পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&ዓ8 প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৬২১ [ »8* छागं, २ग्न थं७ / ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ_へヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ উন্নতি হইতেছে, বিজ্ঞানের উন্নতি হইয়াছে ;- কিন্তু তাহাতেও তার দুঃখ ঘুচিতেছে না। 尊 g (২) হইবে যাহা তাহা এই ঃ—মঙ্গলময় বিশ্ববিধাতার মঙ্গল রাজ্যের নিম্নভূমিতে বিজ্ঞানের চাসকার্য্য সমাপ্ত করিয়া মনুষ্যজাতি যখন অধ্যাত্মযোগের ব্রহ্মডাঙায় আরোহণ করিবে, তখন তাহার অন্তর্নিগুঢ় आनकभग्न কোষের কপাট খুলিয়। যাইবে । অধ্যাত্মযোগের একটি প্রধান অঙ্গ ব্ৰহ্মচৰ্য্য। মনুষ্যজাতি ব্রহ্মচৰ্য্যব্রতের অনুষ্ঠানে যত্নবান হইলে পৃথিবীতে অল্পসংখ্যক দ্রঢ়িষ্ট বলিষ্ঠ এবং আশিষ্ট পুত্রকল্প জন্মিবে ; অন্ন এবং অন্নাদের উৎপত্তিসাম্য হইবে ; অন্ন এবং বাসাচ্ছাদন সকলেরই সুপ্রাপ্য হইবে ; অসম্ভাব এবং অসদাচরণের মুলোচ্ছেদ হইবে ; আর তাহ হইলেই পৃথিবীর আদিম স্তরের বিকটাকার জন্তুদিগের দ্যায় দুঃখ দারিদ্র্য রোগ শোক অকালবাৰ্দ্ধক্য প্রভৃতি অমঙ্গলের দলবল পৃথিবী হইতে জন্মের মতো বিদায় গ্রহণ করিবে । * এ কথা যদিচ সত্য যে, অধ্যাত্মযোগের নিরাপদকূলে পৌছিতে মনুষ্য-যাত্রীর এখনো অনেক পথ বাকি, কিন্তু তা বলিয়া—পঞ্চকোষের নিম্নভূমিতে বিজ্ঞানের মন্ত্ৰপুত চাবিতে করিয়া আপেক্ষিক সত্যের জ্ঞানোন্নতির কপাট, আর সেই সঙ্গে আর্থিক মঙ্গলের সাধনোন্নতির কপাট, দুই ধারের দুই কপাট, যেরূপ পরমাশ্চৰ্য্য প্রশস্তৃভাবে খুন্মি গিয়াছে, তাহার প্রতি আমরা অন্ধ থাকিতে পারি না। ইহার উপরে আবার যখন পঞ্চ কাষের ব্রহ্মডাঙায় ওঁতৎসৎ-মন্ত্রের চাবিতে করিয়া অধ্যাত্মবিদ্যার অকুশীলনের কপাট এবং অধ্যাত্মযোগের অনুষ্ঠানের কপাট— এই দুই স্বর্ণকপাট ঐ রকম প্রশস্তভাবে যুগপৎ উদঘাটিত হইয়। যাইবে, তখন অধুনাতন-কালের বৈজ্ঞানিক ইন্দ্রজালকে ছাপাইয়া উঠিয়া পৃথিবীতলে আরো কত-ধে-কী পরমাশ্চর্ঘ্য মাঙ্গলিক ব্যাপারসকলের নিগুঢ় কপাট-সকল খুলিয়া যাইবে তাহ। এক্ষণে বিদ্যা-বৃহস্পতিদিগেরও ধ্যানের অগোচর । শ্ৰীদ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর। amsemmmm..aasmann mars, পিলীয়াস ও মেলিস্যাণ্ড চতুর্থ অঙ্ক প্রথম দৃষ্ঠ । দুর্গপ্রাসাদে কক্ষাস্তৱ-গমনের পথ । [ পিলীয়াস ও মেলিস্তাণ্ডার প্রবেশ ও সাক্ষাৎ । ] পিলীয়াস কোথায় যাচ্ছ তুমি ? অাজ সন্ধ্যার সময় তোমার সঙ্গে কথা আছে। তোমার দেখা পাব ? মেলিস্তাগু। हैं । পিলীয়াস এইমাত্র বাবার ঘর হতে আসছি। তিনি একটু ভাল অাছেন। ডাক্তার বলছেন আর বিপদের আশঙ্ক। নেই। তবু আজই সকালে আমার মনে হচ্ছিল আজ দিনটা ভাল ষাবে না । কদিন হতে অমঙ্গল আমার কানের গোড়ায় গুনগুন করছে...তারপরেই, হঠাৎ একটা খুব পরিবর্তন এল ; এখন এটা স্থায়ী হওয়া কেবল সময় সাপেক্ষ । ওরা তার ঘরের সমস্ত জানালা খুলে দিয়েছে । তিনি এখন কথাবাৰ্ত্ত বলছেন ; বোধ হয় বেশ একটু আনন্দ অনুভব করছেন। কথাগুলো এখনও ঠিক তার সাধারণ মানুষের মত হয়নি ; তবু তার কথার ভাবগুলো আর দূর জগৎ থেকে আসছে মনে হয় না...তিনি আমায় চিনতে পেরেছেন । আর অমুখের সময় হতে র্তার সেই যে অদ্ভুত চাহনি হয়েছে সেই রকম চেয়ে আমার হাত ধরে বললেন “একি তুমি, পিণীয়াস ? সে কি, এটা আমি আগে লক্ষ্য করিনি, কিন্তু যাদের আর বেশী দিন বঁচিবার নেই তাদের মত তোমার মুখ শোক আর করুণায় পূর্ণ.. দেশ বেড়ান তোমার দরকার ; দেশ বেড়ান তোমার দরকার..." আশ্চর্য্য ; তার কথাই আমি শুনব...মা শুনছিলেন, আর আনন্দে কেঁদে ফেললেন –তুমি লক্ষ্য করনি ? বাড়ীট এর মধ্যেই যেন আবার সজীব হয়ে উঠেছে, চারিদিকে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে, কথাবাৰ্ত্তার শব্দ, আর যাতায়াতের শব্দ...ঐ শোন ; ঐ দরজার পেছনে আমি গলার জাওয়াজ