পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] শিক্ষর আদর্শ এক সময় একজন অতি উচ্চপদস্থ ইংরেজ কৰ্ম্মচারী আমাকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন যে বৰ্ত্তমান সময়ে যে ইংরেজী ভাষার মধ্য দিয়া সমস্ত শিক্ষিতব্য বিষয়গুলি আমাদের নিকট প্রচারিত হইতেছে ইহা দেশের পক্ষে সম্পূর্ণ উপযোগী হইতেছে কি না ? বহু বর্ষের অক্লান্ত পরিশ্রমের পরও যে ভাষাটি BBB MKK KBB BB K SB BBBS BBSEK KzSY ও নির্ভয়ে প্রয়োগ করিতে পারি, সেই ভষ। দ্বারাই আমাদের সমস্ত শিক্ষার উৎপত্তি স্থিতি ও বিস্তারের ব্যবস্থা করাতে আমাদের শক্তির কতকখানি অধথ। অপচয় হইতেছে কি না ইহা বাস্তবিকই বর্তমান শিক্ষাসমস্তার একটি দুরূহ প্রশ্ন । এই ভাষা-সমস্যার সঙ্গে সঙ্গে প্রচলিত শিক্ষা-প্রবাহের গতি ও উদ্দেশু সম্বন্ধেও কতকগুলি প্রশ্ন সহজেই মনে উঠিয় থাকে। যদি অল্প সময়ের মধ্যে কতকগুলি সংবাদ সংগ্ৰহকেই শিক্ষা বলা যাহতে পারিত তাহা হইলে যে-ভাষায় সহজে শিক্ষা করা যায় সেই ভাষায় তাড়া তাড়ি সংবাদ গুলিকে আয়ত্ত করাইয়া দিবার ব্যবস্থা করা হইলেই শিক্ষাসমস্তার কার্য্যকর উত্তর দেওয়া হইল বলিয়। মনে করা ধাইতে পারিত। কিন্তু শিক্ষ। বলিতে যদি মাগুধকে মানুষ করিয়া তোলা বুঝায় তবে ভাষা-সমস্তাটির সঙ্গে • সঙ্গে ইহাও বিবেচনা করিতে হইবে যে, যে বিষয় গুলি ছাত্রকে শিখান হইতেছে সেগুলি তাহার জ্ঞানবৃত্তি ও রসবুfত্তর সম্যকু উন্মেষ-সাধন কfরতে পারিতেছে কি ন! ? মানুষের অন্তরতম নিবিড় স্থানে এমন একটি কেন্দ্ৰ আছে, যেখানে তার শক্তিকে সংহত করিতে পারিলে, তাহা ক্রমশঃ বিস্তৃত হইয়া তাহার মানবতার পরিধি পৰ্য্যন্ত সম্পূর্ণ সমষ্টিটিকে ওতপ্রোতভাবে পরিব্যাপ্ত করিয়া ফেলে । কিন্তু শক্তি এই কেন্দ্রে সংহত না হইয়া যতই তাহা হইতে ক্রমশঃ ক্রমশঃ দুরে পুঞ্জীভূত হইতে থাকে, ততই তাহ মানুষের সমষ্টির বিকাশসাধন না করিয়া তাহার শক্তিকে বিক্ষিপ্ত করিয়! কেবলমাএ তাহার অঙ্গবিশেষেরই বৃদ্ধি করিয়া থাকে । এরূপ শিক্ষা মানুষকে \ wE) শিক্ষার আদশ GUዓ উন্নত করা দূরে থাকুক, ক্রমশঃ তাহাকে পীড়িত করিয়া তাহার জীবনীশক্তির হ্রাস করিয়া ফেলে। শরীরের স্বাস্থ্য যেমন শরীরের আনন্দে প্রকাশ পাইয়া থাকে, তেমনি মাকুষের শিক্ষণ ও তার আনন্দের মধ্যে প্রতিফলিত হইয়৷ থাকে । আমাদের দেশে প্রাচীন কালে যখন শিষ্যবৰ্গ গুরুগৃহে অধ্যয়ন করিতে যাইত, তখন তাহাদের পরস্পরের সম্বন্ধ, তাহাদের শিক্ষার বিষয়, তাহাদের শিক্ষার উদ্দেশু ও আদর্শ পর্য্যালোচনা করিলে বুঝ। ষায় যে তাহার মৰ্ম্মকেন্দ্রে এমন একটি আনন্দের আকর্ষণ বিদ্যমান ছিল যাহা ছাত্র দের সমস্ত বিক্ষিপ্ত শক্তি গুলিকে একটি আনন্দময় গ্রস্থিতে পরস্পর আবদ্ধ করিয়া শতদলের ন্যায় রূপে ও গন্ধে প্রচুর করিয়া ফুটাইয়া তুলিত। তখন সমাজ-পাদপটির স্বাভাবিকতা সঞ্জীবতা ও সরসতা এমনই সুরক্ষিত ছিল যে তাহার ভিতরকার মানুষগুলি যখন ফুটিয়া উঠিত তখন তাহার। মানুষের যথার্থতা ও স্বাধকতা লইয়াই ফুটিয়া উঠিত। আপন স্বাভাবিক মসুষ্যত্বকেই তাহারা অfপনাদের চরমসাধনার ধন বণিয়া মানিয়া লইয়াছিলেন, তাই তাহারা প্রেমকে জয় করিয়া প্রেমের উপরে আপনাদের প্রতিষ্ঠা অক্ষুঃ করিতে পারিয়াছিলেন এবং সুখের উচ্ছ,স্থলত অবহেলা করিয়া মুক্তির পরমানন্দের মধ্যে আপনাদের লীলাকুঞ্জ রচনা করিতে পারিয়াছিলেন । কাল যে পরিবর্তন আমাদের মধ্যে অনিয়া দিয়াছে তাহ সংগ্ৰহ করিয়া দেখিতে গেলে বুঝিতে পারা যায় যে গে।ড়। হইতেই শিক্ষার যথার্থ আদর্শকে বিকৃত করিয়া দেখার মধ্যেই তাহার সমস্তটাই প্রতিফলিত হইতেছে । মাকুযকে যথার্থ ভাবে মানুষ হইতে হইবে, এই শিক্ষাটা আর এখন চরম উপায় বলিয়। গ্রহণ করা হয় না, বরং সমস্ত শিক্ষাব্যাপারটাকেই কেবলমাত্র ধনাগমের ও তৎসম্পৰ্কীয় অন্যান্য সুধোগবিশেষের উপায় বলিয়া গণ্য করা হয়। ছেলেবেলা হইতেই বালকদিগকে একটি কলের মধ্যে ছাড়িয়া দেওয়া হয় । সেখানে সমস্ত প্রকরের স্বতন্ত্রতা ও স্বাভাবিকতা বর্জন করিয়া সেই কলের ষান্ত্রিক অfবৰ্ত্তের মধ্যে পড়িয় তাহারা ক্রমশঃ পিষ্ট হইতে থাকে ও পরিশেধে ছ'কনী-যস্তুে ফেলিয়া কোনগুলি কিরূপ গুড়া হইয়াছে তাহারই পরীক্ষা লওয়া হয় এবং সেই অতু