পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্য। ] করিয়া ১৯১২ সালের মেয়ো পদক প্রাপ্ত হন। তিনি কালী কলমের সাহায্যে রেখা দ্বারা ছবি আঁকা বিশেষরূপে অভ্যাস করিয়াছেন । এইরূপ ছবির বিলাতেও পূৰ্ব্বে আদর ছিল না, ভারতবর্ষে এখনও লোকে বুঝিতে পারে না যে এরূপ ছবি আঁকিতে হইলে কিরূপ দক্ষতার প্রয়োভুন। সচিত্র সংবাদপত্রের প্রচলন এবং নানাবিধ পুস্তক চিত্রিত করার প্রয়োজন হওয়ায় পাশ্চাত্য নানাদেশে এরূপ ছবির অtদর হইয়াছে । এই প্রকারের অনেক চিত্রকর, তৈলচিত্র বা জলচিত্র র্যাহারা আঁকেন,

  • * * * * * * * * * * * * * * ~ *

বিবিধ প্রসঙ্গ—রোগের প্রাচুর্ভাব ও দাতব্য চিকিৎসালয় । 8్స9 X r < *** * * * ** লাহোরে চিত্রপ্রদর্শনী । , ঐযুক্ত সমরেন্দ্রনাথ গুপ্ত শ্ৰীযুক্ত অবনীগ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়ের একজন ছাত্র । তিনি কিছুকাল হইতে লাহোরের মেয়ে স্কুল অব আর্টের সহকারী প্রিন্সিপ্যালের কাজ করিতেছেন। সম্প্রতি তাহার উদ্যোগে লাহোরে একটি চিত্র প্রদর্শনী খোলা হইঃtছল । উহাতে কলিকাতার নবীন চিত্রকর সম্প্রদায়ের অনেক ছবি, পঞ্জাবের পুরাতন অনেক ছবি, সমরেন্দ্র বাবুর নিজের কয়েকটি ছবি এবং র্তাহীর ছাত্রদের কতকগুলি ছবি প্রদর্শিত হয়। মেয়ো স্কুল অব আর্টের প্রিন্সিপ্যাল হাথ সাহেব কণিকাতার নূতন সম্প্রদায়ের ছবির প্রশংসা করেন এবং বলেন খে ইহঁদের প্রবর্তিত নূতন প্রথা চিরজীবী হইবে। সমরেন্দ্র বাবুর ছাত্রের যে তাহার নিকট অল্পকাল শিক্ষা পাঠয়াই শক্তির পরিচয় দিতেছে, ইহাও তিনি বলেন । পঞ্জাবের ছোটলাটও উক্ত প্রকার প্রশংসা করেন। তিনি সমরেন্দ্র - বাবুর ছাত্রদিগকে কলিকাতার সম্প্রদায়ের নকল না করিয়া তাহা হইতে অতু প্রাণনা লাভ করিতে উপদেশ দেন । ইহা সন্ধুপদেশ। ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশে দেশী চিত্রকলার স্বাধীন বিকাশ তরমুজ-বিক্রেতা। তাহাদের সমকক্ষ বলিয়া পরিগণিত হইতেছেন । মকুযকে বা প্রাকৃতিক দৃপ্ত:ক এমন করিয়া দেখা খুব সোজা নয়, যে দেখার ফল কেবল রেখার দ্বারা অপরের দৃষ্টিগোচর করা যায়। এরূপ ছবি আঁকার দিকে ভারতবযীয় চিত্রকরের অল্পই মন দিয়াছেন । শ্ৰীযুক্ত বীরেন্দ্রচন্দ্র সোমের আঁকা কতকগুলি ছবি বিশেষজ্ঞদিগের দ্বারা আদৃত হইয়াছে। আমরা তন্মধ্যে দুখানির প্রতিলিপি এখানে মুদ্রিত করিলাম । আনন্দের বিষয় । রোগের প্রাচুর্ভাব ও দাতব্য চিকিৎসালয় সমস্ত বাংলাদেশকে ম্যালেরিয়া জ্বর ও অন্যান্ত রোগে যেরূপ ছাইয়া ফেলিয়ছে, এবং দেশ যেরূপ দরিদ্র ও চিকিৎসকের সংখ্য। দেশে যেরূপ অল্প, তাহাতে সৰ্ব্বত্র দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপিত হওয়া একান্ত আবশ্যক। অভাব এত বেশী যে মিউনিসিপালিটি ও ডিষ্ট্রিক্ট বোর্ডের উপর এই কাজের ভার দিয়া নিশ্চিত্ত থাকিলে চলিবে