পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tS ఆ অনুশীলন করিতে হইবে । এইজন্য র্তাহীদের অবসর খুব বেশী থাকিবে না। তথাপি তাহার এক আধ ঘণ্টা সময় নিশ্চয়ই দিতে পারিবেন। এইরূপে তাহারাও অতি অল্প আয়াসে গ্রীষ্মের ছুটির মধ্যে প্রতোকে অন্ততঃ এক জনকে লিখিতে পড়িতে শিখাইতে পারেন । তাহ হইলে আরও কত হাজার লোক যে আগামী তিনমাসের মধ্যে লিথনপঠনক্ষম হয়, তাহা বলা যায় না । আমাদের এই প্রস্তাব অনুসারে কাজ করা খুব সোজা। ইহা অপেক্ষা সহজ দেশের সেব। আর নাই । এরূপ কাজ এখনই কোন কোন ছাত্রছাত্রী করিতেছেন । ইহার জন্য বিদ্যালয়গৃহ চাই না, বেঞ্চি চেয়ার টেবিল বোর্ড চাই না, ইন্স পেক্টরের বা বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরী চাই না, সরকারী সাহায্য চাই না, অগাধ পাণ্ডিত্য চাই না, বড় বড় লাইব্রেরী চাই না, হাজার হাজার বা শত শত টাকা বা পয়সা চাই না । চাই কেবল সেবা করিৰার আগ্রহ। ষে বিদ্যা স্কুলের নীচের ক্লাসের ছেলেমেয়েদের জানা আছে, তাহাতেই কাজ চলিবে। ২৪ পয়সা দামের বহি যা চাই, তা অনেক স্থলে শিক্ষার্থীরাই কিনিতে পরিবে, শিক্ষার্থীর ও অভাব হইবে না। কোন শিক্ষার্থী যদি দুটি কি চারটি পয়সা খরচ করতে না পারে, তাহা হইলে শিক্ষাদাতা ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে তাহা ব্যয় করা কঠিন হইবে না। র্যাহীদের বাড়ী এরূপ গ্রামে যেখানে বহির দোকান নাই তাহারা সহর হইতে ২১ খাটা অক্ষর-পরিচয়ের বঙ্গি ও তাহার পর পাঠ্য ২১ খান সোজা বহি কিনিয়া লইয়া যাইতে তুলিবেন না। ছাত্রছাত্রী ছাড়া আর যে-সব শিক্ষিত পুরুষ ও নারী আছেন, তাহারাও দেশের নিবক্ষর অবস্থা দূর করিতে বদ্ধপরিকর হউন । র্যাহার নিজের পড়াইবার সময় নাই, তিনি বহি দিন, স্কুলকলেজের বেতন দিন, নিজের গৃঙ্গে ক্লাস খুলিবার স্থান দিন, নৈশবিদ্যালয়ে আলোর খরচ দিন, যে প্রকারে পারেন সাহায্য করুন। সেবার যে বিমল আনন্দ তাহা হইতে কেহ বঞ্চিত থাকিবেন না। আনন্দ, জীবনের সার্থকত ও পূর্ণতা, শক্তি, সবাই খুজিয় বেড়ায়। সেবার পথে এই লবই মিলে। দেশের ধনী নিধন, শিক্ষিত অশিক্ষিত, সকল শ্রেণীর প্রবাসী—চৈত্র, ১৩২১ [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড একতা জন্মাইবার শ্রেষ্ঠপথ এবং একমাত্র পথ এই সেবা। সেবার ক্ষেত্র বঙ্গদেশে কত বিস্তুত, এবং কতপ্রকারে সেবা করা যাইতে পারে, তাহা আমরা গতমাসের প্রবাসীতে দেখাইয়াfছ । নিরক্ষরকে লেখাপড়। শিখান তাহার মধ্যে একটি উপায় এবং সকলের চেয়ে সোজ উপায় ।

  1. 2

লর্ড রিপনের মূৰ্ত্তি । গতমাসে বড়লাট কলিকাতার গড়ের মাঠে দুটি মূৰ্ত্তির আবরণ উন্মোচন করেন। একটি বড়লাট মিন্টোর, অপরটি বড়লাট রিপনের । দ্বিতীয় মূৰ্ত্তিটি সম্পূর্ণ আমাদের দেশের লোকের টাকায় নিৰ্ম্মিত হইয়াছে । সম্পূর্ণ দেশী লোকের চাদায় প্রতিষ্ঠিত আর একটিও মূৰ্ত্তি গড়ের মাঠে নাই । শিল্পের দিক দিয়াও এই মূৰ্ত্তিটি খুব ভাল হইয়াছে। কাহারও কাহারও মতে ইহাই গড়ের মাঠের সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট মূৰ্ত্তি। ইহাতে রিপনের মহানুভবতা ও মানবপ্রেম সুব্যক্ত হইয়াছে । ভারতবর্ষের ব্রিটিশ শাসনকালের ইতিহাসে লর্ড রিপন q'ifaš folvin (Ripon the Righteous) afts offচিত। তিনি যাহা করিতে চাহিয়াছিলেন, ভার তপ্রবাসী ইংরেজ বণিক ও ইংরেজ রাজকৰ্ম্মচারীদের প্রতিকূলতায় তাহার সবটা করিতে পারেন নাই । কিন্তু তিনি আন্তরিক চেষ্টা করিয়াছিলেন বসিয়া ভারতবাসীর অকপট প্রীতি ও শ্রদ্ধা লাভ করিয়াছিলেন । তিনি ফৌজদারী আইনে ও বিচার কার্য্যে ভারতবাসী ও ইংরেজকে সমান সুবিধা ও অধিকার দিতে চাহিয়াছিলেন। তখন ইলবার্ট সাহেব ব্যবস্থাসচিব ছিলেন । র্তাহার নাম অম্বুসারে প্রস্তাবিত আইন ইলবার্ট বিল নামে পরিচিত। এই প্রস্তাবে ইংরেজ ও ফিরিঙ্গীরা এত চটিয়াছিল যে তাহার। রিপনকে, ইল্বার্টকে এবং সমুদয় ভারতবাসীকে গালাগালি দিয়াই ক্ষান্ত হয় নাই, রিপনকে বলপূর্বক চুরি করিয়া জাহাজে চড়াইয়া ভারতবর্ষ হইতে বিলাতে চালান করিবার ষড়যন্ত্র করিয়াছিল। রিপন ও ইলবার্টের প্রস্তাব কার্ষ্যে পরিণত হয় নাই। একটা রফা হইয়াছিল, তাহাতে ভারতবাসীর সুবিধা হয় নাই । স্থানিক স্বায়ত্ত