পাতা:প্রবাসী (চতুর্দশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৫ ০ ● A S SJSASAS SS SAAAASAASAASAJYSAeeS eAAAS ধ্বংসচিহ্নের গুণয় নাম|fচহ্ন বর্তমান । ভূগর্ভস্থিত কবর, মন্দির, ইট, প্লাথর,স্তস্ত, প্রাচীর, মূৰ্ত্তি ইত্যাদি টলেমিয়াদগণের রে\ান সম্রাটদিগের, এবং খৃষ্টানধৰ্ম্মাবলম্বী জনসমূহের জীবনকথা কথঞ্চিৎ বুঝিতে পারা "যীয় মাত্র। কিন্তু সেই বিরাট গ্রন্থাগয়, সেই মিউজিয়াম ও সেই পরিষদমুন্দিরের চিহ্নমাত্র দেখিতে পাওয়াe बांध्र ब्री । আধুনিক আলেকজালিয়ায় একজন ইতালীয় পণ্ডিতের উদ্যোগে একটি মিউজিয়াম নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। এই সংগ্ৰহালয় দেখিলেই মিশরে গ্রীক ও রোমীয় জীবনযাপনপ্রণালী বুঝিতে পারা যায়। প্রাচীন ফ্যারাওদিগের ধৰ্ম্ম, সমাজ, শিল্প ও সভ্যত গ্রীক ও রোমান বিজেতাদিগের উপর কতখানি প্রভাব বিস্তার করিয়াছিল এই ংগ্রহালয়ের মূৰ্ত্তি, স্তম্ভ, চিত্র ইত্যাদি বস্তুসমূহ হইতে তাহার পরিষ্কার ধারণ জন্মে। মিশরীয় গ্ৰীক সভ্যতা এবং মিশরীয় রোমক সভ্যতার পরিচয় পাইবার পক্ষে এই মিউজিয়াম দর্শনই প্রধান সহায় । ভারতবর্ষেও এইরুপ কতশত নগর ধ্বংসস্তুপে পরিণত হইয়াছে, কত শত জনপদ লোকশূন্ত হইয়াছে। মিশরের স্তায় হিন্দুস্থানেও এক নগরের চিতাভষ্মের উপর দ্বিতীয় নগরের জনগণ জীবনযাপন করিয়াছে--পুৰ্ব্ববৰ্ত্তী নগরের মৃত্তিকাগুপের পাশ্বে বা উপরে নূতন নগরের ভিত্তি স্থাপিত হইয়াছে। এইরূপে মিশরে ও ভারতে যুগে যুগে একই স্থানে ভিন্ন ভিন্ন স্তরের বিন্যাস সাধিত হইয়াছে। কাইরে ও আলেকজান্দ্রিয়ার স্তায় ভারতে প্রাচীনস্বতিপূর্ণ শত শত নগর বর্তমান-কালে দেখিতে পাই। কিন্তু প্রাচীন মিশরে আর আধুনিক মিশরে আকাশপাতাল পার্থক্য । হিন্দুস্থানের প্রাচীন ও বর্তমান কালে সেরূপ প্রভেদ নাই । ফ্যারাওদিগের মেম্ফিল মৃত্তিকায় মিশিয়া যাইবার সঙ্গে সঙ্গে প্রাচীন মিশরের আদর্শ, চিন্তা, সমাজ, ধৰ্ম্ম, সবই লুপ্ত হইয়াছে। পীরামিড, মাৰ্ম্মি এবং স্ফিঙকৃসের গঠনকারীদিগের অস্থিমজ্জা ধুলিরূপে পরিণত হইলে মিশরে গ্ৰীকো-রোমান-খুষ্টীয় আদর্শের জীবনযাত্রাপ্রণালী অবলম্বিত হইল। এই দুই ধরণের মানবসমাজের মধ্যে প্রবাসী—চৈত্র, ১৪২১ ASAMMJAJAAMMMMAMJMJJJJJAASAMJAJAJAJAJJJMAMJMAAAMMJMMMAMAAA AAAA S [ ১৪শ ভাগ, ২য় খণ্ড আদর্শ গ্রুত সাম্য ও ঐক্য ধুলিয়া পাওয়া কঠিন আবার খৃষ্টীয় রোমান স্তরের উপর সপ্তম শতাব্দীতে মুসলমান প্রভাবের যুগধৰ্ম্ম আরব্ধ হইয়াছে। এই যুগধর্মের কার্য্য এখনও চলিতেছে। কিন্তু ইহার সঙ্গে পুৰ্ব্ববর্তী যুগধর্মের আদর্শগত সম্বন্ধ নাই বলিলেই চলে। মিশরের প্রাচীন, , মধ্যম এবং আধুনিক স্তরসমূহ পরস্পর সম্বন্ধহীনভাবে বিন্যস্ত। প্রাচীন মিশর চিরকালের জন্য বিদায় গ্রহণ করিয়াছে—আধৰ্মক মিশর প্রাচীনের কোন নিদর্শনই বহন করে না। মেম্ফিসের জীবন উত্তরাধিকারস্বত্রে কাইরোতে বিন্দুমাত্রও নামিয়া আসে নাই। মহম্মদ আলির আলেকৃঙ্গান্দ্রিয়ায় আলেকজান্দারের ভাবুকতা, এবং টলেমিবংশীয়দিগের আদর্শ ক্ষীণভাবেও প্রভাব বিস্তার করে না । কিন্তু ভারতবর্ষের প্রাচীনে ও নবীনে প্রকৃত ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ রহিয়াছে। আধুনিক হিন্দু প্রাচীনতম আর্য্যেরই ংশধর । নব নব শক্তি হিন্দুস্থানবাসীরা অর্জন করিয়াছে। কিন্তু হিন্দুস্থানের নব নব স্তর পরস্পর সম্বন্ধহীন— একই ক্রমবিকশিত বস্তুর বিভিন্ন অবস্থা। প্রাচীনকালে যে অনুষ্ঠানের শৈশব-অবস্থা দেখিয়াছি, তাহারই বয়োবৃদ্ধি বর্তমান কালে দেখিতে পাইতেছি । মুসলমান-প্রভাবে ভারতবর্ষে মিশরের গুণয় একটা সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র স্তর বিদ্যস্ত হইতে পারে নাই। মুসলমানজাতি ভারতের আদর্শকে দূরীভূত করিতে সমর্থ হয় নাই। হিন্দু নরনারীর কিয়দংশ মাত্র মাঝে মাঝে মুসলমান রাষ্ট্রের অধীন হইয়াছে— কিন্তু তাছাতেও তাহদের জাতীয় স্বাতন্ত্র্য বিলুপ্ত হয় নাই। বরং নুতনধৰ্ম্মাবলম্বী সমাজের সংস্পর্শে আসিয়া হিন্দুসমাজ অভিনব উপায়ে স্বকীয় বিকাশ লাভ করিয়াছে। আধুনিক কালে খৃষ্টীয় প্রভাব ভারতবর্ষে প্রবল ভাবে পৌছিয়াছে, কিন্তু তাহাও ভারতের বিশেষত্ব নষ্ট করিতে পারে নাই। বরং ভারতের সনাতনী বাণীই নবযুগের নূতন আবেষ্টনের মধ্যে অধিকতর দৃঢ়তার সহিত প্রচারিত হইতেছে। ফলতঃ. প্রাচীনের সঙ্গে মধ্যযুগের, এবং মধ্যযুগের সঙ্গে আধুনিকের জীবন্ত সদ্বন্ধ ভারতবর্যে দেখিতে পাইতেছি। প্রাচীন ভtয়তের সমাজ, ধৰ্ম্ম, বিদ্যা, সাহিত্য, ও শিল্প ময়ে মাই। প্রাচীন ভারত