পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬২২ - - o is o - 两、 w * - ... . . . . ) ב- "ש -ു. \L4 - న سياسي » - , . -3 - - تم. - سینات ها- هم ఢీశుగ్రీ _Norii:::::: - মন্দভাবে লগাছ ছাটা হইয়াছে । এই গাছগুলির অাবাদ বেশী ব্যয়সাধ্য নহে । ইহাদের চাষ সম্বন্ধে কিছু কিছু বল। যাইতেছে — কুল –কুলগাছের খাবাদের জন্য খুব উৰ্ব্বর। জমির প্রয়োজন নয় । পুকুর, মাঠ, নদী ও নালার ধারে, কিম্ব। পতিত জমিতে কুলগাছ জন্মাইয়া তাহার উপর লাক্ষার চাব স্টুতে পারে । মধ্যে মধ্যে ইহার ডাল ছাটিয়া দিলে গাছের খুব উপকার হয় এবং অল্পদিনের মধ্যে কচি কচি ডাল পুনরায় বাহির হইলে উহার উপর লাক্ষার পোকা বৰ্দ্ধিত ও পুষ্ট হয়। হিসাব করিয়া গাছ ছাটিলে বৎসরে একবার করিয়া লাক্ষার ফসল পাওয়া যাইতে পারে । পুসাতে পরীক্ষা করিয়া দেখা গিয়াছে যে এক কুলগাছ হইতে ক্রমান্বয়ে ছয়বৎসর লাক্ষার ফসল হইয়াছে। আশা করা যায়, যে ভিন্ন ভিন্ন স্থানেও এইরূপ ফল পাওয়া ষাইতে পারিবে । পলাশ ঃ--অামাদের দেশে জঙ্গলে পলাশগাছ খুবই হয় । ইহার আবাদের জন্য বেশী উৰ্ব্বর জমি ও যত্নের প্রয়োজন হয় না। পলাশগাছ ছাটিলে অনেক কচি কচি নিম্নে প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৩২১ [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড ডাল বাহির হয়। এই গাছ হইতে যে লাক্ষা প্রস্তুত । তাহার রঙ খুব গাঢ় হয় এবং ইহাকে রঞ্জন কহে । কুসুম ঃ–কুসুমগাছ যদিও বেশী দেখা যায় না, কি ইহা হইতেই সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক ও উৎকৃষ্ট লাক্ষ পাও যায়। কুসুমগাছ একটু সাংসে'তে জমিতে ভাল হয় নদা কিম্ব নালার ধারই ইহার পক্ষে উপযুক্ত । কুসুমগ। হইতে লাক্ষ। বীজ (lBrood Lac) লইয়। কুল কিং পলাশ গাছের উপর জন্মাইলে অত্যধিক পরিমাণে লাঙ্ক উৎপন্ন হয়। কুসুমগাছ হইতেই লাক্ষাবীজ লই। অন্যগাছে বিস্তার করা উচিত । কিন্তু ইহাতে অসুবি এই যে এই গাছ হই৩ে প্রতি-বৎসর ফসল পাওয়া যা না । প্রত্যেক দুর্ক তিন বৎসরে একবার করিয়া ফস পাওয়া যাঙ্গতে পারে । কিন্তু ইহ | সত্ত্বেও প্রত্যেক ছ শুি• বৎসর অন্তর এই গাছ হইতে যে লক্ষ পাওয়া যা তাহা পরিমাণে ও গুণে খুবই অধিক ও উৎকৃষ্ট । পিপলগাছ ঃ—আমাদের দেশে সৰ্ব্বত্রই এই গা জন্মায়। ইহা হইতে ফিকে হলুদে রঙএর লক্ষণ পাওয় যায়। এবং নিম্নশ্রেণীর চাদ গালা বা চাচ জোঁ প্রস্তুতের জন্য ইহা খুব ব্যবহার করা হয় । দুইবৎসর অন্তর পিপলগাছ হইতে ফসল পাওয়৷ যাইতে পারে । শিরীয ঃ—সাধারণতঃ রাস্তার ধারেই শিরীযগাছ রোপণ করা হয় । ইহা হইতে যে লক্ষিণ উৎপন্ন হয় তাহার রঙ ও দ1ন। ঠিক পিপলগাছের লক্ষণর ন্যায় অধিক পরিমাণে ফসলের জন্য শিরাষগাছের লাক্ষাবীজ শিরীযগাছেই লাগান উচিত । শিরীষগাছ একবার ছাটিবার পর প্রত্যেক দুই বৎসরে উক্ত গাছ হইতে এক বার করিয়া লাক্ষা সংগ্ৰহ করা যাইতে পারে । ইহা ব্যতীত সিন্ধুদেশে বাবুলগাছেও লাক্ষার চাষ হইয়া থাকে। সিন্ধুদেশে বাবুল হইতে লাক্ষাবীজ লইয়া বেহারের বাবুলে জন্মাইবার চেষ্টা হইয়াছিল কিন্তু কোনও ফল পাওয়া যায় নাই । আসামের কোনও কোনও স্থানে অড়হর ও তুরগাছের লাক্ষা পাওয়া যায়। কামরূপ জেলাতে মাঠের ধারে অড়হরের বীজ রোপণ করা হয় এবং গাছ যখন ২৩ বৎসরের হয় তখন তাহাতে লাক্ষাবীজ সংযোজন করা হয় । ভারতের অন্যান্ত প্রদেশেও অড়হর