ্জ অধিকার করিয়াছে ?” “જ્ઞા જ “ উত্তর গুনিয়া নাগভট্ট বিক্ষিত হইয়া ইন্দ্রায়ুধের মুখের দিকে চাহিয়া রহিলেন ; ইন্দ্রায়ুধ লজ্জায় অধোবদন হইয়া রহিলেন । গুর্জর রাজের ইঙ্গিতে তৎক্ষণাৎ দশজন পরিচারক ছত্র, দণ্ড, চামর প্রভূতি রাজচিহ্ন লইয়া কান্যকুব্জ রাজকে বেষ্টন করিল। উভয়ে পুনরায় সোপানে আরোহণ করিতে আরম্ভ করিলেন। কিঞ্চিৎদুর অগ্রসর হইয়া নাগভট্ট পুনরায় জিজ্ঞাসা করিলেন, “মহারাজ, চক্রায়ুধ এখন কোথায় ?” ইন্দ্রায়ুধ কহিলেন, “বোধ হয় প্রতিষ্ঠানে।” গুজররাজ বিক্ষিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “তবে আপনি নগর ত্যাগ করিলেন কেন ?” খৃষ্টীয় অষ্টম শতাব্দীতে উত্তরপথে নগর বলিতে কান্যকুব্জ বা মহোদয় বুঝাইত। ইন্দ্রায়ুধ অত্যন্ত লজ্জিত হইয়া কহিলেন, “চক্রায়ুধকে অত্যন্ত দ্রুতবেগে অগ্রসর হইতে দেখিয়া, আমি মহারাজের সৈন্য লইয়া যাইবার জন্য ভিন্নুমালে আসিয়াছি । অত্যন্ত ব্যস্ত হইয়া নগর পরিত্যাগ করিয়াছিলাম বলিয়। ভূত্যবর্গ সঙ্গে আসিতে পারে নাই ।” “মহারাজের সেনা কি কোন স্থানে চক্রায়ুধের গতিরোধ করিয়াছিল ?” “ই ; বারাণসীতে দশ সহস্র সেনা ছিল, কিন্তু ধৰ্ম্মপাল দুই তিন সহস্ৰ সেনা লইয়। অনায়াসে বারাণসী অধিকার করিয়াছে।” “চরণাদ্রি বা প্রতিষ্ঠানে কোন যুদ্ধ হইয়াছিল কি ?” “হা, চরণাদ্রি অধিকৃত হইয়াছে।” “প্রতিষ্ঠান ?” “বোধ হয় এখনও শক্ৰহস্তগত হয় নাই ।” নাগভট্ট বিরক্ত হইয়া মুখ ফিরাইলেন। ইন্দ্রায়ুদ্ধ অতি দীনভাবে জিজ্ঞাসা করিলেন, “মহারাজ, কবে যুদ্ধযাত্রা করিবেন ?” গুর্জররাজ ধীরভাবে কহিলেন, “মহারাজ এখন পরিশ্রাস্ত। অগ্ৰে বিশ্রাম করুন, পরে যুদ্ধাভিযানের মন্ত্রণা করিব।”