পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

به مکه را به عهرستان گی-۹ میمای ۶۹ مه ۶۹ ع wళా O SAAAAAA AAAA SAAAA AASAAASAAA AAAA AAAA AAAA S M SAS S S AAAA SSAS SSAS SSAS SSASA AAA** به ه م. . بر আত্মোৎসর্গ—এইসকল বীরের ধৰ্ম্ম অভ্যাস ও সাধন করিবার ইহাই সমীচীন ক্ষে ত্ৰ । এষ্টরূপেই । অতিমানবতত্ত্ব এবং স্বপ্রজননতৃত্ব ভ্রান্তিমুক্ত হইয়া এ যুগের সেবtধৰ্ম্মকে পরিস্ফুট ও সার্থক করিয়া তুলিবে। কিন্তু এই সেবার প্রাণশক্তি এখানে নয় । ইহার অন্তরালে যে মামুযের আত্মশক্তি আছে, তাহাতেই । প্রেমই সেই আত্মশক্তি,—মানুষে মান্বযে যে প্রেম, কোনো অরূপের প্রেম নয় । " মানুষকে প্রথম মামুষ বলিয়া প্রেম করিতে হইবে । ভগবৎসস্তান বলিয়। নয়, ভগবানের অবতার বলিয়াও সে-সকল পরে আসিবে । আধুনিক সমাজধর্মের প্রস্থান ( starting point ) এই মানবপ্রেমে । আর-এক জনের যে আত্মসম্পদ, আত্মধিকার অাছে, সেই অধিকারে তাহাকে প্রতিষ্ঠিত করাই নূতন মানব-ধৰ্ম্ম । আর এই মানব ধৰ্ম্মের মূলমন্ত্র তিনটি –( ১ ) অপুর্ণকে পূর্ণতর করিতে গিয়াই পুণতা পাওয়া যায় ; ইহাই আত্মার পূর্ণতাসাধন । The life ( ২ ) পূর্ণতরের আত্মোৎসর্গ ব্যতীত অপূর্ণের জীবন মিলে না । (৩) সৰ্ব্বমুক্তি বিনা কাহাবে মুক্তি নাই, অপরে আত্মপ্রতিষ্ঠা লাভ না করিলে আমিও আত্মপ্রতিষ্ঠা লাভ করিব না । কৈবল্য নয়, নিৰ্ব্বাণ নয়, বোধিসত্ত্বষ্ট এ যুগের আদর্শ। অণর বোধিসত্ত্ব-অাদর্শ লক্ষ্য করিয়া সাধনপথে অগ্রসর হইবার জন্য যে চারিটি সংগ্রহবস্তু নির্দিষ্ট আছে,—দান, fপ্রয়বচন, অথচৰ্য্য। অর্থাৎ লোকfহত, এবং সমানার্থত) ( co-operation towards a common end of of: লয় । universal in the personal life); মধ্যে যে চরম সংগ্রহ সমানার্থতা তাহাই এ যুগের প্রথম সাধ্য । কেবল মৈত্রী, করুণ, মুদি তা বা উপেক্ষায় চলিবে না, তাহাও স্বতন্ত্র কর্তৃত্ববোধ ছাড়াইয়া উঠে নাই, বিশ্বাত্মার বিশ্বজীবনের (Life Universal) সহিত একাভূত হইতে পারে নাই। তাই সমানার্থতা চাই ; সকলে একাৰ্থ হইয়। একাসনে বসিয়া একপ্রাণে এক ধ্যানে বিশ্বমানবের মুক্তিসাধন করাই , একমাত্র সাধন। নান্তঃ পস্থা বিদ্যতে হয়নার । ঐীব্রজেন্দ্রনাথ শীল । প্রবাসী—চৈত্র, ১৩২১ t ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড হিতসাধন বন্ধুগণ, আপনাদের অবিদিত নাই যে এদেশে দশনামী সন্ন্যাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি এই সুন্দর নিয়ম প্রচলিত আছে যে কেহ তাহাদিগকে নমস্কার করিলে প্রতিনমস্কারে তাহারা সেই নরনারীকে বলেন, ‘নমো নারায়ণ’ । আমি জানি না প্রত্যেক সন্ন্যাসী অপর নরনারীকে নারায়ণ বলিয়া উপলব্ধি করেন কিনা । কিন্তু ইহ জানি ষে সেবাধৰ্ম্মকে যদি আমরা সজীব করিতে চাই, যদি জীবনে তাহাকে প্রতিষ্ঠা দান করিতে চাই, তবে নরনারীকে কৃপাপাত্র জ্ঞান করিলে হইবে না —প্রত্যেক নরনারীর মধ্যে ভগবানের সজীবরূপ উপলব্ধি করিতে হইবে । তাহা হইলেই সেবাধৰ্ম্ম সফলতা লাভ করিবে । কেবল ষে অদ্বৈতবাদী সন্ন্যাসীই প্রত্যেক জীবের মধ্যে ভগবানের স্বরূপ প্রত্যক্ষ কfরতে বলেন—“এক এব fহ ভূতাত্মা ভূতে ভূতে ব্যবস্থিতঃ । একধা বসুধা চৈব দৃশুতে জলচন্দ্রবৎ –র্তাহাবাই যে কেবল জীবে জীবে ভগবানের বিভূতি দর্শন করেন, তাহা নহে। ভক্তিগ্রস্থ ভাগবতেরও ঐ শিক্ষা— মনসৈতানি ভূতানি প্রণমেৎ বহু মানয়ন । ঈশ্বরে জীবকলয়া প্রবিষ্টো ভগবান ইতি ॥ এখানে ভাগবতের ঋষি - শিক্ষা দিয়াছেন যে, প্রত্যেক জীব, সে যতই পাপী যতই তাপী যতই হীন যতই দীন যতই মলিন হউক না কেন—তাহাকে যেন আমরা বহু , মান সহকারে পুজা করি, কারণ তাহার মধ্যে ভগবান জীবভাবে বিদ্যমান রহিয়াছেন । খৃষ্টীয় সাধু সেণ্টপলের নিকটও আমরা ঐ শিক্ষণই পাইয়াছি । তিনি বলিয়াছেন —Know ye not that ye, are the tabernacles of God and that the Most High dwelleth in thee. অতএব প্রত্যেক জীব ভগবানের প্রতিমূৰ্ত্তি । এই কথা স্মরণ রাখিয়া যদি আমরা সেবাধৰ্ম্মের অনুষ্ঠান করি, এই ভাবে ভাবিত হইয়া যদি আমরা জনসেবায়ু প্রবৃত্ত হই, তবেই আমাদের সেবা সার্থক হইবে । জীবকে আমরা যে সেবা দান করিব, তাহ যেন শ্রদ্ধার