পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্য। ] “ব্যাপার আমার মাথা আর মুণ্ডু ! এখানে একটা পটুক ছোড়া আছে সে আমায় চেনে। আমি তাকে বলে এসেছি আজই আমরা কাশ্মীর যাব। তাই বলছি জিনষগুলো গুছিয়ে নিন, সরে পড়া যাক, কাল যেন অীর সে আমাদের দেখতে না পায় !"

  • হেমেন বাবু গুইয়। ছিলেন এইবার উঠিয়া বসিয়া বলিলেন,—“তা হলে আমরা কলকে তায় যাব ত ?”

“আরে না না, তা কি করে হবে ? অস্ত কোথাও আশ্রয় নিতে হবে।’ “কেন ? আমরা কি পলাতক নাকি ? আচ্ছা দেবেন বাবু, এভাবে হেথা সেথা ছুটোছুটি করে না বেড়িয়ে আমি কেন কলকেতায় ফিরে যাই না ? সেথানে খুব সাবধানে ঘরে দোর দিয়ে বসে থাকৃব, তা হলেই কেউ টের পাবে না । সে ত বেশ হবে ।” আমি তাহার কথায় কোন উত্তর দিলাম না। 蕩 嫌 豪 তখন প্রায় সন্ধ্যা হইয়া আসিয়াছিল। ঘরটা সম্পূর্ণ অন্ধকার হইয়া গিয়াছিল। আমরা ভূত্যের আলোক আনয়নের অপেক্ষায় ছিলাম । কয়েক মিনিট পরে আলো লইয়া একজন অপরিচিত ভদ্রলোক সেই কক্ষে প্রবেশ করিল। আমি তাহাকে দেখিয়। যত না বিস্মিত হইয়াছিলাম তাহার কথা শুনিয়া ততোধিক বিস্মিত হইলাম। লোকটা বলে কি !—আমরাই ব্যাঙ্ক ভাঙ্গ৷ আসামী এবং সে পুলিশের ইন্সপেকূটর, আমাদেরই গ্রেপ্তার করিতে আসিয়াছে ! আমরা পরম্পরের প্রতি একবার চাহিয়া দেখিলাম । অবস্থা দেখিয় বেশ বুঝিতে পারিলাম যে অতঃপর আমাদের প্রকৃত নাম গোপন করিয়া আর ছদ্ম নাম ব্যবহার করিলে চলিবে না । আমি প্রথম সাহসে ভর করিয়া আগন্তুক পুলিস কৰ্ম্মচারীকে বলিলাম,—“আপনার ভুল হয়েছে মশায় ! আমার নাম হলগে দেবেন্দ্রনাথ পার-ইউনিয়ন থিয়েটারের অধ্যক্ষ আমি। আর এ ভদ্রলোকের নাম শ্ৰীযুক্ত হেমেন্দ্রনাথ পোড়েল ; এর ষাড়ী হলগে কলকেতায় । অনর্থক আমাদের ভোগাবেন না।” অভিনেতা x.S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS-مت ۔ یہ...خY جمی۔ 8も> SAAAA SAS S S AAAA S SJSJSAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SS SAAAA S JSA SAASAASAASAASAJJS • লোকটা আমার কথায় বিন্দুমাত্রও রিচলিত হইল 케| 1 আমার পকেটেই আমার নামের কার্ড ছিল একখানা বাহির করিয়া বলিলাম,—“এই দেখুন আমার নামের • কার্ড ।” লোকটা তেমনি অবিচলিত ভাবে বলিল,—“তাতে কি ? এতে এমন বিশেষ কিছু নেই যাতে আপনার নির্দোষিত। প্রমাণ হতে পারে । আর আপনি যে দেবেন বাবুর নামের কার্ড চুরি করেন নি তাইবা কি করে জানব ? ওসব কথা আমি শুনতে চাই না, আপনার আমার সঙ্গে আসুন, রাস্তায় অামার লোক আছে । আপনাদের যা বলবার থানায় গিয়ে বলবেন । চলে আসুন এখন !”—এই বলিয়া লোকটা আমার দিকে অগ্রসর হইল । “সাবধান মূখ। গায়ে হাত দিলে তোমার সৰ্ব্বনাশ না করে ছাড়ব না । মনে রেখে ‘ইউনিয়ন থিয়েটারের’ অধ্যক্ষ আমি, আমার ক্ষমতা বড় কম নয়। পরে কিন্তু এর জন্তে পায়ে ধরে মাপ চাইলেও আমি মাৰ্জ্জন৷ করব না,—তোমার সৰ্ব্বনাশ না করে ছাড়ব না।” ইন্সপেক্টর তথাপি অবিচলিত । আমায় লক্ষ্য করিয়া বলিল,—“ঢ্যাঙ, গাল-তো বড় কটা গোফ আছে হরেনের –আপনার সঙ্গে বর্ণনা ঠিক মিলছে ; আর আর ভুবনের মাথার সামনে টাক, বয়স প্রায় পঞ্চাশ, অসম্ভব মোটা—এটাও আপনার ঐ সঙ্গীটির সঙ্গে ঠিক মিলে যাচ্ছে । আর গোল করবেন না, চলে আসুন ।” মহাকুদ্ধ হেমেনবাবু বলিলেন,—“একেবারে আস্ত গাধা ! হ্যারে আহাম্মক ! সারা কলকেতায় এক ভুবন ছাড়া কি আর কেউ মোট নেই ?” “সে কথা অন্য জায়গায় গিয়ে জিজ্ঞেস করবেন, আমি তা জানি না, শুনতেও চাই না।” হেমেনবাবু ক্রোধে দস্ত ঘর্ষণ করিয়া বলিলেন,—“তা যদি করতে হয় ত জেনো তুেtমাকেও সহজে ছাড়ব না। এক একখানি হাড় তোমার আলাদা করে গুড়ে করব এখনও সময় আছে, ভাল চাও ত পথ দেখ । ভুবনই যে , সার। পৃথিবীর মধ্যে এক মাত্র মোট ছিল এমন কোন