পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* 38 ميل JJSS JSSS SSS SSS AAAAAA S S JSSS SSS ۶ - ۶۳ ۹ هر ۹ "میر ***A . জন্য যাইত। মিশরে উচ্চতম শিক্ষালাভের কোন ব্যবস্থা ছিল না। মিশর-সংকর হইতে নিম্ন ও, মধ্য বিদ্যালয় মাত্র, পবিচালিত হইত। . ১৯৪৮ সালে মিশরের জনসাধারণ স্বকীয় চেষ্টায় উচ্চশিক্ষার অভাব দৃদ্ধ করিবার জন্য নূতন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবর্তন করিয়াছেন। এই বিদ্যালয় সকল দিক হইতেই যুবক মিশরের প্রতিকৃতিস্বরূপ। প্রথমতঃ, মিশর-সরকারের ধনভাণ্ডার হইতে ইহার জন্য অল্পমাত্র সাহায্য লওয়া হয়। কারণ মিশরের ধনী, নিধন, ব্যবসায়ী, জমিদার, আমীর ওমরাও সকলে সমবেত হইয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যয়নিৰ্ব্বাহ করিতে কৃতসঙ্কল্প হইয়াছেন । দ্বিতীয়তঃ, বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল বিষয়ই মাতৃভাষায় শিখান হইয়া থাকে। আরবী ভাষায় উচ্চ বিজ্ঞান-দর্শনসাহিত্যবিষয়ক গ্ৰন্থশ্রেণা ধে নাই তাহ বল। বাহুল্য। তথাপি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা তারা আরবী ভাষার সাহায্যে উচ্চশ্রেণীর ছাত্রদিগকে শিখাইবার ব্যবস্থা করিয়াছেন। অধ্যাপকের ফরাসী, জার্মান বা ইংরেজী গ্রন্থ ব্যবহার করেন সত্য ! কি স্তু আলোচনা, কথোপকথন, পঠনপাঠন, পরীক্ষা, সবই আরবী ভাষায় হইয়া থাকে। ফরাসী, ইংরেজী ইত্যাদি বিদেশীয় ভাষা ও স৷হত্য ছাত্রের দ্বিতীয়ভাষা- ও সাহিত্য-স্বরূপ বিবেচনা করে। তৃতীয়তঃ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকগণ নিজ নিজ বক্তৃ৩ আরবী ভাষায় গ্রন্থাকারে প্রকাশ করিতে বাধ্য। এই উপায়ে গত ৬। বৎসরের ভিতর বিশ্ববিদ্যালয় হইতে কয়েকখানি গ্রন্থ প্রকাশিতও হইয়াছে । চতুর্থতঃ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্ৰবৰ্ত্তকগণ প্রথম হইতেই নিজ আদশ অর্কুসারে আধ্যাপক তৈয়ারী করিবার জন্য আয়োজন করিয়াছেন । ১৯০৮ হইতে ১৯১৩ সালের মধ্যে ইহার ২৫ জন ছাত্র বিদেশে পাঠাইয়াছেন। পারী, বাfলন, লণ্ডন, সুইজল্যাণ্ড, ভিয়েনা, ও প্যাডুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইহার নানা বিষয় শিখিতেছেন। এই উপায়ে আধুনিক পাশ্চাত্য পণ্ডিতমহলের সকল কেন্দ্রের সঙ্গে মিশরীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ংযোগ সাধিত হইতেছে । এই ছাত্রের ফিরিয়া আসিলে অধ্যাপকপদে নিযুক্ত হইবেন । ১৯২০ সালের পূৰ্ব্বেই এই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বদেশী অধ্যাপকগণ উচ্চশিক্ষা প্রবালী—চৈত্র, ১৩২১ [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড

  • / - 々 ェメー مراسم ۶۹ - ۶ یا ۶ و ۹ ۶ - ۶۳۹ ه به

বিতরণ করিতে থাকিবেন আশা করা যায় । -কেণে ইষ্টাদের সমস্ত ব্যয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ধনভাণ্ডার হইতে বহন করা হইতেছে । বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পাদক মহাশয়কে জিজ্ঞাসা করিলাম "আপনার আরবী ভাষাকেই ত মুখ্য জ্ঞান করিতেতেছেন কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ফরাসী ভাষায় কেন দেখিতেছি? আপনাদের বিজ্ঞাপন-পত্ন, ক্যালেণ্ডার, রিপোর্ট ইত্যাদি সকল কাগজ পত্রই ফরাসী ভাষায় লিথিয়াছেন ফেন ?’ সম্পাদক মহাশয় হাসিয়া বলিলেন “আমরা এইসকল কাগজ পত্রই দুই ভাষায় প্রচার করিয়া থাকি—আরবী ও ফরাসী আমাদের কার্য্যালয়ের হিসাবপত্র সবই আরবী ভাষায় রক্ষিত হয় । অণরবী ভাষাতেই ক্যালেণ্ডারাদি ও লেখা হয় । কিন্তু জগতের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্বন্ধ রাখিবার জন্য আমরা আমাদের উদ্দেশ্য ও কাৰ্য্য তালিকা, শিক্ষা প্রণালী, নিয়মকানুন, বিজ্ঞাপনপত্র, ক্যালেণ্ডার ইত্যাদি ফরাসী ভাষায়ও প্রকাশ করি।” তাহার পর আমি জিজ্ঞাসা করিলাম “আপনার ১৫ জন ছাত্র বিদেশে পাঠাইয়াছেন শুনিলাম । ইহার পদার্থবিজ্ঞান, দর্শন, ধন-বিজ্ঞান, রাষ্ট্র-বিজ্ঞান, গণিত, রসায়ন, প্রাণ-বিজ্ঞান ই ত্যাদি সকল বিদ্যাই শিখিতেছে । কেহ জাৰ্ম্মান, কেহ ইতালীয়, কেহ ফরাসী, কেহ ইংরেজী তাষীয় পারদর্শিতা লাভ করিতেছে । অথচ তাহাদিগকে স্বদেশে ফিরিয়া আসিয়া-আরবী ভাধায় বক্তৃতা করিতে হইবে । ছাত্রদিগের সঙ্গে উচ্চতম ও দুরূহতম বিষয়েও মাতৃভাষায় আলোচল চালাইতে হইবে । ইহার fক এখান হইতে আরবী সাহিত্যে সুপণ্ডিত হইয়। গিয়াছে ? তাহ ৩ বোধ হয় না । কারণ ইহাদের বয়স দেখিতেছি ১৩ হইতে ২৫/২৬ এর মধ্যে । দুই একজন মাএ ৩০ বৎসর বয়স্ক।" সম্পাদক বলিগেন—“ইহার মধ্যে একটা রপ্ত আছে । আপনি বোধ হয় কাইরে-নগরের “এলআজার’ বা মসজিদ-বিশ্ববিদ্যালয় দেখিয়াছেন। তাহাতে সকল জ্ঞান বিজ্ঞানই আরবী ভাবায় শিখান হয়। অবশু আধুনিক বিদ্যা শিখাইবার ব্যবস্থা সেখানে নাই। কিন্তু ওখানকার সেখ, ও মৌলবীরা মাতৃভাষানিহিত বিদ্যাসমূহে সুপণ্ডিত । আমাদের এই নব্যবিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে