পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্য। ] یه ساخته ও ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি এবং শিক্ষার উৎকর্ষসাধন উভয়ই হইয়াছে। মধ্যপ্রদেশসমূহ ও বেরারে বালকদের পাঠশালাসকলে ২৬৪ ৫ জন ছাত্র বাড়িয়াছে। .২৫৯টি নূতন পাঠশালা খোলা হইয়াছে। বালিকাদের পাঠশালাতেও ೪ ರ್ಕ್ವಿ ছাত্রী বাড়িয়াছে । প্রত্যেক হাজারজন মাসুষের মধ্যে বঙ্গে ৭৭, মধ্যপ্রদেশসমূহ ও বেরারে ৩৩, উত্তরপশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে ৩ , পঞ্জাবে ৩৭, এবং অfগ্রী-অযোধ্য প্রদেশে ৩৪ জন লিখিতে পড়িতে পারে। সুতরাং দেখ। যাইতেছে বাংলা দেশের লোক উল্লিখিত চারিটি প্রদেশের লোকদের চেয়ে লেখাপড় কম ভালবাসে না, বরং অনেক বেশীই ভালবাসে । অতএব বঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষার হ্রাসের কারণ লেখাপড়ার অনাদর নহে। কিন্তু সরকারী পক্ষের কেহ এই তর্কও করিতে পারেন যে ঐসব প্রদেশে লেখাপড়ার প্রচলন কম থাকা হেতু, তথাকার প্রজাবৰ্গ ও গবর্ণমেণ্ট শিক্ষায় অধিক মন দেওয়ায় পাঠশালা এবং ছাত্রছাত্রী বাড়িতেছে। বেশ কথা। কিন্তু তাহাতে ঐসব প্রদেশে বঙ্গ অপেক্ষ। দ্রুতবেগে পাঠশালা ও ছাত্রছাত্রী বাড়িতে পারে ; সে কারণে বাংলাদেশের পাঠশালা ও ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ক্রমাগত কমিয়া যাইতে ত পারে না । আরও একটা তথ্যের প্রতি দৃষ্ট নিক্ষেপ করুন। ব্ৰহ্মদেশে হাজারে ২২২ জন লিখিতে পড়িতে পারে ; বাংলা দেশে পারে ৭৭ জন, অর্থাৎ লিখনপঠনক্ষম লোকের হার ব্রহ্মে বাংলার তিন গুণ । অতএব বঙ্গদেশে শিক্ষ;বিস্তার আগে বেশী হইয়া থাকাতেই যদি এখন পাঠশালা ও ছাত্র-ছাত্রী কমিয়। যাওয়া স্বাভাবিক হয়, তাহা হইলে ব্রহ্মে পাঠশালা ও ছাত্রছাত্রীর হ্রাস বঙ্গের তিন গুণ বেগে হওয়া চাই। কিন্তু বাস্তবিক কি ঘটিয়াছে ? তথায় পাঠশালা বাড়িয়াছে ৩২৪টি, এবং ছাত্রছাত্রী বাড়িয়াছে శిసెరిyరి తానె | বাংলা দেশটাও স্বষ্টিছাড়া নয়, বাংলাদেশের লোকও স্বাক্টছাড়া নয় । অন্ত নানা রকমের নানা প্রদেশে শিক্ষা বাড়িতেছে ; এখানে বাড়া দুরে থাকু, কমিতেছে কেন ? বিবিধ প্রসঙ্গ—বঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষার হ্রাস so AMAJJMMAMAAMMAMMAMMMAMMAMAMMMMMeMAMA AMMMMMMA AMMeMA AMeMMAMeeAMM MeeeSAJAAASA SAASAASAASAASAASAAASAAA S 8boፃ ১৯১৩ খৃষ্টাব্দের ২১ শে ফেব্রুয়t iী ভ{র হগবর্ণমেণ্টের e - so শিক্ষাসম্বন্ধীয় যে মন্তব্য প্রকাশিত হয়, তার্থীতে লেখা আছে ৪— “It is the desire and hope of the Government of India to see in the mot distant future some 9?,oco primary public schools added to the roo,000 which already exist for boys ind to double the 4.25 millions of pupils who tow receive instruction in them." “এখন ভারতবর্বে এক লক্ষ পাঠশালায় সাড়ে বিয়াল্লিশ লক্ষ ছাত্র পড়ে। ভারতশ্ববর্ণমেণ্ট অদূর ভবিষ্যতে আরও ১১,••• পাঠশালা খুলিয়া ছাত্রসংখ্য। দ্বিগুণ করিবার ইচ্ছা ও ছা" করেন ।” বাংলাদেশ ভারতবর্ষেরই মধ্যে। এখানে বৃদ্ধির পরিবর্তে হ্রাস হইতেছে কেন ? ভারতগবর্ণমেণ্টের পুৰ্ব্বোত্ত মন্তব্যের অষ্টম প্যারা গ্রাফে আছে ঃ– “The steady raising of the standard of cxisting ins'itutions should not be postponed to increasing their number when the new institutions cannot be efficient without a better-trandd and bette-paid teaching staff.” "診 অর্থাৎ, বর্তমান শিক্ষালয়গুলির সংখ্যা বাড়া ইবার জন্য, অধিকতর শিক্ষিত ও অধিক তর বেতনভোগী শিক্ষক নিয়োগদ্বারা তাহাদের উৎকর্যসাধনের চেষ্টা স্থগিত থাকিবে না । কিন্তু ভারত-গবর্ণমেণ্ট কোথাও একথা বলেন নাই যে পাঠশালার সংখ্যা কমাইয়। দিতে হইবে । বরং এই মন্তব্যের ১১ প্যারাগ্রাফে বলিতেছেন যে অষ্টম প্যারাগ্রাফ অগ্রাহ না করিয়া নিম্ন প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির সংখ্য খুব বাড়াইতে হইবে । * আমরা দেখিতেছি আর অনেক প্রদেশে উৎকর্ষসাধন ও সংখ্যাবৃদ্ধি দুইই চলিতেছে । বাংলাদেশে উৎকর্ষসাধন কি হইতেছে তাহা ত জনি না। কিন্তু সংখ্য। ক্রমাগত কমিয়া চলিতেহে । সম্রাট পঞ্চম জর্জ কলিকাতা

  • I 1 (i) Subject to the principle stated in paragraph 8 (1) suffra, thefe should be a large expansion of lower primary schools......

( ii ) Simultaneously upper primary schools should be established at suitable centres and lower primary schools should where necessary be developed into upper primary schools.