পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬০২ * . দৃঢ়সম্মিলিত ও স্বদ্ধ হইয়াও এত স্বাধীন ও স্বতন্ত্র, মানুষ যখন আপনার নিজের ছন্দে আপনি চলিতে থাকে, তখনই বিশ্বের সমস্ত ছন্দ সার্থক হয় । বিশ্বের দেহের মধ্যে সে যেন তাহার প্রাণশক্তিরূপে বিদ্যমান, কাজেই তাহার নিজের প্রাণনাতেই বিশ্ব অকুপ্রাণিত হইয় উঠে, অথচ তাহার প্রাণনাও বিশ্বযাত্রার প্রতিকুল হয় না। উভয়ের যোগ এত, অন্তরঙ্গ যে তাহণদের কাহাকেও কাহারও অধীন বলা যায় না, উভয়ের মধ্যে যেন একটা মহাপ্রাণের মহাপ্রাণনা নিত্য স্পন্দিত হইয়া উঠিতেছে। তাই মানুধের শিক্ষা একদিকে যেমন স্বতন্ত্র ও স্বাধীন, অপরদিকে তেমনই বিশ্বের সঙ্গে সৰ্ব্বতোভাবে সংযুক্ত । তাই মানুষকে যখন ছেলেবেলা হইতে গড়িয়া তুলিতে চেষ্টা করা যায় তখন হইতেই একদিকে যেমন তাহার প্রবৃত্তিগুলিকে স্বতন্ত্র ও সহজভাবে প্রস্ফুটিত হইবার অবসর দিতে হইবে, আর-একদিকে তেমনি বিশ্বের সঙ্গে তাহাকে সম্পূর্ণভাবে সম্বদ্ধ ও সংযুক্ত করিয়৷ তুলিতে :ে8া করিতে হইবে । মাকুবের প্রতি বিশ্বের ও যেমন একটি দাবী আছে, তার মাকুযভাবের বিশেষ সত্তারও একটা দাবী তেমনি ভাবেই অক্ষুণ আছে । আপাততঃ মনে হইতে পারে যে এই দুই দিকের দুইটা দাবী একত্র মিটাইয়। মীমাংসা করিয়া দেওয়া একরূপ - অসম্ভব। কিন্তু উভয়ের যথার্থ সম্বন্ধ বিচার করিলে সহজেই বোঝ। যাইবে যে ইহা বাস্তবিক তেমন অসম্ভব নয় । উভয়ের মধ্যে এমন একটা রসের সম্বন্ধ আছে যে যথার্থ ভাবে একের দাবী মিটাইতে গেলেই অষ্ঠের দাবীও সেই সঙ্গে-সঙ্গেই আপনা-আপনিই মিটিয়া যায়। কোনও বালককে যদি তাহার চারিদিকের বহিঃপ্রকৃতির সঙ্গে এমন করিয়া মিশিতে দিই, যে, তাহতে সেইগুলির উপর তাহার একটা প্রতি জন্মিয়া যায়, তাহ। হইলে পরে সে আপন হইতেই সেইগুলির সঙ্গে মিশিবে, ও মিশিতে মিশিতে ক্রমশঃই সেগুলির সম্বন্ধে অনেক কথা জানিতে আরম্ভ করিবে, ও ক্রমশঃ ক্রমশঃ সেগুলির সঙ্গে সম্বন্ধ যতই ঘনিষ্ঠতর হইয়া আসিবে, ততই সেগুলির সম্বন্ধে সমস্ত গোপন কথাগুলি তাহার নিকট সহজেই পরিচিত হইয়া উঠিবে। একবার এই বিশ্বকে তাল প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৩২১ { ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড বাসিতে পারিলে ইহার ভিতরকার নিরাবরণ সত্যটি স্বং নিরাভরণ হইয়। অতি সহজে আপনাকে তাহারই নি খুলিয়া দিবে। বাহিরের বিচিত্র বর্ণের নানা সমব তাহাকে আর উদ্ভান্ত করিতে পরিবে না, এই সমে মধ্য দিয়া সে অনায়াসেই তাহদের ভিতরকার অ কথাটুকু ধরিয়া লইতে পারবে । বাহিরের নানা মিথ অ1র ত{হকে ঠকাইতে পারে না, তাহার স্নিগ্ধ ৷ এমনই ঔজ্জ্বল্য লাভ করিয়াছে, যে, সহজেই ভিতরের ১ সত্যটুকুই তাহার চোখে পড়ে। ব্যাগস ইহা:ে intellectual sympathy folgt soll ff. Eftā পৃথিবীতে যত বড় বড় আবিষ্কার এপর্য্যস্ত হইয়া তাহার অধিকাংশেরই প্রথমোম্মেষ এইরূপ সহজ প ফুৰ্ত্তিতেই হইয়াছে । সত্যদ্রষ্টার হৃদয়ের কাছে প্রকৃf মৰ্ম্মকথ। এমনই স্বম্পষ্ট হইয়াছে যে তাহারা ত অনায়াসেই বিশ্বাস করিয়া লইতে পারিয়াছে, তাহাে তাহাতে অণুমাত্রও সন্দেহ করিবার কারণ ঘটে না পরকে বুঝাইবার জন্য যখন যুক্তির অনুসন্ধান করিয়া তখন তাহাতে অনায়াসেই মিলিয়। গিয়াছে । কা একবার যখন সত্য স্বচ্ছ ভাবে প্রতিভীত হইল ত তাহার চারিদিকে চাহিয়া দেথিলেই বুঝা যাইবে বিশ্বের অার-সমস্ত সত্যের সহিতই তাহ একান্তভাবে মু হইয়া রহিয়াছে, কোনও খানেই ৩াহার কোনও বিঃে নাই । যুক্তিপ্রণালীও বিশ্বের সমস্ত সত্যশৃঙ্খলের স:ি এইরূপ একটি যোগনিৰ্দ্ধারণ করা ছাড়া আর কিছুই ন কাজেই যেটা যুক্ত হইয়। রহিয়াছে সেটাকেই যদি বো গেল তবে কোন কোন খানে কি ভাবে যুক্ত হইল তা নিৰ্দ্ধারণ করা আর তত কঠিন হয় না । বিশ্বের সঙ্গে যোগ, বিশ্বের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, এ কথাও যতবারই উচ্চারণ করিয়াছি, ততবারই স্বভাবতঃ এ প্রশ্নটি অনেকেরই মনে হয়ত উঠিয়া থাকিবে যে এখt বিশ্ব বলিতে আমরা ঠিক কি বুঝি? একটা ইতর পশু পক্ষ বিশ্ব হয়ত তাহার ক্ষুৎপিপাসার উপশমের জন্য যে বাf রের জিনিযগুলির সঙ্গে তাহার সম্পর্ক ঘটে তাহার ৰে দূরে যায় না ; কিন্তু মানুষের বিশ্ব যে কত উদার তাহ আর ঠিকানা নাই। এক দিকে যেমন জড়জগৎ, উদ্ভি