পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ని రి নিয়ে বিবৃত করিতেছি। স্বদেশবাসীর উপকারার্থ আপনি যে চেষ্টা করিতেছেন, তজ্জন্ত আপনাকে ধন্যবাদ দিতেছি। আপনি গরীব কাঙ্গালের একমুষ্টি অন্নের সংস্থান করিতে পরিলে আমরা আপনার নিকট চিরঋণে আবদ্ধ থাকিব । “আমাদের গজরা গ্রামটি মৎলবগঞ্জ থানার অন্তর্গত । ইহাকে কেন্দ্র করিয়া ইহার চতুষ্পাশ্ববৰ্ত্তী আমুয়াকান্টি, ডুবগী, সদরদিয়া, টরকীকান্দ ও রায়েরদিয়া এই কয়খানি গ্রামের অবস্থা লিখিতেছি । পাটের বাজারে যাহা হইবার তাহ। আপনার অজ্ঞাত নাই। এখানে কচিৎ লোকে ধান বোনে। পাটই ইহাদের প্রধান ফসল । সুতরাং এখন গ্রামের চৌদ্দজান লোকেরই অন্নবস্ত্রের কষ্ট উপস্থিত হইয়াছে । অনেক লোক অনাহারে থাকিতেছে। চুরির সংখ্যাও খুব বৃদ্ধি পাইয়াছে। ইহার ভিতর একটা রহস্য আছে। যত চুরি হইতেছে, তাহার সকলগুলির এজাহার পড়ে না। ইহার কারণ কতকটা অর্থাভাব, কতকটা অপহারকদের ভবিষ্যৎনিৰ্য্যাতন ভয়, এবং কতকটা পুলিশের ভয় । মাছ, তরকারী ও দুধ অন্যান্ত বৎসরের তুলনায় সস্তা । কারণ লোকের যাহা আছে, তাহার সমস্তই নিজে না খাইয়াও বিক্ৰী করিয়া ফেলে। মজুরীর দরও সস্তা । কারণ যাহারা কোনও দিন মজুরী করে নাই, এমন মধ্যশ্রেণীর গৃহস্থগণও এবার পেটের দায়ে মজুরী করিতেছে। কিন্তু মজুর খাটাইবার মত অর্থ অনেকেরই নাই । ধান, চাউল ও অন্তান্ত খাদ্যদ্রব্য অগ্নিমূল্য। “অন্নক্লিষ্ট লোকদের সংবাদ আমি যতদুর সংগ্ৰহ করিতে পারিয়াছি, তাহদের নাম ও সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিম্নে দিলাম । [ স্থানাভাবে নামগুলি ছাপাইলাম না । —প্রবাসী-সম্পাদক ] “ আর কত নাম করিব ? ষাহীদের অবস্থা স্বচক্ষে দেখিয়া হৃদয়ে বেদন পাইয়াছি, কেবল তাহদের নামই এস্থলে উল্লেখ করিলাম ৯ অনেকে ২ ৩ দিনে দু’এক বেলা খাইতে পায় ; তাহাও অনিয়মিত ও বিরুদ্ধ আহার বলিয়া অনেকে উদরাময়, জর, আমাশয় ইত্যাদিতে আক্রান্ত হয় ৷ পয়সার অভাবে না চলে পথ্য, না চলে চিকিৎসা। প্রবাসী—ফান্তন, ১৩২১ [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড “গজর মধ্যইংরাজিঙ্কুলের ছাত্র দেবেন্দ্র পোদ সুরেন্দ্র দে, হেরম্ব বীর, গোবিন্দ ভাওয়াল, সেরাজুল । রাইচরণ নাথ, আবদুল রহিম, হাচন আলি; রজ্জব অ’ শশী দে, এবং অমুয়াকান্দীনিবাসী চাদপুর হাইস্কু ছাত্র বক্স আলি ও ছৈয়দ হোসেন অর্থাভাবে পরিত্যাগ করিতে বাধ্য হইয়াছে। “অন্নfক্লষ্ট লোকদিগকে গ্রামের লোকগণ সাহ করিতেছে না। কচিৎ দুই একজনের সাহায্য করি ক্ষমতা আছে ; কিন্তু তাহারা কি কহিবে ? গবর্ণমে কোন প্রকার ব্যবস্থা করেন নাই । “গ্রামে চুরির সংখ্যা বাড়িয়া গিয়াছে। টরকৗকা নিবাসী শ্ৰীসহর আলির নগদ ১০০ টাকা, গজরানিব ঐকমল সাহার ১০ টাকা ও গজরার পোষ্টম শ্ৰীপুৰ্ণচন্দ্র মালীর ৪ ধান। বারানসী শাড়ী, একথ সোনার বাজু ও নগদ ১০ টাকা চুরি যায়। পুf তদন্তে কোনই ফল হয় নাই। এরূপ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ! অনেক হইতেছে। এখানে বিষপ্রয়োগে গো-হ চলিতেছে । শক্রতা করিয়া নয়, গোহত্যা করতঃ উঃ চামড়া বিক্ৰী করিয়া কিছু পাইবার আশায় । যেস্থ বিয প্রয়োগের সুবিধা হয় না, সেস্থলে গরু চুরি ক;ি নিয়া কাটিয়া ফেলে, এবং চামড়া লইয়া যায় । “মোটামোটিভাবে আপনার সবকথারই উত্তর দিলা আপনি একটি অতি প্রয়োজনীয় বিষয় জানি চাহেন নাই, উল্লাহ। এদেশের টাকার সুদের কথা । এ মহাজনদের ঘরে টাকা নাই। থাকিলেও কেহ দরিদ্র। ধার দেয় না, সম্পত্তিশালী লোকদিগকেই দেয়। এ শস্য বপন করিবার সময় অসিয়াছে । এসময় গৃহ:ে টাকার খুব দরকার । তাহার সোনারূপার অলঙ্কারা বন্ধক রাখিয়া ঋণ করিতেছে ; কিন্তু মুদের দর শতক মাসিক ৬০—১২॥• টাকা । এইরূপ কড়া সুদেও য যথেষ্ট টাকা মিলিত, তবুও লোকের একটা পথ থাকিত কিন্তু ভগবান এবার দুঃস্থের প্রতি বিরূপ।” বাজাপ্তী হইতে শ্ৰীযুক্ত কালীমোহন ঘোষ মহালিথিয়াছেন ঃ–

  • আপনার পত্র পাইলাম। আপনি যে-সমস্ত বিষ