পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vు) o স্বকীয় ‘মাশ্মি' তাহার ভিতর লুকাইয়। রাখিতে, ইচ্ছা করিতেন। র্তাহীদের মৃত্যুর পর কোন ৰ্যক্তি র্তাহাদের ভৌতিক শরীরের সন্ধান না পায় এই উদ্দেশে তাহার বিশেষ যত্ন , লইতেন । সুতরাং কবর-নিৰ্ম্মাণ প্রাচীন মিশরের ধৰ্ম্মজীবনে এবং বাষ্ট্রজীবনে একট। বিশেষ কৰ্ম্ম । ছিল । প্রাচীন মিশরীয় শিল্পের অল্পষ্ঠানে কবর-নিৰ্ম্মাণই প্রধান স্থান অধিকার করি ও । আমর। ইতিপূর্বে লুক্সপ্নের অপর পারে সুগভfস্থ৩ রাজকবরসমূহ দেখিয়াছি । বস্তু তঃ হয় পরামিড, না হয় পৰ্ব্ব ৩গুহায় কবর মিশরের সৰ্ব্বত্রই দেখিতে পাওয়৷ তারপর মুসলমানা কালেও মিশরে নানা কবর নিৰ্ম্মিত হইয়াছে । মুসলমানের অবশু কবর লুকাইয়া রাখিতে ব্যগ্র হইতেন না। র্তাহার কবরের সঙ্গে মসজিদ, বিদ্যালয়, ধৰ্ম্মশালn, হাসপাতাল ইত্যাদি লোকfহতfবধায়ক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থা কfরতেন । ফলতঃ, মুসলমান ক4এসমূহ জনগণের কৰ্ম্মকেন্দ্র- ও চিন্তাকে গু-স্বরূপ হইয়া থাকি ৩ । -মিশরের যে দিকেই তাকাই এই দুই জl৩ীয় কবরসমূহ দেখিতে পাই। এজষ্ঠই মিশরকে “কবরের দেশ” বলিয়াছি । আজ পরামিড দেখিতে গেলাম। ইলেf ,কৃ ট্রামে যাত্রা করা গেল। কান্তরোর নিকটেই নাইল পার হইতে হয়। নাইলের উপর কাইরে। নগরে সর্বসমেত ৪৷৫টি সেতু আছে। এগুলি প্রায়ই ফরাসী এঞ্জিনীয়ার ও কারিগৰ্বদিগের নিৰ্ম্মিত । ট্রামওয়ে কোম্পানী বেলজিয়াম দেশীয় । ট্রামের প্রথম শ্রেণীর বিজ্ঞাপন-ফলকে দেখিলাম ফরাসী ভাষায় লেখা আছে “গাটকাট আছে, সাবধান !” কাইরে নগরের ভিতর অসংখ্য চোর জুয়াচোর ভদ্রবেশে চলাফেরা করে । ইহাদের মধ্যে অনেকেই ঋণগ্রস্ত দুর্দশা প্রাপ্ত মিশরীয় ধনী-সপ্তান। আবার অনেকেই গ্ৰীক, ইতালীয় ও অন্যান্য ইউরোপীয় ব্যবসাদার ব৷ হোটেলরক্ষকগণের লোকজন ! মিশরে যাতায়াত করা বড় কঠিন । বিশেষ সাবধান হইয়া চলিতে হয়। এই জঙ্গই দেখিয়tfছ রেলওয়ে লাইনে দিবারাত্রি টিকেট ইনস্পেক্টর আসিয়া আরোহীদিগকে জালাতন করে। যেখানে-সেখানে যখন-তখন পরিদর্শকের টিকেট দেখিতে যায় । প্রবাসী—ফান্থন, ১৩২১ [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড চায়। মিশরীয় জনগণের সাধুতা ও চরিত্র এই নিয়া হইতেই বেশ বুঝা যায় । যে দেশে দুনিয়ার ইতর ভদ্র লোক আসিয়া জমিয়াছে সেখানে জাতীয় চরিত্র সহজে বুঝ বড় কঠিন । সেখানে অইন জটিল ত হইবেই। মিশরের জাতীয় উন্নতিসাধন এই কাবণে বড় কষ্টসাপেক্ষ । মিশর দুনিয়ার একট পাঞ্জার মাএ হঠয় দাড়াইয়াছে । এ দেশ ইউরোপের ধেীথসম্পত্তি-স্বরূপ বা বারোরারাতলা । মিশর সম্বন্ধে মিশরবাসীর হাত কোন কাজেই দেখিতে পাই না । মিশরের ভবিষ্যৎ গঠন করিবার উপায় মিশরবাসীরা স্বচেষ্টায় উদ্ভাবন করিতে সুযোগ পান না। মিশরের এই দুর্দশ জগতের অন্য কোন সমাজকে বোধ হয় কখনও আক্রমণ করে নাই । আধুনিক মিশরের এই শোচনীয় অবস্থা দেখিয়া মৰ্ম্মাহত হইতেছি । নদীর অপর পারে ট্রামে যাইতে যাইতে কলিকাতার খিদিরপুর ও বেহালার রাস্ত মনে পড়িল । একদিকে প্রকাণ্ড প্রান্তর নানা শস্ত্যপূর্ণ । কোন স্থানে গোলাপের বাগান, কোথাও আমের ক্ষেত । অপর দিকে নদী ও প্রাসাদসমূহ বড় বড় কয়েকট। প্রাচীন উদ্যানও দেখিতে পাঠ লাম । মিশরের জমিদারলিগের কতক গুণি মধ্যফ্যাশানের অট্টালিকা পথে পড়িল । এতদ্ব্যতাত আধুনিক নিয়মে “জুগজিক্যালগার্ডেন” বা চিড়িয়াখানাও পূৰ্ব্বে ইহা হস্মা হল পাশার ভবন কোটি কোটি টাকায় এইসকল হৰ্ম্ম্য দেখিতে পাইলাম । ও উদ্যান ছিল । নিৰ্ম্মিত হইয়াছে । পরে রেলপথের উপর দিয়। আমাদের ট্রাম চলিল । দুর হইতে দোলপূজার জন্য নিৰ্ম্মিত মৃত্তিকী-স্ত,পের ন্যায় বিশাল ত্রিভুজাকার প্রস্তরগুপে দেখিতে পাহলাম। এই স্তুপই পরামিড। ট্রাম হইতে নামিয়া গর্দভপৃষ্ঠে আরোহণ করা গেল । উত্তর দিক হইতে একটা অকুচ্চ পাহাড়ে উঠিতে লাগিলাম। খানিকটা উঠিতেই পরামিডের এক প্রাচীরগাত্র চক্ষুগোচর হইল । পীরামিড এই পাহাড়ের উপর অবস্থিত। উচ্চতায় প্রায় ৬• • ফুট-প্রত্যেক প্রাচীর দৈর্ঘ্যে প্রায় ৮•• ফুট । এইরূপ চারিট প্রাচীর উদ্ধে