পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९२8 এবং এই সিদ্ধান্তেব সমর্থক কোন বহুপ্রাচীন ষ্টপাতখণ্ডও এ পর্য্যন্ত পাওয়"ায় নাই। যুক্ত ভাণ্ডাবকরের আবিষ্কারে এবং সার্বু রবার্ট হাড ফীল্ডের বিশ্লেষুণে এ বিষয়ে আব কোন সন্দেহ রহিল না। ভাণ্ডারকরের আর একটি আবিদার। শ্ৰীযুক্ত ভাণ্ডারকর খুব পুরাতন একটি ইটের প্রাচীর পুড়িঃ বাহির করিয়াছেন । তাহ। গথিবীর জন্য যে মশলা ব্যবহৃত হইয়াছিল, তাহা লিশ্লেষণ করিবার জন্য তিনি পুণার কৃষিকলেজের অধ্যক্ষ ড়া গুণর ম্যামের নিকট পাঠষ্টয়া দেন। ম্যান সাহেব উহ। বিশ্লেষণ করিয়া বলিয়াছেন যে উত। ঢণমিশিত এক রকম মশলা যাহা প্রাচীন ফিনিশিয় বা গ্রীকদের দ্বারা প্রস্থ ত যে-কোন গিনীর মশলা অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ, এবং সাহ; প্রাচীন রোমানদের মশলার সমকক্ষ । ভাণ্ডারকর মহাশয়ের অবিক্রিয় পুল আশ্চর্য্য রকমের । কারণ এ যাবৎ সমুদয় প্রত্ন তাত্ত্বিকের এইরূপ দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে প্রাচীন হিন্দর। চূণমিশিত গঁথনীর মশলা ব্যবহার করিতে জনিত না, এবং উহা মুসলমানরা প্রথম ভারতবর্ষে প্রবর্ক্সি ত করে । এষ্ট অবিক্রিয়ার জন্ত ঐযুক্ত ভাণ্ডারকর ধন্যবাদাৰ্ছ । মহারাজ শিন্ধিয প্রত্নতাত্ত্বিক খননদি কার্য্যের সমুদয় ব্যয় নিৰ্ব্বাহ করিয়াছেন, এবং ভাণ্ডারকর মহোদয়ের অদ্য সকল পকার সুবিধ । করিয়া দিয়াছেন। এই জন্য তিনি ভারতবাসী মাত্রেরই কতজ্ঞ তা ভাজন । ভারতে ব্রিটিশ শক্তির কার্য্যকারিত । ভূদেব বাবু ঠাহীর স্বপ্নলব্ধ ভারতবর্ষের ইতিহাসে কল্পনার অী শয় লইয়া দেপা ইয়াছেন, পানিপথের তৃ তীয় যুদ্ধে মরাঠাদের জয় হইলে ভারতবর্যের পরবত্তা যুগের ইতিহাস কিরূপ হই হ এবং কি প্রকারে ভারতের উন্নতি হইতে পরিত। বিধা তার হাতে উপায়ের অভাব নাই ; উপায় নানা রকম । তিনি এ কষ্ট উদ্দেশ্য নানা প্রকারে সাধন করিতে পারেন । কেfণ ন! কোন পাশ্চাত্য শক্তির প্রভুত্ব ভিন্ন যে প্রাচ্য কোন দেশের উন্নতি হইতে পারে না, এমন নয়। জাপান স্বাধীন থাকিয়!ষ্ট নূতন পথে চলিয়াছে, এবং অল্প সময়ের মধ্যে প্রভূত উন্নতি করিয়াছে। চীন ও পাশ্চাত্য কোন শক্তির অধীন না হইয়া উন্নতি করিতেছে । সুতরাং ভারতবর্ষ ব্রিটিশ শক্তির অধীন না হইলে এদেশের কোন উন্নতি হইতে পারিত না, এমন নয় । উন্নতি আরও অনেক রকমে হইতে পাপিত । কিন্তু কি হইতে পারিত, তাহ। লইয়া কল্পনার খেল। চলিলেও, রাস্তব জগতে কৰ্ত্তব্য নির্ণয় করিতে হইলে, কি হইয়াছে তাহাই অবলম্বন করিয়া পথ খুজিতে হয়। যেমন কলিয়াই হউক, ভারতবর্ষে ব্রিটিশ প্রভুত্ব স্থাপিত হইয়াছে। প্রবাসী--চৈত্র, ১৩২১ [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড আমরা আমাদের বুদ্ধি «άπια পুৰ্ব্বে ইহা দেখাইয়াছি ধে ব্রিটিশ শক্তিকে সশস্ত্র বিদ্রোহ দ্বারা ভারতবর্য হইতে তাড়াইয়া দিবার মত আয়োজন কেহ করিতে পরিবে না। আমরা ইহাও দেখিতেছি, যে কারণেই হউক ভারতে দেশী এমন কোন শক্তি নাই, যাহা সমস্ত দেশকে এক রাখিতে পfরে, দেশী এমন কোন শক্তি নাই যাহা দেশকে বিদেশীর আক্রমণ হইতে রক্ষা করিতে পারে। ভবিষ্যতে অবশ্য এরূপ শক্তি জন্মিতে পাধে ; কিন্তু সে স্বতন্ত্র কথ। । আমাদের তালোচ্য বৰ্ত্তমান অবস্থা । বর্তমান অবস্থায় ইংলণ্ডের লাহিত ভারতবর্ষের যোগ রক্ষা দ্বারা এদেশের যে দুটি প্রয়োজন সিদ্ধ হইতেছে তাহ। প্রকারান্তরে এইমাত্র বলিলাম । h তার এক প্রয়োজন সিদ্ধ হইতেছে, দেশে পাশ্চাত্য ইতিহাস, লি জ্ঞান, শিল্প, প্রভৃতির শিক্ষা বিস্তার। আমরা য গুট; যন্ত শপ যেমন ভাবে চাই, তাহা ন হইলেও, কিছু হইতেছে। প্রাচীনকালে ভারতে কোথাও কোথাও offgo wife asso ( evolution of democracy) হষ্টয়াছিল। কিন্তু আধুনিক কালে ইহা পাশ্চাত্য দুষ্ট মহাদেশ হইতে পৃথিবীময় ব্যাপ্ত হইতেছে। যথেষ্ট পরিমাণে ন হইলেও, ইংলণ্ডের সহিত যোগ থাকায় আমরা এই অভিব্যক্তির কার্য্যক্ষেত্রের মধ্যে আসিয়া পড়িয়াছি । ধৰ্ম্ম বা আধ্যাত্মিক তার দিক্ দিয়। মানুষের সাম্য ভারতে পূৰ্ব্বেও প্রচারিত হইয়াছিল। কিন্তু রাষ্ট্রীয় সামের আকাঙ্ক। আধুনিকালে ইংলণ্ডের সহিত সংস্পর্শে ভারতে আসার সঙ্গে সঙ্গে বর্ণভেদ ভাঙিতেছে এবং তথাকথিত "অস্পৃগু” “অনাচরণীয়” জাতিদের উন্নতি হইতেছে। এইরূপ আর ও অনেক কথা বলা যাইতে পারে। অবশ্য এই সকল ফল আরও নানাভাবে ফলিতে পারিত। কিন্তু পূৰ্ব্বেই পলিয়াছি, কি হইতে পারিত তাহার অালোচনা দ্বারা পথ নিৰ্দ্ধারিত হয় না ; বাস্তবের আলোচনা দ্বার। হয় । মামুযের যদি ছাড় ভাঙিয়া যায়, তাহা হইলে তাহার স্বচ্ছন্দ নড়াচড়া বন্ধ করিয়া, হাড় জোড়া লীগ পর্য্যন্ত, বাহির হইতে একটা বন্ধন দেওয়া দরকার হয় । একট। গাছের সঙ্গে ভিন্ন রকমের আর এ কট। গাছের কলম জোড়া লাগাইতে ই ইলে, ঙ্গেtড়ালগ পৰ্য্যস্ত বহিরের বন্ধন দরকার হয় । তাম। দস্তা প্রভূতি ধাতু মিশাইয়। গলাইয়া এক করিতে হইলে একটা পাত্রের দৃঢ় সীমার মধ্যে উহাদিগকে আটক রাখিয়। বাহির হইতে উত্তাপ দেওয়া আবশ্যক হয়। ব্রিটিশশক্তির কার্য্যকারিত। এই সকল উপমা হইতে বুঝা যাইবে। অতএব আমাদের মঙ্গলের জন্য ভারতের সহিত ইংলণ্ডের যোগ হইতে যতটা কাজ পাওয়া যায়, তাহা লইবার চেষ্টা করা কর্তব্য । বিদ্রোহের কল্পনা কেন পরিত্যজ্য, তাহ পূৰ্ব্বে দেখাইয়াছি।