পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8&ა দৃষ্টাস্তের অভাব নাই- গৌড়ে ধৰ্ম্মপাল প্রবল হইলেন ; .অমনি ভোজ, মৎস্য, মদ্র, কুরু, যদু, যবন, অবন্তী, গান্ধীর, কামরূপ ইত্যাদি দৈশের-রাজন্যবৃন্দের উন্নত শির তাহার বরেণ্য চরণে নত হইয়া পড়িল । পালবংশের পরবর্তী নরপালগণের মধ্যে যিনিই যখন প্রবল হইয়াছেন তিনিই তখন পাশ্ববৰ্ত্তী রাজ্যসমূহে দুই এক ছে"। মারিয়াছেন । সেনবংশের বিজয় সেন প্রবল হইয়াই— গৌড়েশ্রমত্রবদপন্থতকামরূপং ভূপং কলিঙ্গমপি যত্তরস জিগায় । , দেওপাড়া লিপি । ধৰ্ম্মপাল ও দেবপালের সময় পালরাজ্য গৌরবের উচ্চতম শিখরে আরোহণ করিয়াছিল। ভারতবর্ষের ঐতিহাসিক সময়ের মধ্যে যতগুলি রাজ্য আছে তাহদের কাহারও গৌরব দুই তিন পুরুষের বেশী স্থায়ী হয় নাই । মৌর্য্যবংশে–চন্দ্রগুপ্ত বিন্দুসার অশোক ; কুষাণ বংশে—কণিষ্ক হুবিষ্ক বসুদেব ; গুপ্তবংশে-—সমুদ্র চন্দ্র কুমার গুণ্ড ; বৰ্দ্ধন বংশে— রাজ্যবৰ্দ্ধন হৰ্ষবৰ্দ্ধন । বঙ্গের স্থালবংশেও এই ভারতের চিরন্তন নিয়মের বাতি ক্রম হয় নাই। দেবপাল দেবের উত্তরাধিকারী বিগ্রহপাল দেব দিগ্বিজয় গৌরবের প্রতি উপেক্ষা প্রদর্শন করিয়া, পূর্বপুরুষগণের সঞ্চিত অর্থ ও গৌরব উপভোগে মনোযোগ দিয়াছিলেন ;–পালরাজগণের লেখমালায় তাহার বিজিগীষার কোন পরিচয়ই পাওয়া যায় না। পরবর্তী রাজত্রয় নারায়ণপাল, রাজ্যপাল এবং দ্বিতীয় গোপালের সময়ও দেশবিজর অপেক্ষ আত্মরক্ষাতেই পাল নয়পালগণের শক্তি অধিক ব্যাপৃত ছিল, ইহার ফল অনিবাৰ্য্য পতন আসিল পরবর্তী রাজা দ্বিতীয় বিগ্রহ পালের সময়। বিগ্রহপাল অজ্ঞাতনামা কাম্বোজবংশজ গৌড়পতির আক্রমণে গৌড় হারাইয়া বরেন্দ্র হইতে বিতাড়িত হইয়। বঙ্গদেশের পুৰ্ব্ব সীমান্ত সমতটে যাইয়া আশ্রয় গ্রহণ করিলেন এবং র্তাহার হতবল ছিন্ন ভিন্ন কটকসমূহ পূৰ্ব্বাঞ্চলের পাৰ্ব্বত্য প্রদেশসমূহে লক্ষ্যহীন হইয়। ঘুরিয়া বেড়াইতে লাগিল । * ইহাই পালরাজবংশের প্রথম পতন । ,

  • वहोणांtणब्र यां**ड़ भांभम-ss* cझाक । ५३ विरु८ब्र s७२s

●ठिछ अवर्ण, नरथjाग्न बल्लिथिउ मग्ननांगठिन्न भीएमब्र छूभिक1 अट्टेवा ! প্রবাণী—কান্তিক, ১৩২১ [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড প্রজাশক্তির সাহায্যে যে পালরাজবংশের অভু্যখন হইয়াছিল, কোন আকস্মিক প্রবল বিপ্লবে তাহার পতন হইলেও প্রজাসাধারণের প্রিয় সেই পালবংশের পুনঃপ্রতিষ্ঠ হইতে বিলম্ব হয় নাই। বিগ্রহপালের বীর পুত্র মহীপাল অচিরেই বিপক্ষ সকলকে পরাজিত করিয়া বাহুবলে অনধিকারী কর্তৃক বিলুপ্ত পিতৃরাজ্যের পুনরুদ্ধার করিয়াছিলেন । ( বাণগড় লিপি ১২শ শ্লোক ) মহীপাল তাহার রাজত্বের প্রথম অবস্থায় পুৰ্ব্বাঞ্চলের অধিপতি ছিলেন-কুমিল্লার নিকটস্থ বাঘাউড় গ্রাম হইতে মহীপালের রাজত্বের তৃতীয় বৎসরের লিপি বাহির হইয়। তাহা সপ্রমাণ করিয়া দিরছে। সমতট প্রদেশে থাকিয়াই তিনি সৈন্ত সংগ্রহ ও সৈন্য পরিচালনা করিয়া বিলুপ্ত পিতৃরাজ্যের উদ্ধার সাধন করিয়াছিলেন। পিতৃরাজ্যের উদ্ধার সাধন করিলেও পালবংশের পূৰ্ব্বগৌরবের যে তিনি পুনরুদ্ধার করিতে পারেন নাই তাহ নিশ্চিত। র্তাহার বাণগড়-লিপিতে যে লেখা আছে যে তিনি সমস্ত রাজন্যবৃন্মের মস্তকে চরণপদ্ম নিক্ষেপ করিয়াছিলেন সেই কথাটা একান্তই অত্যুক্তি বলিয়া বোধ হইতেছে। পিতৃরাজ্য উদ্ধার করিতে ধাইয় তাহাতে সফলকাম হইয়াfছলেন সত্য কিন্তু সেই অবসরে পশ্চিম দক্ষিণ ও পূৰ্ব্ববঙ্গ তাহার হস্তচু্যত হইয়া গিয়াছিল। ১০২৪ খৃষ্টাব্দে ব। কাছাকাছি সময়ে দক্ষিণাত্যের রাজেন্দ্র সেন যখন বাঙ্গালা দেশ আক্রমণ করিতে আসেন তখন তিনি উত্তর রাঢ়ে মহীপাল, বিহারে ধৰ্ম্মপাল, দক্ষিণরাঢ়ে রণপূর এবং বঙ্গাল দেশে গোবিন্দচন্দ্রের দেখা পান । ধৰ্ম্মপাল হয়ত পালবংশেরই কেহ হইতে পারেন এবং হয়ত তিনি মহীপালের সামন্তরূপে বিহার শাসন করিতেছিলেন । কিন্তু রণশূর ও গোবিন্দচন্দ্র যে মহীপালের অধীনস্থ রাজা ছিলেন তাহা অকুমান করিবার কোন কারণ নাই এবং প্রমাণও কিছুই পাওয়া ষায় না । তাহা হইলেই দেখিতে পাইতেছি যে উত্তর রাঢ় ও পিতৃরাজ্য বরেন্স দেশের সহিতই মহীপালের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল। মুর্শিদাবাদে গয়সাবাদ নামক প্রসিদ্ধ স্থানের অদূরে মহীপাল নামক এক নগরের ভগ্নাবশেষ দেখিয়া এবং তাহার অদূরে স্থিত সাগরদীঘি