পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8述や SM AAAA S S S S S S S JSSS AASAA S S AAAA S J AAAA AAAA S AAAA পুনরাহুত স্থান। তাহার উৎসবের মত ব্যাপার হয় । , কুচক্রীদের ষড়যন্ত্রে ডাক্তণর অঘোরনাথ হায়দরাবাদ ত্যাগ করিতে বাধ্য হইয়। যখন কলিকাতা আগমন করেন, তখন এখানে গ্রেস্ত্রীটে ইউনিভার্সিট স্কুল স্থাপন করেন। উহ! পরে ইউনিভার্সিট কলেজে পরিণত হয়। অঘোরনাথ নিজাম কর্তৃক পুনরাহুত হওয়ায় ইউনিভার্সিট কলেজটি বিদ্যাসাগর মহাশয়কে বিক্রয় করিয়া যান, এবং তাহা মেট্ৰপলিটান কলেজের সহিত একীভূত হয় । হায়দরাবাদ হইতে পেন্স্যন লইয়া ত্যাসিয়া তিনি কলিকাতায় অবস্থিতি করেন। এখানে তিনি কিছুকাল সিটিকলেজে অবৈতনিক বিজ্ঞানাধ্যাপকের কাজ করেন । ইউরোপে সেকালে কোন কোন অমুসন্ধিৎসু লোক নিকৃষ্ট ধাতু সকলকে, কিরূপে স্বর্ণে পরিণত করা যায়, তাহার উপায় আবিস্কার করিতে চেষ্টা করিতেন । ত্ব'হাদের এই চেষ্টা সফল হয় নাই, কিন্তু তাহদের শ্রম ব্যর্থ হয় নাই । কারণ, উহা হইতে অনেক রাসায়নিক আবিষ্কার হইয়াছিল । নব্য রসায়নী বিদ্যার পূৰ্ব্বগামিনী এই বিদ্যা ইংরেজীতে আলকেমী নামে পরিচিত। র্যাহার। এই বিদ্যার অনুশীলন করিতেন তাহাদিগকে আলুকেমিষ্ট বলা হইত। ডাক্তার অঘোরনাথ আধুনিক রসায়নী বিদ্যায় বিশেষ পারদর্শী হইয়াও আলুকেমীর চর্চা ಟ್ಗ অষ্ঠাষ্ঠ ধাতুকে সোনা করিবার নুতন কোন একটা প্রক্রিয়ার কথ! যে কেহ বলিত, সেই তাহার নিকট আদৃত হইত। এই সব প্রক্রিয়ার বৈজ্ঞানিক পরীক্ষণ বরাবর তাহার গৃহে হইত। এই জন্য অনেক বৈজ্ঞানিক তাহাকে পরিহাস করিতেন, এবং তাহার মস্তিষ্কের বিকৃতি হইয়াছে মনে করিতেন ; কিন্তু তাহার বিশ্বাস অটল ছিল। আমাদের দেশের অনেক সাধু সন্ন্যাসীর এইরূপ বিশ্বাস আছে, এবং কোন কোন শিক্ষিত লোক এরূপ গল্প করেন যে র্তাহার স্বচক্ষে সন্ন্যাসীবিশেষকে সোনা প্রস্তুত করিতে দেখিয়াছেন। আমরা বৈজ্ঞানিক নহি । আমাদের নিকট ব্যাপারটি অসম্ভব বলিয়া মনে হয় না। এখনও উপায় আবিষ্কৃত হয় নাই, এই যা। তাক্তার অঘোর নাথ যৌবনে কেশবচন্দ্র সেনের চরিত্র JAAA AAAA AJAAA AAAA S S S S পুনরাগমনে তথায় - একটা প্রবাসী—ফান্তন, ১৩২১ [ »8* छांग, २ग्न शं७ S AAAAA AAA SAJSAAAAAA SAA AAAA AAAA AAAA S AAA S AAA S AAAAA AAAA AAAA SJM AAAA S SAAAASAASAASAASSAAAAAAS AAASASASA AAA ও উপদেশের প্রভাবে তাহার পূৰ্ব্বোল্লিখিত সহপাঠীদিগে সহিত ব্রাহ্মধৰ্ম্ম অবলম্বন করেন । তিনি স্বাধীনচেৎ মনখোলা সাধুপুরুষ ছিলেন । তিনি দানে মুক্তহস্ত ছিলেন ছেড়া ন্যাকড়া পর ভিখারীকেও তিনি নিজের সঙ্গে এ টেবিলে খাওয়াইতেন। হায়দরাবাদে তাহার গৃহে নি এক দরবারের মত হইত। তাহাতে হিন্দু মুসলমা রাজ ও ভিখারী, সাধু ও দুবৃত্ত সকলের সঙ্গে সমানভী বৈঠক চলিত। জীবনের বহু বৎসর মুসলমান রাৰে যাপিত হওয়ায় তাহার পোষাক ও আদবকীয়দ মুসলমা ধরণের হইয়া গিয়াছিল । তিনি সংস্কৃতে পণ্ডিত ছিলে এবং দক্ষিণাত্যের শিবগঙ্গা সমাস্থান হইভে বিদ্যার উপাধি পাইয়াছিলেন । চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের জীবনের বৃত্তান্ত কটকের ষ্টা অব উৎকল নামক ইংরেজী সংবাদপত্র হইতে সঙ্কলি হইল । আগেকার কালে ভারতবর্ষের নানা প্রদেশে যোগ বাঙ্গালীদের এখন কাৰ্য্যক্ষেত্র জুটিত, যেখানে তাহ। দেশের কল্যাণ করিতে পারিতেন এবং আপনাদে শক্তিরও পরিচয় দিতে পারিতেন। এখন দুটি কারণে বন্ধে বাহিরে বাঙ্গালীর কার্য্যক্ষেত্র সংকীর্ণ হইয়া আসিয়াছে প্রথমতঃ, অন্যান্ত প্রদেশের লোকের পাশ্চাত বিদ্যায় উন্নতি করিতেছেন। ইহাতে কাহারও অসন্তু হওয়া উচিত নয়। দ্বিতীয় কারণটি অন্ত প্রকারের বাঙালী মনুষ্যত্বের পথে অগ্রসর হইতে গিয়া মানুষের যাং পাওনা, তাহা দাবী করিয়াছে এবং বুঝিয়া পড়িয়া লই:ে চাহিতেছে। ইহাতে ভারতে যাহাদের প্রভুত্ব তাহার বিরক্ত হইয়াছে ; তাহারা অর্থাৎ ভারত প্রবাসী ইংরেজের বাঙ্গালীকে দেখিতে পারে না । তাহদের সাক্ষণ ও পরোক্ষ চেষ্টায় বঙ্গের বাহিরে বাঙালীর কাজ কর পূৰ্ব্বাপেক্ষা কঠিন হইয়াছে। কিন্তু ইহাতে দুঃখিত । ভগ্নোৎসাহ হইলে চলিবে না। দামী জিনিব বিনামূহে পাওয়া যায় না। ষে মানুষ হইতে চায়, তাহাকে কো না কোন আকারে তাহার মূল্য দিতে হয়। বাঙ্গালীর যদি কখন মনুষ্যত্ব লাভ করেন, তাহা হইলে দেখি:ে পাইবেন, বিধাতা তাহার পূর্ণ মুল্য কড়ায় ক্রাস্তি৷ে আদায় করিয়া লইয়াছেন ।