পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] AMA SeAeSYAAA AAAA AAAA SAAAASAASAASAASAASAASAASAASAAeSJA AJASAeSJSJAMMA SJS S AAAA দেশের কথা দেশের কথার আলোচনায় যাহা আমাদের প্রধান অবলম্বন, দেশের সেই সংবাদপত্রসমূহ আজকাল যুদ্ধবিগ্রহের ‘প্রেস-বুরো’ নিয়াই ব্যতিব্যস্ত। কাজেই দেশের অঙ্গের যেস্থলে যুদ্ধের আঘাত প্রত্যক্ষভাবে লাগিতেছে, প্রসঙ্গতঃ সেইস্থলেরই ‘বুলেটিনটি ঘাষণা করিয়া দেশের প্রতি আপনাদের কৰ্ত্তব্য শেষ করিতে অনেক পত্রিকাষ্ট প্রয়াসী । তৎস্বরে দেশের অন্যান্য যে দুইএকটি বাৰ্ত্তা ধ্বনিত হইয়া উঠে, তাহা বিজ্ঞাপন-বহুল সাপ্তাহিকের ক্রোড়পত্রের প্রয়োজনবন্ধিত এক আধটি চুরি বা জখমের ংবাদেরই দ্যায় নি তান্ত আসার । দেশের কথা ‘থোড় বড়ি খাড়া’ বা ‘পাড়, বড়ি থোড়ে'র আলোচনায়ই পৰ্য্যবসিত হইয় পড়ে। আমরা পূৰ্ব্বাবধি বলিয়৷ আসিতেছি যে, সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদকগণ যদি স্থানীয় কৃষি, বাণিজ্য, শিল্প, স্বাস্থ্য, আমদানী, রপ্তানি, ইতিহাস, পুরাতত্ত্ব, সমাজহিতকর কার্য্য প্রভৃতির আলোচনায় অধিকতর মনোনিবেশ করেন, তাহ হইলে একদিকে যেমন তদ্বার। জাতীয় ইতিহাসের প্রকষ্ট উপাদান প্রস্তুত হইতে পারে, অন্যদিকে তাহ দেশের মৰ্ম্ম কথাস্বরূপ বিশ্বের কথার সুরে সম্মিলিত হইয়া সার্থকতালাতে সমর্থ হয় । পত্রিক-প্রকাশের প্রকৃত দায়িত্ব বুঝিয়া যে-সকল পত্রিকা এবিষয়ে কিঞ্চিম্মাত্রও যত্বের পরিচয় দিয়া আসিতেছেন তাহারা যথার্থই দেশ-ঙ্গি তৈষণার অগ্রদুতরূপে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার যোগ্য । কিন্তু দেশের দুর্ভাগ্য, এরূপ পত্রিকার সংখ্যা নিতান্তই অল্প এবং এই অল্পসংখ্যক পত্রিকায়ও দেশের প্রয়োজনানুরূপ সংবাদের পরিমাণ তেমন বেশি দেখা যায় না। তবু ইহাদিগকেই সঙ্গে করিয়া আমাদের আলোচনাক্ষেত্রে অগ্রসর হওয়ার @び邪tós I ইতিপূৰ্ব্বে অনাবৃষ্টি৭ জন্য দেশব্যাপী একট। হাহাকার উঠায় সং প্রতি পর্জস্যদেব তর্জনীদ্বারা দুই এক ফোটা শান্তিজল দেশের অঙ্গে ছিটাইয়া দিয়াছেন । কিন্তু তাহাতে শান্তি তো হয়ই নাই, বরং অনেকস্থলে উলুট। ফলেরই আশঙ্কা দেখা যাইতেছে। বৃদ্ধ ‘কাশীপুরনিবাসী বলিতেছেন— ۹۰ میت- ها می میر - ফলে, 2 & শর কথা 8ፃፃ SS S SSAAAASA SAASAASSAAAAAAeMAAAA SAS SSAS SSAS SSAS SSASAS SS SAAAAAeSeS AAAAAS AAASASAAAAAS AAAAAS AAASASMSMSAS A SAS S S S S S “গত ৪ঠা পৌষ হইতে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হইয়া শুই পর্যাস্ত বর্ষ। চলিয়াছে ; ইহাতে ক্ষেত্রের ও গৃহস্থের বাড়ির কাটা পালা-দেওয়া ধানগুলির ক্ষতি করিয়াছে।” ‘পাবনা-বগুড়া-হিতৈষী’তে প্রকাশ– “গত ২২শে তারিখ রবিবার রাত্ৰিতে ২৪ ফোটা বৃষ্টি হইয়ুছিল, কিন্তু তাহাতে কিছুই উপকার হয় নাই ।” কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম-অঞ্চলে ইন্দ্রদেব একটু মুক্তহস্ত হষ্টয়া সৰ্ব্বনাশের পন্থা আরো বিস্তৃত করিয়া দিয়াছেন। কুমিল্লার ‘ত্রিপুরী-হিতৈষী’ বলিতেছেন—

    • অনেক দিনের পর গত শনিবার রাত্রি হইতে পর্জনু্যদেব অবিরল ধারায় বর্ষণ আরস্ত কfরয়াছেন । এই প্রকার অবিরত বাfরপাত-নিবন্ধন ধান্য ফসলের ও খড়-বিচলির অতাধিক ক্ষতি হইয়াছে । অনেক গৃহস্থের কাটা ধান্ত বাড়ী অনিয়া ও অনেকের মাঠে থাকিয় প্রচুর পরিমাণে নষ্ট হইয়া গিয়াছে । সরিষা প্রভৃতি নানারূপ রবিশস্তও অতিবৃষ্টিপাত-দরুণ বিনাশপ্রাপ্ত হইয়াছে।”

চট্টগ্রামের ‘জ্যোতিঃ’তে প্রকাশ--- “সমস্ত দিন মুষলধারে বর্ষণ হইয়াছে । কুসকের বার অর্ণনা কষ্ঠিত শস্য বাড়ীতে স্ত,পাকারে ভিঞ্জিয়াছে, অীর চtfর আল। পাকা ধান মাঠে ন্ডালিতেছে । গরু ছাগলের জন্য যাস মিলিলে না । * * * পাউণ্ডী কৃষিরও কতেক অনিষ্ট হইয়া গেল।” সাধারণতঃ ডাকের বচনেও শোনা যায়— “যদি বর্ষে পৌষে । কড়ি হয় তুযে ॥’ বস্তুত, ‘তুষে কড়ি’ হইবার সূচনা ইতিমধ্যেই স্থানে স্থানে দেখা গিয়াছে। মৈমনসিংহের ‘চারুমিহির' সংবাদ দিয়াছেন— “লবণ বাতীত প্রায় জিনিসের মুলা টাকা-প্রতি এক আণা হইতে দুই আtলা পরিমাণে বাড়িয়াছে।” ‘হিন্দুরঞ্জিকা' রাজসাহীর কথা বলিতেছেন— খাদ্য-দ্রব্য ক্রমেই ৪র্থ,ল্য হইয়। ऍटठेिठ, ।।' টাঙ্গাইলের ‘ইসলাম-রবি’ স্থানীয় বাজারদর-প্রসঙ্গে বলেন--- “চাল, ডাল, তেল, লবণ, মরিক, চিনী, মিশ্ৰী, ময়দা, দেশলাই প্রভূতি সমস্ত জিনিবেরই মূল্য ক্রমশ: বুদ্ধি পাইতেছে।” ‘জ্যোতিঃ’ চট্টগ্রামের অবস্থা জানাইতেছেন— “চটগ্রামে থাদ্য-দ্রব্যের মূল্য অতাধিক পরিমাণে বৰ্দ্ধিত হইয়াছে " - e ‘মানভূমে’ প্রকাশ-- “দেশী বিদেশী প্রায় সমগ্র জিনিষেরই দাম চড়িয়াছে " কঁথির নীহার’ সংবাদ দিতেছেন— “পুরাতন মোট চাউল টাকায় /৮ সের। নুতন চাউল টাকায়