পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

や>8 কাহারও মত এই যে এই দস্থ্যর ডাকাতি দ্বারা প্রাপ্ত অর্থে অস্ত্রশস্ত্র সংগ্ৰহ করিয়া ভারতবর্ষকে স্বাধীন, করিতে চায় । যদি বাস্তবিক তাহীদের এরূপ উদেশ্ব বা বিশ্বাস থাকে, তাহা হইলে তাহারা যে নিত্যস্ত ভ্রান্ত তাহাতে সম্বেই নাই । পরাধীনতা অপেক্ষা স্বাধীনতা যে ভাল, তাহা বুঝিতে বেশী জ্ঞান বৃদ্ধির দরকার হয় না । পাইলে কে না স্বাধীন তটতে চায় ? কিন্তু তাহার উপযোগী অবস্থা, উপায়, প্রাপ্ত স্বাধীনতা রক্ষার যোগ্যতা, ইত্যাদি নানা বিষয় বিবেচা । উপায় সম্বন্ধে ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম, বা অদ্য উচ্চ বিবেচ্য বিষয়ের বিবেচনা না করিয়াও বল। যাইতে পারে, স্বাধীনতা লাভ ভারতবর্ষের বর্তমান অবস্থায় এবং যুদ্ধবিদ্যাব আধুনিক অবস্থায় এই বিপথগামী যুবকদের কfল্পত উপায়ে হইতেই পাবে না। বর্তমান ইউরোপীয় যুদ্ধে লিপ্ত প্রধান প্রধান দেশের মধ্যে দৈনিক যুদ্ধব্যয় ইংলণ্ডেব সকলের চেয়ে কম ; তাহাও রোজ প্রায় দুই কোটি টাকা । “রাজনৈতিক দত্ম্য"র যদি ইংলণ্ডের সহিত যুদ্ধে প্ররন্ত হয়, তাহা তইলে কতটুকু সময়ের যুদ্ধের খরচ তাহদের ভাগরে আছে ? ভারতবর্ষের রাজকোষ হঠতেই কোটি টাকা সাহায্য করা হইয়াছে । এথন যুদ্ধ প্রধানতঃ বড় বড় কামানেব ব্যাপাব । রিভলভার দুপাচটা লুকাইয়। চোরাইয়া সংগ্ৰহ বিদেহেছুরা করিতে পারে, কিন্তু বড় বড় কামান ত পকেটের মধ্যে ੋ। আনা যাক্টতে পারে না । রাশি রাশি গোল গুলি টোট বারুদ মানি-ব্যাগের মধ্যে সঞ্চিত পারে না । যুদ্ধ করিবার জন্য সৈন্স আজকাল কয়েক হাজার বা কয়েক অযুত হইলে চলে না । জার্মেনীর ইতিমধ্যে ত্রিশ লক্ষ সৈন্ত তত ও আহত হইয়াছে বলিয়া ফরাশির অনুমান করে । ইংরেজের সঙ্গে যুদ্ধ করিয়া ভারতবর্ষকে কেহ স্বাধীন করিতে চাহিলে তাহদের মোটামুটি এককোটি স্বশিক্ষিত স্থলসৈন্ত দরকার হইবে । কেননা মনে রাথিতে হুইবে যে রুশিয়া ফ্রান্স ও জাপান ইংরেজদের বন্ধ। বিদ্রোহেচ্ছদের কিন্তু একহাঞ্জার বা একশত কুচকাওয়াঙ্গে অভ্যস্ত সুশিক্ষিত সৈন্তও ত দেখিতে পাইতেছি না। এককোটি সৈন্তকে তাহার পর অস্ত্রের কথ। । হইতে | প্রবাসী—চৈত্র, ১৩২১ i [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড কুচকাওয়াজ শিক্ষা কে দিবে, কোথায় দিবে, তাহাও ত জানি না । আঁধার গলির আঁধার ঘরে কল্পনার প্রশস্ত ময়দানে একাজ হয় না । এখন দেখা যাইতেছে যে খুব শক্তিশালী নানা রকমের যুদ্ধজাহাজ এবং আকাশযান না থাকিলে কাহারও আধুনিকযুদ্ধে জিতিবার বিন্দুমাত্রও সম্ভাবনা নাই। “ বিদ্রোহদ্বারা স্বাধীনতা লাভ প্রয়াসীদের জাহাজ নাই, আকাশযান নাই, নীেবিদ্যা জানা নাই, ব্যোমনাবিকতাও জানা নাই। যে দেশের একটু বা বহুবিস্তৃত সমুদ্রকুল আছে, তাহার স্বাধীনতা লাভ বা রক্ষা, কোনটিই, প্রবল রণতরীবিভাগ ভিন্ন কল্পনাও কর ষায় না । যায়, যে, কোন কারণে ভারতবর্যে ভারতের যদি মনে করা ব্রিটিশরাজত্ব ২১ মাস বা বংসর পরে শেষ হইয়। যাইবে, তাহা হইলেও স্বাধীনতা রক্ষার কি আয়োজন আছে ? এমন এক সময় ছিল যখন একপ্রকার খণ্ডযুদ্ধ (guerilla warfare ) wizi (24& 2 footo sta করা যাই ৩ ; যেমন মোগল রাজত্বকালে রাজপুতের ও মরাঠারা কখন কখন করিয়াছিল । কিন্তু সে কাল আর নাই। কতকগুলা ঢাল তলোয়ার সড়কিতে এখন আর লড়াই ফতে হয় না। ২১টা বোমা হাতে ছুড়িয়াও কেহ বোমা ও শেল ( shell ) ছুড়িবার তোপের সঙ্গে সমকক্ষ ৩া করিতে পারে মা ! অতএব অমর। સ,િ র্যাহারা দেশের প্রকৃত কল্যাণ চীন, তাহারা সকল দিকৃ বেশ ধীরভাবে বিবেচনা কfরয়া, অকারণ অমূল্য জীবন, সময় ও শক্তির অপব্যয় হইতে নিবৃত্ত হউন । অামাদের ধারণা এই যে, সব না হউক, অধিকাংশ ডাকাতিই পেশাদারী ডাকাতি, কেবল টাকার জন্য কর। কিন্তু অন্ত উদ্বেপ্তের ডাকাতি যদি কিছু থাকে, তাহা হইলে, উদ্দেশ্য পেশাদারী না হইয়। আর যাহাই হউক, পরের ধন অপহরণ অতি গৰ্হিত ও নিন্দনীয় কাজ । ইহা দ্বার। কখনও কল্যাণ হইতে পারে না। উদ্দেশু ভাল হইলে যে-কোন উপায়কে বৈধ মনে করা "If" ( The end justities the means ), R=1 Nfs অশ্রদ্ধেয় কথা। অর্থাৎ অসাধু উপায়ে সৎ কাজ হইতে