পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88bア تم الامو --حيرة هي কষ্টিপাথর বৌদ্ধ-ধৰ্ম্মের নির্বাণ । মোটামুটি ধরিংে গেগে নিৰ্ব্বাণ শব্দে প্রদীপের ন্যায় নিৰিয়া যাওয়া বুঝায়। কিন্তু মানুষ নিবিয়া গেলে কি প্রদীপের ন্যায় একেবারে শেষ হইয়া যুীয় ? অামি তপ, জপ, ধ।ান ধারণ। কপ্লিব, আমার জীবনের প্রথম ও প্রধান উদ্দেশ্ব হইবে শুদ্ধ আমার অস্তিত্বটি বিলোপ করিবার জন্ত ? অনেকে ম:ণ করেন, বুদ্ধ এইরূপ আত্মার বিনাশই নিৰ্ব্বাণ শব্দের অর্থ করিরছিলেন । বুদ্ধ নিজে কি বলিয়াছিলেন, তাহ। আমাদের জাণি ।ার উপায় নাই। তাহার নির্বাণের পঁাচ শত বৎসর পরে গোকে তাহার বক্তৃতার যেরূপ রিপোট দিয়াছে, তাহাই আমরা দেখিতে পাই । তfহাও, আবার তিনি ঠিক যে ভাষায় বলিয়াছিলেন, সে ভাষার ত কিছুই পাওয়া যায় না। পালি ভাষায় তাহার ষে রিপোর্ট তৈয়ারি হইয়াছিল, সেই রিপোর্টমাত্র পাওয়৷ যায়। তাহাতেও ঐরূপ প্রদীপ শিবিয় যাওয়tল্প সহিতই নিৰ্ব্বাশের তুলনা করে । কিন্তু লোকে বুদ্ধদেবকে অনেকবার জিজ্ঞাসা করিয়া ছিল যে নিৰ্ব্বাণের পর কি থাকে । সুতরাং নিৰ্ব্বাণে যে একেবারে সব শেষ হইরা যায়, উtহার শিষ্যের সেটা ভাবিতেও যেন ভয় পাইত । বুদ্ধদেবের মৃত্যুর অন্তত পাঁচ ছয় শত বৎসরের পর, কনিষ্ক রাজার গুরু অশ্বঘোষ সাধারণ লোকের মধ্যে ধৰ্ম্ম প্রচার করিবার জন্য একথানি কাব্য রচনা করেন । তিনি নিজেই বলিয়াছেন, যেমন তিক্ত ঔষধ খাওয়াইবার জন্য কবিরাজের মধু দিয়া মাড়িয়া খাওয়ায়, সেইরূপ আমি এই কঠিন বৌদ্ধধৰ্ম্মের মত গুলি কাব্যের আকারে লি খয় লোকের মধ্যে প্রচার করিতেছি। তিনি নিৰ্ব্বাণু সম্বন্ধে যাহা বলেন, সেটা বুদ্ধের কথার রিপোর্ট নহে, উtহার নিজেরই কথা । তিনি বৌদ্ধধর্থের একজন প্রধান প্রচারক, এখন গুরু এবং প্রধান কর্তা ছিলেন । তাহার কথা অামাদের মন দিয়া শুনা উচিত । তিনি বলিয়াছেন :– “প্রদীপ যেমন নিৰ্ব্বাণ হওয়ার পর পৃথিবীতে যায় না, আকাশেও যায় না, কোল দিগ,বিদিকেও যায় না ; তৈলেরও শেষ, প্রদীপটিরও শেষ , সাধকও তেমনই ভাবে, নির্ববাণ হওয়ার পর, পুথিবীতেও যান ন, আকাশেও যান না, কোন দিগ বিদিকে ও ধান না । তাহার সকল ক্লেশ ফুরাইয়া গেল । তাহারও সব ফুরাইয়: গেল, সব শাস্ত হইল ।” এখানে কথা হইতেছে —সষ শেষ হইয়া গেল’—ইহার অর্থ কি জাত্মার বিনাশ ! অস্তিত্বের লোপ ? অশ্বঘোষ স্পষ্ট করিয়ান বলিলেও উহার কাব্য হইতে বুঝির লওয়া কঠিন নয় যে তিনি নিৰ্ব্বাণশব্দে অস্তিত্ত্বের লোপ বুঝেন নাই । তিনি বুফিয়াছেন যে, নিৰ্ব্বাণের পর আর কোনরূপ পরিবর্তন হইবে ন, অথচ অস্তিত্বেরও লেtণ হইবে না । পালি ভাষার পুস্তকে বুদ্ধদেবকে "নিৰ্ব্বাণের পর কিছু থাকিবে কি ?” জিজ্ঞাপ করায়, বুদ্ধদেব বলিলেন “না” । “থাকিবে না কি ?” উত্তর হইল “পা” । “থাকা না-থাকার মাঝামাঝি কোন অবস্থা হইবে কি ?” বুদ্ধদেব বলিলেন “না” । “কিছু থাকা না-থাকা ७छ्tग्नब्रहे वाश्ब्रि ८कांन विप्*ष श्रदक श्श्रय कि ?" चांदांब्र छेउग्न छ्झ्ल “नt" । ইচ্ছাতে এমন একটা অবস্থা দাড়াইল, যে অবস্থায় “অস্তি"ও প্রবাসী - মাঘ, ১৩২১ ヘヘヘー・ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ・マヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ_ヘヘヘ [. ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড বলিতে পারিন, "নাস্তি"ও বলিতে পারিনা। এদুয়ে জড়াইঃ কোণ অবস্থা নয়, এদুয়ের অতিরিক্ত কোন অবস্থাও নয়। অর্থা কোন অনিৰ্ব্বচনীয় অবস্থা, যাহা কথায় প্রকাশ করা যায় না, মানুষে জ্ঞানের বাহিরে । - এই অবস্থাকৃেই মহাযানে “শুষ্ঠ" বলিয়া বর্ণন করিয়া থাকে "শূন্য" বলিতে কিছুই নয় বুঝায় অর্থাৎ অস্তিত্ব নাই এই কথা বুঝায়। কিন্তু বৌদ্ধ পণ্ডিতেরা বলেন “আমরা করি কি ? আমর যে ভাষায় শব্দ পাই না। নিৰ্ব্বাণের পর যে অবস্থ হয়, তাহ :ে বাক্যের অতীত । ঠিকূ কথাটি পাইন বলিয়াই আমরা উহাবে “শুন্ত" বলি। কিন্তু শূন্তশব্দে আমরা ফাকা বুঝই না, আমরা এম অবস্থা বুঝাইতে চাই যাহা আস্তনাস্তি প্রভৃতি চারি প্রকার অবস্থা অতীত। ‘অস্তিনাস্তিতদুভয়াম্বভয়চতুষ্কোটিবিনিৰ্ম্ম জং শুষ্কৰ্য । শঙ্করাচার্য র্তাহার তর্ক পাদে শূন্তবাদীদের নানারকমে ঠাট্ট করিয়া থিয়াছেন। তিনি ৰলিরছেন “যাহাদের মতে সবই শূন্ত তাছাদের সঙ্গে আর বিচার কি করিব ?” তিনি বৌদ্ধদেৱ SBBBKDDS BBB S BBB BB BBBBBBB SBBBBBBSS অর্থাৎ আধখানা বিনাশবাদী । কেননা, নৈয়ায়িকেরাও বলেন, “অত্যন্ত সুখদুঃখ-নিবৃত্তি"র নামই "অপবর্গ” । সুখদুঃখ যদি একেবারেই না রহিল, তবে আত্মা ত পাথর হইয়া গেল । সাধারণ লে:কে বলিবে পাথর হওয়াও বরং ভাল । কেননা, কিছু আছে দেখিতে পাইব । শূন্য হইলে ত কিছুই থাকিবে না । যাহাহোক অশ্বঘোষ যে নিৰ্ব্বাণের অর্থ করিয়াছেন, বুদ্ধদেব পালি ভাষার পুস্তকে উহার যে অর্থ করিয়াছেন, তাহাতে নিৰ্ব্বাণ একটি অনিৰ্ব্বচনীয় অবস্থ। । মুধু বাক্যের অত্য৩ নয়, মামুষের ধারণারও অতীত। এইরূপ অবস্থাকেই কি কাণ্ট ট্রান্সেণ্ডেণ্টাল বলিয়া গিয়াছেন ? কেননা, ইহা মানুষের বুদ্ধি ছাড়াইয়া যায়, মামুষে ইহ। ধারণা করিতে পারে না । এরূপ অনিৰ্ব্বসনীয় না ঘলিয়া, অশ্বঘোষের মতে যে চরম ও অচ্যুতপদ আছে, তাহাকে অস্তি বলিয়া স্বীকার করন কেন ? কিন্তু আস্ত বলিলে, একটা বিষম দোষ হয় । বতক্ষণ আত্মা থাকিবে, ততক্ষণ “অহং” এই বুদ্ধিট থাকিবে । অহংজ্ঞান থাকিলেই অহঙ্কার হইল । অহঙ্কার থাকিলেই সকল অনর্থের যা মুল, তাই রহিয়া গেল । সুতরাং সে যে অfবার জন্মিবে, তাহার সম্ভাবনা রহিয়৷ গেল । অtয়ও কথা, আত্মা যখন রহিলই তখন তাহ1র ত গুণগুলা ও রহিল । অগ্নি কিছু রূপ ও উষ্ণতা ছাড়িয়1 থাকিতে পারে না । আত্মা থাকিলে তাহার একত্ব-সংথ্যা থাকিবে । একত্ব-সংখ্যাও ত একটি গুণ । সে আত্মার জ্ঞান থাকিবে ? না, থাকিবেনা n যদি জ্ঞান থাকে, তাহা হইলে জ্ঞেয় পদার্থও থাকিবে, জ্ঞেয় পদার্থ থাকিলেও আত্মার মুক্তি হইল না। আর, আত্মার যদি জ্ঞান না থাকে, তবে সে আত্মা আত্মাই নয়। সেইজন্যই অশ্বঘোষের বুদ্ধচরিতে বুদ্ধদেব বলিতেছেন, “আত্মার যতক্ষণ অস্তিত্ব স্বীকার করিবে, ততক্ষণ উহার কিছুতেই মুক্তি হইবে না ।” তাহার প্রথম গুরু অরাড় কালামের সহিত বিচার করিয়া যখন তিনি দেখিলেন যে ইহারা বলে আত্মা দেহনির্মুক্ত অর্থাৎ লিঙ্গ-দেহ-নির্মুক্ত হইলেই, মুক্ত হয়, তখন সে মুক্তি র্তাহার পছনা হইল না। তিনি আত্মার অস্তিত্ব নষ্ট করিয়া আয়াকে "চতুষ্কোটিবিনির্মুক্ত করিয়া, তবে তৃপ্ত হইলেন । তাহার শিষ্যেরা, আত্মাকে শুষ্ঠরূপ, অনিৰ্ব্বচনীয়রূপ, চতুষ্কোটিবিনিম্মুক্তরূপ, মনে করিলেও ক্রমে উfহাদের শিয্যেরা আবার নিৰ্ব্বাণকে অভাব বলিখা মনে করিত । তাহীদের মতে সংসার