পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

అఱ" ヘヘヘヘヘヘヘヘーヘヘヘヘヘヘヘハーへヘヘヘヘヘヘヘーヘヘ সৰ্ব্বপ্রথমে দূত ভিল্লমাল হইতে ফিরিয়া স্বাসিল । ভিন্নমালরাজ গৌড়েশ্বরকে গুর্জররাজধানী হইতে অতিবাদন করিয়াছেন, বজায়ুধের পুত্র পিতৃসিংহাসন লাভ করিয়াছেন শুনিয়া তিনি অত্যন্ত আমন্দিত হইয়াছেন । শীঘ্রই গুর্জরদুত নবীন কান্যকুঞ্জেশ্বরকে অভিবাদন করিতে আসিবে। ইন্দ্রায়ুধকে রক্ষা করিবেন, তবে তিনি ইন্দ্রায়ুধের পক্ষাবলম্বন করিয়া কান্যকুজরাজ্য আক্রমণ করিবেন না ; কিন্তু ইন্দ্রায়ুধ যদি রাজ্যোদ্ধারের চেষ্টা করেন গুর্জরেশ্বর তাহাতেও বাধা দিবেন না। গৌড়েশ্বর শীঘ্র স্বরাজ্যে প্রত্যাবর্তন করিলে গুর্জররাজের সহিত র্তাহার গীতিবৰ্দ্ধন ছিন্ন হইবে না । গুর্জর-রাজচক্রের অন্য কোন রাজধানী হইতে দূত ফিরিল না। নাগভট্টের উত্তর শুনিয়া ধৰ্ম্মপাল গৌড়ে প্রত্যাবর্তনের উদ্যোগ করিতে লাগিলেন কিন্তু গৌড়ীয় সামন্তগণ সকলেই প্রত্যাবর্তনের বিরোধী হইলেন। ইন্দ্রায়ুধ বন্দীভাবে ভিল্লমাল নগরেই বাস করিতে লাগিলেন। অষ্টম পরিচ্ছেদ সৰ্ব্বানন্দের গৃহত্যাগ ধৰ্ম্মপালদেব যখন চক্রায়ুধের রাজ্য রক্ষার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করিতেছেন তখন গৌড়দেশে শাস্তি বিরাজিত। বৈশাখ মাস, বরেন্দ্রভূমিতে অসহ্য গ্রীষ্ম, ফলভারে অসংখ্য সহকার বৃক্ষ অবনত হইয়। পড়িয়াছে, চারিদিক নিস্তব্ধ, রাজপথ জনশূন্ত, পক্ষীগুলি পৰ্য্যন্ত নীরব । " এই সময়ে গঙ্গাতীরবত্তী পালিতক গ্রামে জনৈক যুবক বংশদণ্ডনিৰ্ম্মিত অঙ্কুশ হস্তে গৃহ হইতে নির্গত হইতেছিল। যুবক গৌরবর্ণ, তাহার বয়ঃক্রম পঞ্চবিংশ বর্ষের অধিক নহে, তাহার কণ্ঠে যজ্ঞস্থত্র দেখিয়া বোধ হয় সে জাতিতে ব্রাহ্মণ । গৃহখানি তুণাচ্ছাদিত, চারিদিকে মৃন্ময় প্রাচীর, তাহ গোময় লেপনে চিঙ্কণ। গৃহের চারিদিকে পুষ্পোপ্তান ও বংশনিৰ্ম্মিত বেষ্টনী ; বেষ্টনীর পাশ্বে এক পঙক্তি তাল ও নারিকেল বৃক্ষ। যুবক গৃহদ্বারের বাহির হইয়া অঙ্গনে জাসিয়া প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৫২১ শরণাগত রক্ষী রাজধৰ্ম্ম, সেইজন্য গুর্জররাঙ্গ [ s8ं एठीं, २ब्र शं७ J SAJSAASAASAASAAJASAS A SAS SSAS SSAS দাড়াইয়াছে, এই সময়ে গৃহমধ্য হইতে তাহাকে কে ডাকিল,“বলি দ্বিপ্রহর বেলায় যাও কোথায়?” যুবক বিরক্ত হইয়া গৃহে প্রবেশ করিল এবং শয়নকক্ষের দ্বারে দাড়াইয়া জিজ্ঞাসা করিল, “ডাকিলে কেন ?” এই সময়ে তাহার পশ্চাতে পদশব্দ হইল, যুবক ফিরিয়া দাড়াইল । বিংশতিবর্ষ বয়স্ক একটি তরুণী কক্ষান্তর হইতে যুবকের সন্মুখে আসিয়া দাড়াইল, তাহার অধরে ঈষৎ হাস্তরেখা, নয়ন-কোণে ক্রুর কটাক্ষ এবং চম্পকদামসদৃশ ক্ষুদ্র অঙ্গুলিগুলিতে বস্ত্রাঞ্চল জড়িত। তাহাকে দেখিয়া যুবকের ক্রভঙ্গী দুর হইল। বদন প্রসন্ম হইয়। উঠিল, বিরক্তির পরিবর্তে সহস্যে যুবক জিজ্ঞাসা করিল, “ডাকিলে কেন ?” তরুণী হাস্তে হাস্ত্যের উত্তর প্রদান করিয়া কহিল, “এই দ্বিপ্রহরের ভীষণ রৌদ্রে অঙ্কুশ লইয়া কোথায় চলিলে ?” তোমার জন্য । আমার জন্য ? হাগে, তোমারই জন্য । আমি কি গাছের পাক ফলটি যে তুমি অঙ্কুশ লইয়া আমার উদ্দেশে চলিয়াছ ? অমল, তুমি সত্য সত্যই— রসিকতা রাখ ; অস্কুশ লইয়া কোথায় যাইতেছিলে ? আম পাড়িতে ? কথাটা শেষ করিতেই দাও । সত্য সত্যই তুমি পুর্ণ যৌবনের ভারে কুইয়া পড়িয়াছ । আবার বাজে কথা ! তুমি কি পাগল হলে নাকি ? এই রৌদ্রে আম পাড়িতে চলিয়াছ ? দেখ, পুষ্করিণীর ধারে বড় গাছটাতে দুইটা আম পাকিরা উঠিয়াছে। ভূমিতে পড়িলে নষ্ট হইয়। যাইবে। তা যাক, তুমি এখন যাইতে পারিবে না। যুবতী এই বলিয়। যুবকের হাত ধরিয়া বসাইল । যুবক অঙ্কুশ রাখিয়া উপবেশন করিল। কিয়ৎক্ষণ পরে যুবতীর কর্ণমূল রক্তবর্ণ হইয়া উঠিল, তরুণী লজ্জায় অধোবদন হুইয়া কহিল, “অমন করিয়া কি দেখিতেছ?” তোমাকে । शृi७ ।। - আমি ত যাইতেছিলাম, তুমিই ত ধরিয়া বসাইলে।