পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఆ లీల প্রবাসী—চৈত্র, ১৩২১ ,t ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড, ーヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ-へペ-ヘヘヘ-^-ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘーヘへヘヘン”ヘ হইয়া ভয়ানক বেগে ছুটিতে থাকে, বহুঙ্কণাবধি কোন প্রকারে তাহার গতির বেগ হ্রাস করিতে ন পারিয়৷ অৰ্দ্ধ-জচৈতষ্ঠ অবস্থায় তিনি অশ্বপৃষ্ঠ হইতে লাফাইয়। পড়েন ; তাহাতে র্তাহার প্রাণরক্ষা হইল বটে, কিন্তু বহুদিবস তাহাকে রাজচিকিৎসকের শয্যাগত থাকিতে হইয়াছিল । এ অবস্থায়ও আমীরের সদয় ব্যবহার তাহাকে মুগ্ধ করিয়াছিল। আসিবার সময় যেমন বন্দোবস্ত ছিল দেশে প্রত্যাগমনের সময়ও তাহাদের সেইরূপ ব্যবস্থা হইল. পথের সমস্ত ব্যয় রাজকোয হইতেই প্রদত্ত হইল। দুঃখের বিযয় একবৎসর পরে এখানে নিউমোনিয়া রোগে একজন প্রধান কৰ্ম্মচারীর মৃত্যু হইয়াছিল। বারজনের সহিত আসিয়াছিলেন, এক্ষণে রাজকৃষ্ণবাবুকে ১১জন সঙ্গীর সহিত ফিরিতে হইল । দেশে আসিবার অল্পদিন পরেই নেপাল দরবার হইতে মহারাজা বীর সমসের জঙ্গের আদেশক্রমে তাহার নামে এক পত্র আসে। পত্রে রাজকৃষ্ণবাবুকে পুনরায় নেপালের কৰ্ম্ম গ্রহণ করিতে অনুরোধ ছিল । কাবুল যাইবার পুৰ্ব্বে ঐরুপ পত্র আসিলে তিনি তৎপুৰ্ব্বে কাবুলের আড়াই বৎসরের এগ্রিমেণ্টে বদ্ধ হইয়াছিলেন বলিয়া তখন তাহ অতি বিনীত ভাবে নেপালের মহারাজাকে জানাইয়াছিলেন । চুক্তির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া এক্ষণে পুনরায় তাহার নিয়োগপত্র আসিলে, তিনি ২০০ শত টাকা বেতনে নেপালে গমন করিলেন । তাহার কাবুলযাত্রার সঙ্গী যন্ত্রনাথ নন্দী এবং অধরচন্দ্র কৰ্ম্মকারকে সঙ্গে লইলেন । ১২৯১ সালে রাজকৃষ্ণবাবু দ্বিতীয়বার নেপালের কৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়া নুতন নূতন কল আনাইয়। একটি কামান বন্দুকের কারখানা • ও একটি টোটার

  • পুৰ্ব্বে কামান বন্দুকের কারখানা বাঙ্গালীদেরও ছিল । লাঙ্গালী তত্ত্বাবধায়ক হরবল্লভ দাসের অধীনে, বাঙ্গালী কৰ্ম্মকার জনাৰ্দ্দন কর্তৃক নির্মিত ইতিহাসলন্ধ সুবৃহৎ কামান “জাহানকোষ।” তাহার সাক্ষ্য দান করিতেছে । অবশ্ব রাজকৃষ্ণ বাবুর শিক্ষা ও প্রতিভা স্বতন্ত্র । কলকারখানা সম্বন্ধীয় কার্ধ্য এমন নাই যাহ। তিনি হাতে-কলমে করিয়া শেখেন নাই এবং এদেশে এমন যন্ত্রশিল্প-বিভাগ নাই যথায় কৰ্ম্ম করিয়া তিনি প্রস্তুদের সন্তোৰ দান কয়েণ মাই।

চিকিৎসাধীনে কারখানা স্থাপিত করান। তাহার দ্বার নিৰ্ম্মিত ‘ অস্ত্রাদি দেখিয়া মহারাজ এতদূর সন্তুষ্ট হন যে ১২৯৩ সালে তাঙ্গকে কাপ্তেন (Captain ) পদে বরণ করেন. এবং তদুপযোগী জঙ্গী পোষাকের সহিত সন্মুখভাগে ডিম্বাকৃতি সোনার মোট পাতে দেবীমূৰ্ত্তি-অঙ্কিত তকৃমা, উপর নিয়ে চাদ অর্থাৎ বহুমূল্য চুনি পাল্লা ও চতুর্দিকে ত হাত লম্বা সোনার তারে জড়িত স্বদ? পাগড়ী উপহার প্রদান করেন। নেপালে যতগুলি বৈদেশিক কৰ্ম্মচারী ছিলেন তন্মধ্যে প্রথমে রাজকৃষ্ণ গাবুকেই নেপাল গবৰ্ণমেণ্টের প্রচলিত রীতি অনুসারে পদস্থ করা হয় । , দুই বৎসর কয়ের পর আবার তিনি দুই মাসের ছুটি পান এবং ছুটি হইতে ফিরিয়া নেপালে বৈদ্যুতিক আলোর প্রতিষ্ঠা করেন । নেপালে তিনিই সৰ্ব্বপ্রথমে বৈদ্যুতিক আলো জ্বালাইয়াছেন । এসময়ে কোন ইলেকৃট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ছিল না । যে ডাইনামো রাজকৃষ্ণবাবু প্রথম বসাইয়াছিলেন তাহী এক্ষণে মহারাজাধিরাজের প্রাসাদের অন্তঃপুরে ভগ্নাবস্থায় পড়িয়া আছে । এই কার্য্যে মহারাজাধিরাজ, মহারাজা, প্রধান সেনাপতি প্রমুখ রাজপুরুষগণকে পরম সন্তোষদান করিয়া উন্নত প্রণালীর কামান ও কামানের গাড়ী প্রস্তুত করিয়া তিনি ৫০০২ টাকা পুরস্কার প্রাপ্ত হন। এবার তিনি মেশীন গন, বা যন্ত্রচালিত কামান নিৰ্ম্মাণে হস্তক্ষেপ করেন এবং তাহাতে কৃতকার্য্য হন । নেপালের যাবতীয় কল কারখানা রাজকৃষ্ণবাবুর তত্ত্বাবধানে স্থাপিত ও উন্নত। এক্ষণে তিনি কৰ্ম্ম হইতে অবসর গ্রহণ করিয়াছেন, কিন্তু নেপালেই অবস্থিতি কৰিতেছেন । নেপালে বাঘমতী নদীর উপকূলে র্তাহার বাসস্থান । শ্ৰীজ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস । বিন্দু ও সিন্ধু বিন্দু কহে, সিন্ধু তুমি অনন্ত অপার, অামি অতি ক্ষুদ্র, তুচ্ছ, হেয় সবাকার । সিন্ধু কহে, তুমি মম দেহপ্রাণময়, নহ তুচ্ছ, বিন্দু বিনা সিন্ধু কোথা হয় ? শ্রীউপেন্দ্রচন্দ্র রাহা ।