পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬২০ নানা গুণীব্যক্তিকে অথসাহায্য, সম্পত্তিদান হত্যাদি দ্বারা {{ o - w স্বদেশে ধরিয়া রাখিতে চেষ্টিত হন । মহম্মদ আলি জগ তের এইরূপ সংরক্ষণশীল সভ্যতাপ্রবর্তক বাবপুরুষগণের 鲇 অন্ততম । o সুতরাং মহম্মদ আলির আমলে অালাক্রাঙ্ক আন্দোলন জাতীয় আন্দোলনেরই উপায় ও সহায়মাত্র ছিল । পরবত্তী কালে নানা কারণে মিশরে দুৰ্ব্বলত। প্রবেশ করিয়াছে। মিশরবাসীরা স্বচেষ্টায় স্বাধীনভাবে এবং নিজ ভবিষ্যৎ স্বাগ অনুসারে বিদেশীয় সভ্যতাকে গ্রহণ করিতে পারে নাই। পরাকুকরণ ও পরায়বাদের দেয এই সময়ে মিশর - সমাজকে আক্রমণ কলিয়াছে । আজকাল দেfপতেfছ ইউরোপের চরিত্রহীনতা, বিলাসী প্রয়তা, এবং বাহ্যনিষ্ঠ ই মিশরীয় আলাফ্রাঙ্কার প্রধান লক্ষণ । যাহা হউক, শক্তিমানের গায়ই হউক বা দুৰ্ব্বলের গায়ই হউক, মিশরবাসীরা ফরাশী ভাষা, সাহিত্য, বিজ্ঞান ও শিল্প একশতাব্দীকাল আদর করিয়া আসিতেছে। এজন্য এখনও ফরাসীfবদ্যায় পণ্ডিত লোক মিশরে অনেক দেখিতে পাইতেছি। বিদ্বানলোক বলিলেই মিশরবাসীরা ফরাসীশিক্ষিত ব্যক্তি বিবেচনা করিয়া থাকে । আজকাল মিশর রাষ্ট্রের রাজকৰ্ম্ম দুই • ভাষায় চলিয়া থাকে—আরবী ও ফরাসী । বিদ্যালয়েও ফরাসী শিক্ষারই প্রাধান্য। সংবাদপত্র ফরাসীভাষায় পেশী । মিশরবাসীদের মধ্যে র্যাহার উচ্চশিক্ষণলাভের পর গ্রন্থ লিখিয়া প্রসিদ্ধ গুচয়ার্ডেন ষ্টাঙ্গারা ফরাসীভাবাতেই লেখক। বিচারালয়ে উকীলের ফরাসীভাষায় অথবা , আরবাভাযায় বক্তৃত৷ করেন। ব্যবসায়মহলেও ফরাসীভাধার প্রভাব দেখিতে পাইতেছি । হাটে বাজারে, দোকানে, হোটেলে, থিয়েটারে, কাফি-গৃহে, ট্রামে, রাস্তার নামে, বিজ্ঞাপনে সৰ্ব্বত্রই ফরাসী ভাষা দেখিতে পাই । আমাদের দেশের কুলীমজুর গাড়োয়ানের। যেমন ইচারিট ইংরেজী কথা বলিতে পারে, এখানকার সেঙ্গ শ্রেণীর লোকেরা সেইরূপ ফরাসীতে বুক্‌নি দেয়। এইজন্যই ফরাসী জানা থাকিলে মিশরের সকল মহলে সহজে প্রবেশ করা যায় । দুর্ভাগ্যক্রমে এ ভাষা জানা ছিল না। এজন্য যথার্থভাবে মিশরের হৃদয় অধিকার করিতে পারিলাম না বলিতে বাধ্য। প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৩২১ [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড অবশ্য ইতালীয় ও গ্রীক এই দুইট। ভাষাও এখানকার অনেক লোকই জানেন । তাহার কারণ আর কিছুই নয়। বহুকাল হইতেই মিশরে অনেক ইতালীয় ও গ্রীক বাস করিয়া ব্যবসায় চালাইতেছে। কাজেই তাহীদের সংস্পর্শে আসা জনসাধারণের নিত্যকর্মের মধে পরিগণিত। শিক্ষিত ও অশিক্ষিত সকলকেই গ্রীক ও ই গলীয় লোকজনের সঙ্গে কারবার করিতে হয়। ইংরেজীভাষা শিক্ষা মিশরবাসারা স্তোনদিনই প্রয়োজন বোধ করে নাই । মহম্মদ আলির সময়ে ইংরেজ জগতে তত প্রবল ছিল না। আরবী মউজিয়মে একখানা হস্তলিখিত দলিল দেখিলাম। ষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর আমলের প্রায় ১• ০ জন বণিকৃ ও ব্যবসায়ী বোম্বাইনগর হইতে মহম্মদ আলিকে কাকুতি মিনতি করিয়া পএ লিখিয়াছে। মিশরের পথ দিয়া মহম্মদ আলি যাহাতে ইংরেজদিগকে ভারতে আসিতে দেন এই আবেদনের তাহাই মৰ্ম্ম । তাহা ছাড়া তিনি ইংরেজ বণিকদিগকে দুষ্টএকক্ষেত্রে এই উপায়ে সাহায্য করিয়াছেন, এজন্য র্তাহাকে ইহার যৎপরোনাস্তি ধন্যবাদ দিয়াছে । ইহার প্রায় ৫০ বৎসর পরে সুয়েজ খাল থোলা হয় । খেদিশু সৈয়দপাশার বাল্যবন্ধু ও সহপাঠী ফরাসী এঞ্জিনীয়ার লেসেপ্তা এই কার্য্যের তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত হন । ফরাসীর স্বাগ ইহার দ্বারা বিশেয পুষ্ট হইলে এই আশঙ্কায় ইংরেজের সুয়েজ খাল বন্ধ করিতে কৃতসঙ্কল্প হইয়াছিল। কিন্তু তখনও তাহাদের প্রভাব মিশরে বেশী ছিল না। আজ প্রায় ৩০ বৎসর হইল ঘটনাচক্রে ইংরেজ মিশরে বসিয়াছে । তাঙ্গার ৪৪০০ সৈন্ত ও মিশরত্গে অবস্থিতি করিতেছে । তাহার লোকজন, বণিক, কৰ্ম্মচারী, এঞ্জিনীয়ার, ডাক্তার, অধ্যাপক, বিশেষজ্ঞ একে একে মিশরে স্তান পাইতেছে । মিশরের মন্ত্রণ সভা এক্ষণে ইংলণ্ডের রাষ্ট্রনীতিজ্ঞগণ কর্তৃকই পরিচালিত হইতেছে। তাহার উপর সুয়েজ খালের প্রধান অংশীদারই এক্ষণে ইংরেজ । অধিকন্তু মিশরের দক্ষিণ দেশ সুডান অনেকট। ইংরেজাধিকৃত। সুডান হইতে লোহিতসাগর পয্যন্ত রেলপথ বিস্তৃত হইতেছে। ভারতবর্ষের সঙ্গে ইংলণ্ডের সম্বন্ধ আরও ঘনিষ্ঠ কর f ॐ