পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] মহাজাতিগণের শিরস্থানীয় মহাত্মার একমাত্র অদ্বিতীয় মহাসত্য এবং মহামঙ্গলকে বৈজ্ঞানিক যুক্তিতর্ক দ্বার। উড়াইয়া দিতে গিয়া তাহদের আত্মীয় স্বজন বন্ধুবান্ধব প্রভূতি দেশসুদ্ধ লোক দলে দলে তোপে উড়িয়া বাইতেছে—ইহাতেও কি তাহীদের চক্ষু ফুটিবে না ? অব শুই ফুটিবে ! আজি না হো’কৃ কালু-কাল না হো’কৃ পরশ্ব--একদিন-ন-একদিন ফুটিবে তাঁহাতে আর সন্দেহমাত্র নাই ! আবার, আমাদের দেশের ব্রহ্মবাদী আচার্য্যেরা যাহাকে বলেন “অবিদ্য।” সেই, শিবের—কিনা মঙ্গলের—বক্ষের উপরে, নৃত্যকারিণী খ্যাপা-চণ্ডী দেবীর নাম ইহারা দিয়াছেন will কিনা স্বেচ্ছ ? আর সেই স্বেচ্ছা-দেবীকে সৰ্ব্বজগতের হত্রীকত্রী বেশে সাঙ্গাইয়। দাড় করাইয় তাহার নামের দোহাই দিয়া—প্র বর্তন করিতেছেন কেহ যাহা চক্ষে দেখে নাই কর্ণে শোনে নাই স্বপ্নে ভাবে নাই এইরূপ একটা নিদারুণ হত্যাকাণ্ড, অথচ, রাস্তার মাঝখানে “হায়-রে হায়-রে” বলিয়া পুনঃ পুনঃ মস্তকে করাঘাত করিয়৷ এইরূপ একটা কান্ধনী-গীতের ধূয়া ধরিতে একটুও লজ্জাবোধ করিতেছেন না যে, বিজ্ঞান এবং শিল্প বাণিজ্যের ‘স্বাধীন চিন্তা” “স্বাধীন বাণিজ্য” “স্বাধীন বাকৃষ্ণুপ্তি” প্রভৃতি বড় বড় নামের অভয়বাণীতে অঙ্কি ত-ললাট উন্নতির জয়পতাকা নগর-গ্রামের রাস্তায় রাষ্ট্রায় গলিতে গলিতে হাটে বাজারে উডডীয়মান হইতেছে এত যে দত্ত সহকারে, তথাপি জন-সাধারণের দুঃখ বাড়িতেছে বই কমিতেছে না !” দুঃখ বাড়িবে না তো আর কী হইবে ? তোমাদেরই মালথস্ ( Malthus ) লোকের চক্ষে অসুলি দিয়া দেখাইতে ক্রটি করেন নাই যে, পৃথিবীতে অন্নের উৎপাদন হইতেছে ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮ এইরূপ একাদিক্ৰমে—অন্নাদের ( অর্থাৎ অন্ন খাদকের) উৎপাদন হইতেছে ২, ৪, ৮, ১৬, ৩২, ৬৪, ১২৮ এইরূপ দ্বিগুণাত্তি ক্রমে। পৃথিবীর পাকশালায় অগ্ন প্রস্তুত হয় যখন ৮ জনের খাইবার মতো—নিমন্ত্রিত ব্যক্তি एठ९म च भ' श्य़ •२v खन ! न्त्र)tश्itज्ञ श्रथम ७्रश्झ१, তখন, একখণ্ড ভূমির জন্য জ্ঞাতিতে জ্ঞাতিতে জাতিতে জাতিতে ভীষণ হইতে ভীষণতর কুরুক্ষেত্র-কাণ্ড দয়া গীতাhাঠের উপসংহার ৬৭৩ ধৰ্ম্মের বাধ ভাঙিয়া উচ্ছ জ্বল বেগে চলিতে থাকিবে না তো আর কী হইবে । ‘. . সৰ্ব্বত্রই প্রজাবর্গের দুঃখের প্রধান কারণ আল কষ্ট ; অন্নকষ্টের প্রধান কারণ লোকসংখ্যার অতিক্লব্ধি ; লোক-সংখ্যার অতিবৃদ্ধির প্রধান কারণ আব্রহ্মচম ; অব্রহ্মচর্য্যের প্রধান কারণ পীতাদিশাস্ত্ৰেণক্ত অeUা স্থা-মোগের সাধলে হতশ্রদ্ধ । ভগবদগীত। কি বলিতেছেন শ্রবণ কর ঃ– “যুক্তাহারবিহারস্ত মুক্তচেষ্টত কৰ্ম্মম্। যুক্তস্বপ্নাববোধস্ত যোগে ভবতি দুঃখহ ॥” ইহার অর্থ — “যাহার আহার-বিহার কৰ্ম্মচেষ্টা নিদ্র-জাগরণ মৃত্তভাবে ( অর্থাৎ ঠিকু পথে ঠিকৃ নিয়মে ) চলিতে থাকে, তাহার সেই যে যোগ তাহ৷ সৰ্ব্বদুঃখের বিনাশক।” তুমি বলিতেছ "মনুষ্যজাতির দুঃখ কিছুতেই ঘুচিতেছে না।” শাস্ত্রে বলিতেছে “অঙ্কন বিশ্ববিজয়ী পাশুপত অস্ত্ৰ পাইয়াছেন শিবের ( অধ্যাত্মিক মঙ্গলের ) প্রসাদাং—দুর্য্যোধন গদাযুদ্ধ শিখিয়াছেন বলদেবের (অর্থাৎ পার্থিব বলের ) নিকটুে।” শ্ৰীকৃষ্ণ (কিন পরমাত্মা ) যখন অৰ্জুনের ( কিন। ভ জীবাত্মার ) সহায়—তখন অৰ্জুনের কী ভয়— কৗ মোহ-কাঁ শোক ! অতএব বলদেবের (অর্থাৎ পার্থিব বলের ) চক্ষু-রাঙাণিতে ভয় পাইও ন!— “ মতো ধৰ্ম্মস্ততে জন্মঃ” ইহা জানিও নির্ঘাত বেদবাক্য । পৃথিবীস্থ প্রতাপাম্বিত জাতিগণের শিরোভূষণের যখন পরম্পরের অহিত সাধনের পরিবর্তে গীতাদিশাস্ত্রোক্ত অধ্যায়যোগ-সাধনে যত্নবান হইবেন, তখন পৃথিবীস্থ মনুষ্যজাতির দুঃখ ঘুচিবেই ঘুচিবেই ঘুচিবেই ।” তোমার কথাও সত্য—শাস্ত্রের কথাও সত্য । হইয়াছে যাহ। তাহীও সত্য—হইবে যাহা তাহীও সত্য ! ( ১ ) হইয়াছে যাহা তাহা এই – পঞ্চকোষের সোপান-পদ্ধতি অনুসারে পৃথিবীর মস্তকস্থানীয় মনুষ্যজাতির শরীরের উন্নতি হইয়াছে, মনের