পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩২১ [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড মহীসন্তোষের দুর্গপ্রাকার । জ্বাসভোষের বারদুয়ারীর ভগ্নাবশেষ । ১। হাত । এত বড় একাণ্ড রুত্তিমুখ যে-মন্দিরে ছিল সে-মন্দির যে খুবই প্রকাণ্ড ছিল সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই । আরবি লিপিটি পাঠে জানা যায় যে বঙ্গের স্বাধীন সুলতান বরাবক সাহার আমলে ১৪৭০ খৃষ্টাব্দে ৮৭ হিজরীতে মসজিদটি নিৰ্ম্মিত হয়। রাজা গণেশের বংশ লুপ্ত হইলে নসিরুদিন আবুল মুজাফর মহম্মদ শাহ গৌড়ের সিংহাসনে আরোহণ করেন । . ইহঁার আমলে অনেক স্থাপত্যকীৰ্ত্তি নিৰ্ম্মিত হয়.। নাসিরুদিন শাহ গৌড়ের চতুর্দিকে প্রকাও প্রাচীর নিৰ্ম্মিত কবেন । প্রায়ই দেখা যায় যে নবাবের অনুকরণে নবাবে ওমরাহ গণও তাহাদের নিজ নিজ জমীদারীতে মসজিদ ও অন্যান্ত স্থাপত্য কাৰ্বি প্রতিষ্ঠিত করিতে উৎসুক হইয়া উঠেন। নাসিরুদিন স্থাপত্যকীৰ্ত্তিপ্রতিষ্ঠার দিকে ঝু কিয়া পড়িয়া ছিলেন । বৰ্ত্তমান লিপি হইতে দেখা যার যে তৎপুত্ৰ বরাবক সাহের আমলেও ওমরাহগণ নাসিরুদিনের সদৃষ্টান্ত অনুসরণ করিতে বিরত হয় নাই। ১৪৭ খৃষ্টাব্দে বোধ হয় কৃত্তিমুখযুক্ত মন্দিরের ভগ্নাবশেষের উপরই বরাবক সাহের ওমরাহ সরফ খাঁ স্বর্গে সপ্ততিসংখ্যক প্রাসাদ পাইবার আশায় মহীসন্তোষে মসজিদ নিৰ্ম্মিত করাইয়াছিলেন ।