পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা | ムヘヘヘ ^ヘへへへヘヘヘヘヘヘヘ নাই। সংস্কৃত বৈদ্যশাস্ত্র ও রত্নশাস্ত্রের ত কথাই নাই, লীলাবতী পাটীগণিতেও আছে। মাষক ও অৰ্দ্ধমাষক দুইপ্রকার মাষক ছিল। আমন্ত্রকোষে মাষপণী (যাহা হইতে বাঙ্গালা মাষাপি হইয়াছে ) আছে। ধ্বনিসাম্যে বিড়ম্বিত হইবার একটা দৃষ্টান্ত সম্প্রতি পাটুয়াছি। অনেকে আমাস (রোগ) শুদ্ধ করিয়া লেখেন ও বলেন, আমাশয় । কিন্তু আম+ আশয়= আমাশয় ; এবং চরক বলেন. নাভি ও স্তনদ্বয়ের মধ্যের অন্তরে আমাশয় ( অবয়ব ) অবস্থিত। চরক সুশ্রুত মাধবকর ভারপ্রকাশে আমাশয় নামে কোনো রোগ নাই। আমরা যাহ। আমাসা বলি, বৈদ্য । শাস্ত্রে তাহার নাম প্রবাহিক । এই শাস্ত্রে অতিসার রোগ অধিকারে আমাতিসার ও অন্তান্ত অতিসারের সহিত প্রবাহিকা বর্ণিত হইয়া থাকে । চৰুত্ৰ বেচ শ্লেষ্মাতিসারের মধ্যে প্রবাহিক নিবিষ্ট আছে। আমি মনে করি স” আমাতিসার শব্দ হইতে বা আমাসা। শব্দের মাঝের ত ই এবং শেষের র লুপ্ত বা গ্রস্ত হইতে পারে । যেমন, সুতিক্ত—সুইজ—মুক্ত। যদি আ-মা-সা ঠিক এই একরূপ শুনিতাম, তাহা হইলে বরং আম-সার মনে হইত। কিন্তু কেহ কেহ বলে আমেস। অর্থাৎ আমাতিসার-—আম!ইসা—আমেসা । সুtধারণ লোকে আমাতিসার ও প্রবাহিকার প্রভেদ জানে না। অতিসার— অধিক পরিমাণে—নিঃসরণ হইলে অতিসার, আমাসা রোগ আমাশল্পের নহে, অন্ত্রের ; সুতরাং আমাশয়-গত রোগও বলিতে পারি না । সে দিন “কবিরাজ হরলাল গুপ্ত কর্তৃক সঙ্কলিত” লড়ীজ্ঞানশিক্ষা নামক পুস্তকে ( ৯ম সংস্করণ ৩১ পৃ: ) দেখি লিখিত আছে “আমাশয়রোগে নাড়ীর গতি " পরে একটা সংস্কৃত শ্লোক আছে, “আমাশয়ে পুষ্টিবিবর্জনেন ভবন্তি নাড্যে। ভুঞ্জগাদিত্বত্তাঃ।” ইত্যাদি। কবিরাজমহাশয় অনুবাদ করিয়াছেন, “আমাশয় হইলে নাড়ী স্কুল এবং সৰ্পের আকৃতির ন্যায় বা বৰ্ত্ত লাকৃতিবিশিষ্ট হয়।” কবিরাজের পুস্তকে, সংস্কৃত শ্লোকে আমাশয়রোগ নাম পাইয়া সন্দেহ জন্মিল । =াড়ীজ্ঞানশিক্ষার মূলপুস্তক কি, ইহার রচয়িতা কে, তিনি কবেকার লোক, ইত্যাদি জ্ঞাতব্য বিবরণের సె বাঙ্গালী শব্দ-কোষ iS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSSJSSSSJ SSS JSSS JSSS SSS JSSS SSSJSSSSJSSSSJSSSSJ SSS AAA * * ダ Q28& SAASA SeS AAAAA AAAA AAAA AAAAS AA SAASAASAA বিন্দুবিসর্গ মুদ্রিতপুস্তকে নাই। কবিরাজমহাশয়কে পত্র লিখিলাম। তিনি মূল প্রশ্নের দিক দিয়া না গিয়া “আমাশয়’ (প্রবাহিক) রোগের স্কুললক্ষণ দিলেন এবং লিখিলেন, ‘‘বৈদ্যশাস্ত্রগুলি ভালরূপ অনুসন্ধান করিলেই সমস্ত বিষয় জানিতে পরিবেন।” তিনি ভুলিয়া গেলেন বৈদ্যশাস্ত্র আমার জানা থাকিলে তঁাহাকে প্রশ্ন করি তাম না । ls আর একটা দৃষ্টান্ত দি-ই । কথাটা, ভেরেও ভাজা । রাঢ়ে ইহা অজ্ঞাত ; আমারও অজ্ঞাত ছিল । নদীয়াবাসী এক বন্ধুর মুখে শোন। পরে নদীয়া ও কলিকাতাবাসী দুইতিন বন্ধুর মুখে শুনিয়াছি। কিন্তু গ্রামে প্রয়োগ শুনি নাই, মূলভাব ধরিতে পারি নাই । কিন্তু বোধ হইতেছে ব্যুৎপত্তি প্রায় ধরিয়াছিলাম। চারুবাবু ব্যাখ্যা করেন, “ভেরেণ্ডার বীজ ভাজিয়া কোনো লাভ নাই ; অথচ অকারণে তাহাই ভাজ।" ইহা হইতে, “আকাজ লইয়া থাক।” কিন্তু শব্দটা বাস্তবিক ভেরেও, ভাজা, না আর কিছু ? যদি ভেরেও হয়, তাহ হইলে ভেরেও অর্থে ভেরেণ্ডার বীজ বুঝিব কেন ? নদীয়-শান্তিপুরের এক শিক্ষিত বন্ধু বলিলেন, ভাজা নহে, ভজা । ভেরেণ্ড৷ ভজিতেছে—সময় বৃথা নষ্ট করিতেছে। যদি ভজা হয়, ভেরেণ্ডার বীজ থাকে না ; যদি ভাজা হয় ভেরেণ্ডার বীজ তুাজ্য অকাজ হয় না । এরও বীজ কাচা কিংবা ঈষৎ ভাজিয়া তেল বাহির করা হয় । ভাজিলে তেল শীঘ্র বাহির হয়। বঙ্গদেশে এরণ্ড ছাড়া অঙ্গ দুই ভেরেগু আছে । একটার নাম বাগতেরেও বা গাবভেরেওl, নদীয়ায় বলে কচ । ইহারও বীজে তেল আছে ( মণকর। ১২ সের ) । বঙ্গদেশে ইহার তেণ হয় না, মাদ্রাঙ্গে ও অন্যস্থানে হয়। অন্য ভেরেও লাগভেরেও তত প্রসিদ্ধ নহে । সে যাহা হউক, ভেরেণ্ড। উপমান হইল কেন ? অদ্য পক্ষে দেখা যায়, ভেরেণ্ড ভাজ। অশিষ্ট প্রয়োগ । অশিষ্টপ্রয়োগের একটা সামাঙ্গু লক্ষণ এই ষে তাহ বিকৃত হয়। অতএব বোধ হয় কোন শব্দ বিকৃত হইয়া ভেরেণ্ড আকার ধরিয়াছে ৷ ‘ পশ্চিমে সাধুসন্ন্যাসীর ভোজনকে বলে ভণ্ডা: ভণ্ডারা-ভরাণ্ডা—তেরেও হওয়া আশ্চৰ্য্য নহে। লোকে ভেরেণ্ড ভঙ্গা মিশাইয়।